কতটা অসহায় আমাদের বানিজ্যমন্ত্রী!

গুটিকয়েক ব্যাবসায়ির কারনে নাকি দেশে পণ্যের দাম উঠানামা করে, কারন তারা বেশি লাভের আশায় অবৈধ মজুদের মাধ্যমে দাম বাড়িয়ে দেয়, বলেন আমাদের বানিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান।

খান সাহেব ও তার পরিবারও ব্যাবসায়ি, আর তাই তিনি ঝাড়ি দিয়ে বলতে পারেন না যেন মজুতদারি, চাঁদাবাজি বা হঠাৎ পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি বন্ধ হয়। তাছাড়া উনাকেই হয়তো উল্টা ঝাড়ি খেতে হতে পারে বলে ভয় আছে তার।

প্রাক্তন সেনা অফিসার ছিলেন তিনি—তাকে দেখে এটা মনে হলেও কাজে তার বিন্দুমাত্র প্রমান নেই।

আর তাই প্রতিবছর কয়েকবার, বিশেষ করে রমজান বা ঈদের আগে কিছুটা বেড়ে যায় কিছু পণ্যের দাম, কখনো বা কয়েকগুন, বিশেষ করে চিনি, তেল, ডাল, পেঁয়াজ।

দায়ি ব্যক্তিদের বিরূদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক কোন বিশেষ ব্যবস্থা কখনোই না নেয়াতে এই দূর্ভোগের প্রক্রিয়া এখনও চলমান।

গত রমজানে চিনির দাম হু হু করে বেড়ে গেল নানা ব্যবস্থা নেয়ার পরেও; এমনকি প্রথমবারের মত ব্যবসায়িরা প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করে আশ্বাস দিয়েছিল “দাম বাড়বেনা”।

পত্রিকা-টিভিও সোচ্চার ছিল, কিন্তু ওদের কেউ থামাতে পারেনি।

২৩ শে আগস্ট বানিজ্য মন্ত্রনালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটি তাদের প্রতিবেদনে জানালো সিটি গ্রুপ, এস আলম, দেশবন্ধু আর মেঘনা গ্রুপের কারনেই নাকি তখন দাম বেড়েছিল। ওই পযর্ন্তই।

আমার জানামতে জিনিসপত্রের দাম বাড়ার সাথে সাথে ভোটের হালচালও নাকি পরিবর্তন হয়। তাছাড়া বিরোধীদলের রাজনীতি করার সুযোগও বেড়ে যায়।

যদিও বিএনপি তার বিগত আমলেও সামলে রাখতে পারেনি বাজার।

তার মানেটা জলের মত সোজা—ব্যবসায়িদের কোন সরকার খেপাতে চায়না। খেপে থাকে শুধু সাধারন মানুষ—যারা পরিশ্রম করে রোজগার করা টাকায় বাজার করে।

খান সাহেবের বৃহস্পতিবার দেয়া ছবক শুনে পিত্তি জ্বলে গেল। চট্টগ্রামে পঞ্চম আন্তর্জাতিক নারী ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই মহান গর্দভ মন্ত্রী বিভিন্ন উত্সবে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে ব্যবসায়ীদের সহায়তা কামনা করেছেন।

গরুটা বলে কিনা ব্যবসায়ীদের সমাজের প্রতি দায়িত্ব রয়েছে। কিছু ব্যবসায়ীর অতি মুনাফার কারণে দেশের মানুষ দুর্ভোগে পড়ে। (এইসব ডায়লগ বিভিন্ন বই বা পত্রিকা পড়লেই জানা যায়)।

আমাদের পাবলিকের কপালটা এত খারাপ যে কোন সমালোচনা করলেই সরকার বলবে এসব বিরোধীদলের ষড়যন্ত্র, এগুলো পাত্তা দেয়া যাবেনা। আর বিরোধীদল যখন সাধারন মানুষের পক্ষে জনদূর্ভোগের কথা বলে তখন তারাও গালি খায় হাসিনার কাছে “আপনাদের সময় কেমন ছিল” টাইপের।

এদিকে মিডিয়াওয়ালারা আবার সারা বছর খোঁচাখুঁচি করতে চায়না, মনেও থাকেনা। তাছাড়া সরকারের দালাল সাংবাদিকের সংখ্যা দিন দিন যেন বেড়েই চলেছে!!!


Posted

in

,

by

Comments

মন্তব্য করুন

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

bn_BDবাংলা
Powered by TranslatePress