সরকারি সন্ত্রাসীদের আক্রমন সবখানে, জাবি’তেও

ত্রানকর্তা যখন হামলা করে, তখন বিচার দেবো কার কাছে? তবে কি আইন নিজের হাতে তুলে নেবো? নাকি পড়ে পড়ে মার খাব অথবা মারের হাত থেকে বাঁচতে বোবা-প্রতিবন্ধী হয়ে থাকবো?

এখনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না গত দুদিন জাহাঙ্গীরনগরে ঘটে যাওয়া ও আগামী দিনগুলোতে ঘটতে যাওয়া গোপালগঞ্জের ভিসি, তার সৈনিক রাজনৈতিক শিক্ষকমহল ও ছাত্রলীগের কর্মীবাহিনীর ত্রাসের রাজত্বে কিভাবে আঘাত হানা সম্ভব। ক্যাম্পাসের প্রশাসন, পুলিশ, মন্ত্রনালয়, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা — সবখানে আওয়ামী লীগের (গোপালগঞ্জের) সৈনিকেরা ডান্ডা হাতে দাঁড়িয়ে আছে।

জাবি’র শিক্ষক সমাজ প্রতিরোধ ধরে রাখার চেষ্টা করছে অনৈতিক নিয়োগ, দূর্নীতি, প্রশাসনের নানা অনিয়ম, গাছ কাটা-লেক ও জমি বন্দোবস্ত দেয়ার মত অযাচিত নানা সিদ্ধান্ত, ছাত্রলীগের একটি গ্রুপকে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনার সুযোগ দেয়া, অন্যান্য গ্রুপকে (ও ছাত্রদলকে) ক্যাম্পাসের বাইরে রাখার বিরুদ্ধে।

এরই মধ্যে চতুর ভিসি কয়েকবার শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের নানারকম প্রতিশ্রুতি দিয়ে নানাভাবে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেছে; কিন্তু তার এইসব ভুয়া বাক্যালাপে কান না দেওয়ায় সুবিধাবাদী শিক্ষকদের ব্যবহার করেও যখন কাজ হলোনা, তখন শেষ অস্ত্র ছাত্রলীগের (এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বহিরাগত) সৈনিকদের দিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের উপর হামলা, পাল্টা মিছিল আর চক্রান্তের মাধ্যমে সকল বিরুদ্ধাচরন দমানোর (বৃথা) চেষ্টা করছে।

এরই মধ্যে পুলিশ সার্বক্ষনিকভাবে নিরাপত্তা দিয়ে চলেছে ভিসি ও তার পন্থী রাজনৈতিক শিক্ষক ও ছাত্রলীগের ক্যাডারদের। তাছাড়া ছাত্রলীগের অন্য কোন গ্রুপ বা ছাত্রদল যেন ক্যাম্পাসে না আসতে পারে তাও নিশ্চিত করছে আইন-শৃংখলা বাহিনীর বোবা কিন্তু পেটোয়া দাসেরা।

আর জুবায়ের হত্যা মামলার রাশ টেনে ধরা ও মূল পরিকল্পনাকারীদের বাদ দিতে প্রশাসনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে চলেছে আশুলিয়া থানার গোপালগঞ্জীয় পুলিশ।

গতকাল তো পল্লী বিদ্যুত পর্যন্ত সাহায্য করলো ছাত্রলীগকে সংযোগ বন্ধ করে দিয়ে, সে সময় এবার পুলিশের লোকজন একটু দূরে সরে গেল যেন পরে বলতে পারে “আমরা তো ওখানে ছিলাম না” বলতে পারার জন্য। তারপর ক্যাডাররা হামলে পড়লো শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের উপর। আধ ঘন্টা পর বিদ্যুত চলে আসায় দাঙ্গাবাজ ছাত্রলীগের (ভাড়াটে ক্যাডার/এরা শিক্ষার্থী হবার যোগ্যতা রাখেনা) নেতা-কর্মীরা সরে গেল।

