ঢাকার (বিদেশি) রেলপথ: কোনদিকে, কবে, কিভাবে?

প্রস্তাবিত মেট্রো রেলের নকশা

প্রস্তাবিত মেট্রো রেলের দুই নকশা। সুত্রঃ বিডিনিউজ২৪ডটকম

মন্ত্রীপরিষদ পাশ করেছে মার্চের ৭ তারিখে, তারপর একবার ডিজাইন পাল্টানো হলো, অতঃপর সোমবার উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে আমাদের বিমানবাহিনী মেট্রোরেল নিয়ে তাদের অনমনীয়তা প্রকাশ করলো এমনভাবে যে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী সন্দেহ প্রকাশ করলেন কাজটা আদৌ সাধারন মানুষের উপকারে করা হচ্ছে কিনা তা নিয়ে।বর্তমান ডিজাইন অনুযায়ী যানজট কমাতে পল্লবী থেকে মতিঝিল পর্যন্ত বিস্তৃত হবে ঢাকার মানুষের জন্য এই অলৌকিক (এখন পর্যন্ত) আশীর্বাদ। সমস্যাটা হয়েছে চন্দ্রিমা উদ্যানের কাছে এসে বামে বাঁক নেয়া নিয়ে।

ফার্মগেট থেকে এই রেলপথ শাহবাগ-তিন নেতার মাজার-প্রেসক্লাব হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত যাবে।

কিন্তু বিমানবাহিনী পুরাতন বিমান বন্দর থেকে তাদের বিমান উড্ডয়নে সমস্যার কথা বলে এ রুটে আপত্তি দিয়েছে। তারা রোকেয়া স্মরণি থেকে এ রুট সরাসরি খামারবাড়ি হয়ে ফার্মগেট নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।

সরকারি তাও আবার সামরিক স্থাপনা বলে কথা! এ কি যেনতেন ব্যাপার?

মংগলবারের বৈঠকে (হাসিনা ছিলেন না) বিমানবাহিনী আবার আপত্তি তুলে ধরলে, প্রকল্প পরামর্শক অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী তার কিছু যুক্তি তুলে ধরেন– রোকেয়া স্মরণী থেকে খামারবাড়ী হয়ে ফার্মগেইট দিয়ে গেলে খামারবাড়ির একটি ভবন ভাঙতে হবে অথবা ৪০ থেকে ৫০ মিটার সংসদের বাগানের মধ্যে প্রবেশ করতে হবে। এছাড়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের একটি টোল প্লাজা খামারবাড়ীর ওইখানে থাকবে। তাই এদিক দিয়ে মেট্রো রেল নিতে গেলে তাদেরও অনুমতি নিতে হবে।

শেষে অর্থমন্ত্রী মুহিত বললেন হাসিনার সাথে আলোচনা করে আগামি এক সপ্তাহের মধ্যে এই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

এখন দেখা যাক, বিশ্বখ্যাত স্থপতি লুই আই কানের মাস্টারপ্ল্যানে কেউ হাত দেয়, নাকি খামারবাড়ির একটি ভবন ভাঙ্গা হয়।

আর যেই বস পাবলিকেরা টাকা দিচ্ছে – জাইকা – তারা বলেছে রুট বিষয়ে এক মাসের মধ্যে মতামত দিতে, না হলে ১৭০ কোটি ডলারের অর্থ সহায়তা আরো একবছর পিছিয়ে যাবে।

বেশ ভালো জমেছে বটে।

Comments

মন্তব্য করুন

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

bn_BDবাংলা
Powered by TranslatePress