এখানে বলে রাখা উচিত জানুয়ারিতে জুবায়ের মারা যাবার পর ভিচি বলেছিল “ছাত্রলীগের ছেলেপেলেরা এমন ঘৃন্য কাজ করতেই পারেনা”, “ক্যাম্পাসে কোন ছাত্রলীগ নেই”, “আমার সাথে ছাত্রলীগের কোন যোগাযোগ নেই”… ইত্যাদি ইত্যাদি।

কিন্তু ছাত্রলীগ তার মুখ রক্ষা করতে পারলো না, গত কয়েক মাস ধরে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় তারা তাদের স্বভাবসিদ্ধ আকাম-কুকাম, সন্ত্রসী কার্যকলাপ চালিয়ে গেছে। ওদের থামাবে কে?

আর থামাবেই বা কেন? অতীতের বেশীরভাগ চ্যাম্পিয়ন ছাত্রলীগারকে তো আওয়ামী লীগ সরকার আসলেই নানাভাবে বানা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় নিয়ে বসায় তাদের কাজের পুরষ্কার হিসেবে। (যেমন সরকারি চাকুরি পেতে বিশেষ বন্দোবস্ত করা, পদোন্নতিতে সুবিধা দেয়া অথবা কেন্দ্রীয় নেতাদের ধারের কাছে ঘেঁষার সুযোগ করে দেয়া ইত্যাদি)

কোন কোন নির্জীব মানুষ বলেন “এ আর এমন কি? বিএনপিও তো এমনি করে। এদের আচরন তো একই রকমের।”

ঠিক, কিন্তু বিএনপি কখনো পরিবর্তন/দিন বদলের কথা বলেনি, সুতরাং আচরন পাল্টানোর তাদের কোন দায় নেই, ছিলনা।

* জাবিতে আন্দোলনকারীদের ওপর দফায় দফায় হামলা ছাত্রলীগের
* জাহাঙ্গীরনগরে ছাত্রলীগের তাণ্ডব

Comments

  1. সাহাদাত উদরাজী এভাটার

    এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। সরকার উচ্চশিক্ষার স্থানগুলোও কন্ট্রোল করতে পারছে না। বুয়েটও প্রায় শেষ করে দিচ্ছে…। জাহাঙ্গীরনগর মানিককে দিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছিল এখন মন হয় শেষ পর্যায়ে…।

    এমন নির্লজ্জ ভিসি হন কি করে?

    1. probirbidhan এভাটার

      খুবই দুঃখজনক, কেননা অন্ততঃ বিশ্ববিদ্যালয়ে এসব আশা করা যায় না। কিন্তু বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এটা স্বাভাবিক কেননা ছাত্রলীগের অভিভাবকদের তো সমস্যা আছে। আর সরকার কোনমতেই ছাত্রলীগকে নিয়ন্ত্রন করতে চায় না, কেননা ছাত্রদের ব্যবহার না করে আওয়ামী লীগ বা বিএনপি ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবেনা। এদের একরকম সরকারের গদিরক্ষক হিসেবে ব্যবহার করা হয়, যেমনটি পুলিশ ও প্রশাসনের অন্যান্য শাখাকে। মানিকেরা সবসময় সুযোগ পায় যা খুশি করার, কেননা তারা সরকারি দল করে আর রাজনৈতিক শিক্ষক ও ভিসিদের সহায়তায় তারা ক্রমেই অদম্য হয়ে উঠে। আফসোস, এরা কোন ক্যাম্পাসে সবার জন্য উপকারি কোন কাজ করেনা। তবে এটা ঠিক, সাধারন শিক্ষার্থীরা বার বার প্রতিবাদ না করলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হতো।

      আর, নির্লজ্জ তো বটেই। গুগুল-এ দ্যাখেন ওর অনেক কুকীর্তির নমুনা পাবেন। সে তো শিক্ষক না, ভিসিও না — রাজনৈতিক শিক্ষক/ভিসি। এই দুই ধরনের মানুষেরা দুই ধরনের কাজ করে।

      1. সাহাদাত উদরাজী এভাটার

        আপনার সাথে একমত।
        দুখে ভাসি এ জন্য যে, যাদের হাতে দেশটা উন্নতির শিখরে যাবে ভাবছিলাম তারাই দেখি…

        বেড়ার ক্ষেত খাবার অবস্থা। কোথায় যাব আমরা… আমাদের সন্তানেরা…

        1. probirbidhan এভাটার

          মাথা ঠান্ডা রেখে একটু একটু করে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে যার যার নিজের জায়গা থেকে। কারো মুখের দিকে তাকিয়ে থাকলে আরো ২০০ বছর লাগবে এই জাতির উন্নতি করতে।

          1. সাহাদাত উদরাজী এভাটার

            গত ত্বত্তাবধায়ক এই দুই নেত্রীকে যে শিক্ষা দিয়েছিল, ভাবছিলাম – এরা দেশের চোহারা বদলে হৃদয়ের রানী হবে! কিন্তু কোথায় কি! এরা যে শাঁকচুন্নি, সেই শাঁকচুন্নিই রয়ে গেল! আফসোস…।।

          2. probirbidhan এভাটার

            হুমমম… শুরুটা ভালো হইলেও ট্যাকার লোভে শেষমেষ তো নিজেরাই খেই হারায়ে ফেল্লো। তাই দুই নেত্রী তাদের গালি দেবার একটা সুযোগ পেয়ে গেল। তাই সরকার গঠন করে দলীয়ভাবে চুরি আর দুইনাম্বারি করাটাই এবার কালচক্রে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেল। আসল দোষটা ভাই পাবলিকের, যাদের লজ্জাশরম নাই এবং স্মৃতিশক্তি খারাপ। তাই সেই কদু আওয়ামী লীগই এবার ক্ষমতায় আসলো আর লাউ বিএনপি এখন আসার লাইগা ফাল পারতাছে।

          3. সাহাদাত উদরাজী এভাটার

            হা, কথা সত্য। ধন্যবাদ।

  2. probirbidhan এভাটার

    জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের কর্মীদের উপর ন্যাক্কারজনক হামলার প্রতিবাদে প্রতিবাদী গান, কবিতা, সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল
    আহ্বানে: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীবৃন্দ
    আমাদের দাবীসমূহ:
    ১. জা.বি.তে শিক্ষক-সাংস্কৃতিক কর্মীদের উপর হামলাকারীদের অবিলম্বে বহিষ্কার এবং রাষ্ট্রীয় আইনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
    ২. খুনী-সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষক, স্বৈরাচারী উপাচার্য শরীফ এনামুল কবিরের অবিলম্বে অপসারন চাই।
    ৩. জুবায়ের হত্যার বিচার বিভাগীয় তদন্ত চাই।
    ৪. শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার জন্য জাকসু-সহ সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় সংসদ নির্বাচন চাই।

    যোগ দিন এবং সহমত জানান। https://www.facebook.com/events/399539940079918/

  3. probirbidhan এভাটার

    https://www.facebook.com/events/399539940079918/
    জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের কর্মীদের উপর ন্যাক্কারজনক হামলার প্রতিবাদে প্রতিবাদী গান, কবিতা, সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল
    আহ্বানে- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীবৃন্দ
    আমাদের দাবীসমূহ:
    ১. জা.বি.তে শিক্ষক-সাংস্কৃতিক কর্মীদের উপর হামলাকারীদের অবিলম্বে বহিষ্কার এবং রাষ্ট্রীয় আইনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
    ২. খুনী-সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষক, স্বৈরাচারী উপাচার্য শরীফ এনামুল কবিরের অবিলম্বে অপসারন চাই।
    ৩. জুবায়ের হত্যার বিচার বিভাগীয় তদন্ত চাই।
    ৪. শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার জন্য জাকসু-সহ সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় সংসদ নির্বাচন চাই।

  4. probirbidhan এভাটার

    জাবি’র ভিসির পদত্যাগ দাবিতে মঙ্গলবার থেকে অনশনের ঘোষণা দিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের আহ্বায়ক শাকিলা শারমিন। সোমবার সন্ধ্যায় ক্যাম্পাসে মশাল মিছিলের পর উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এক সমাবেশে তিনি এই ঘোষণা দেন। উপাচার্যের বাড়ির সামনে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় অনশনে বসবেন তিনি।

    এদিকে সোমবার এক বিবৃতিতে ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ’র তিন শিক্ষক বর্তমান প্রশাসনের প্রতি তাদের আস্থাহীনতার বিষয়ে নিজেদের অবস্থান প্রকাশ করেছেন। এই ব্যানারের শিক্ষকেরা উপাচার্য শরীফ এনামুল কবিরকে সমর্থন দিয়ে আসছিলেন। গতকাল রবিবার ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডীন, প্রাক্তন ভিসি, আওয়ামীপন্থী আব্দুল বায়েস পদত্যাগ করেছেন।

    উপাচার্য ভবনের সামনে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের ওপর ‘উপাচার্যপন্থী ছাত্রলীগ’ কর্মীরা হামলার চালাতে পারে বলে তারা আশঙ্কা করছেন। অধ্যাপক মামুন নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কার কথাটি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোতায়েন পুলিশ কর্মকর্তার কাছে তুলে ধরেন। তখন উপপরিদর্শক মোহাম্মদ খসরু শিক্ষক নেতাকে বলেন, যথেষ্ট পুলিশ সদস্য এই মুহূর্তে তার কাছে নেই।

    মারদাঙ্গা ছাত্রলীগের অংশটিকে সোমবারও ক্যাম্পাসে মহড়া দিতে দেখা যায়।

    উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে এর আগে বেলা ১১টায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র থেকে মৌন মিছিল করে উপাচার্য ভবনের সামনে মানববন্ধন করে শিক্ষার্থীরা।

    কিন্তু টেনশনের বিষয় হলোঃ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আন্দোলনরত সাংস্কৃতিক জোট নেতাকর্মীদের তালিকা করা হচ্ছে। কেন করা হচ্ছে- জানতে চাওয়া হলে প্রক্টর সুকল্যান কুণ্ডু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে তালিকা সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে।”

    এটা কিসের আলামত???

  5. probirbidhan এভাটার

    আজ সকাল থেকে সাংস্কৃতিক জোটের আন্দোলনের কর্মসূচি হিসেবে শুরু হয়েছে শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশন। আগামীকাল সকাল ১০টায় ভিসির বাসভবনের সামনে থেকে শুরু হবে বিক্ষোভ মিছিল। সন্ধ্যায় থাকছে ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী।
    প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা বিকেলে জাদুঘরের সামনে সমাবেশ ও টিএসসি পর্যন্ত মিছিল করেছে। পরবর্তী কর্মসূচী: ৩ মে, বৃহস্পতিবার: বুদ্ধিজীবি, শিল্পী ও গুণীজন সংহতি, সময়: ১১টা, স্থান: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।
    ৪ মে, শুক্রবার: সংহতি যাত্রা (সকল প্রাক্তন শিক্ষার্থীবৃন্দের ক্যাম্পাস অভিমুখে যাত্রা)স্থান: ছবির হাট(ঢাবি চারুকলা), সময়: সকাল ৯:৩০, ও সংহতি সমাবেশ সময়: সকাল ১১টা, স্থান: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।

    খুনী-সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষক, স্বৈরাচারী উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

  6. সাহাদাত উদরাজী এভাটার

    আজো সমস্যার সমাধান হল না, দিন যাচ্ছেই।

    1. probirbidhan এভাটার

      অপেক্ষায় আছি। কাল-পরশু হবে মনে হয়।

  7. probirbidhan এভাটার

    যে ৪জন শিক্ষার্থী আমরন অনশন শুরু করেছেন মঙ্গলবার, তাদের মধ্যে ১জন অসুস্থ হওয়ায় এনাম মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। আজ ২জন শিক্ষিকা যোগ দিয়েছেন অনশনে।

    তাছাড়া সরকারি দলের এমপি কবরী সারোয়ার, প্রফেসর সিরাজুল ইসলাম চৌধুরি, আইনজীবী শাহদীন মালিক, হামিদা সুলতানা ও সারা হোসেন, মানবাধিকার কর্মী খুশী কবির, ঢাবি’র অধ্যাপক গীতিআরা নাসরীন, কলামিস্ট রেহনুমা আহমেদ ক্যাম্পাসে যান এবং আন্দোলনের সাথে সহমত প্রকাশ করেন।

    আগেরদিন নিউ এজ সম্পাদক নুরুল কবির, নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ, শম্পা রেজা, বন্যা মির্জা, সঙ্গীত শিল্পী কৃষ্ণকলি ইসলাম, প্রফেসর আনু মুহাম্মদ সহমত প্রকাশ করেন।

    সেদিন সরকার দলীয় এমপি তারান হালিম, যিনি আবার জাবি’র সিনেট সদস্য, ক্যাম্পাসে গিয়ে ভিসিপন্থী ও ভিসিবিরোধী শিক্ষকদের সাথে সমঝোতার উদ্দেশ্যে আলোচনায় বসেন, কিন্তু আন্দোলনকারি শিক্ষকেরা রাজী না হওয়াতে তিনি ফিরে যান এবং সরকারের সাথে আলোচনা করবেন বলে জানান।

    এদিকে শনিবারের ঘটনায় সাংস্কৃতিক জোটের করা মামলায় ১৬জনের নাম উল্লেখ করা হলেও পুলিশ এখনও কাউককে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

    শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ বলেছেন তিনি ভিসির সাথে আজ কথা বলেছেন, এবং গতকাল প্রধানমন্ত্রীর সাথে জাবি ও বুয়েট-এর অচলাবস্থা নিরসনে আলোচনা করেছেন। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন খুব শিগগিরই এর একটা সমাধান হবে।

  8. probirbidhan এভাটার

    প্রধানমন্ত্রীর মুখের কথায় যদি “শিক্ষক সমাজ” যদি আন্দোলন স্থগিত করে, তবে তা হবে মীরজাফরি, কেননা শিক্ষার্থীরা যারা মার খেয়েছে দিনে দুপুরে তাদের কোন দফা-রফা হয়নি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন শিক্ষকদের তিনি “হতাশ করবেন না”, তার মানে তো এই না যে তিনি ভিসি’কে বাদ দিবেন বা দাঙ্গাবাজ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন। শিক্ষার্থীরা তাদের আন্দোলন অবশ্যই চালিয়ে যাবে, এবং সহমর্মী প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা তাদের পাশে থাকবে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত।

  9. probirbidhan এভাটার

    প্রধানমন্ত্রী বিকেলে ভিসি ও তার অনুগত শিক্ষকদের সাথে কথা বলার পর বললেন “আমি আপনাদের হতাশ করবোনা। রাষ্ট্রপতির সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।”

    হাসবো না কাঁদবো বুঝতে পারছিনা। একই কথা সকালে শিক্ষক সমাজের নেতাদের বলেছেন।

  10. probirbidhan এভাটার

    সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বেরিয়ে উপাচার্য কবীর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাদের সন্তোষজনক আলোচনা হয়েছে। “বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি সম্বন্ধে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেছি। তিনি আমাদের বক্তব্য মনোযোগ সহকারে শুনেছেন। আচার্য যা বলবেন, তা মেনে নেব।”

    তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “খুশি মনে বাড়ি ফিরে যাচ্ছি।” তবে এই সময় তাকে বেশ বিমর্ষ দেখাচ্ছিল। (bdnews24.com)

  11. probirbidhan এভাটার

    এইমাত্র জানা গেল, তাকে সাফ সাফ জানিয়ে দেয়া হয়েছে পদ ছেড়ে দিতে, কিন্তু জনগনকে জানানোর মতো সরকারি ঘোষনা আসতে ১/২ দিন লাগবে। মিষ্টির দোকান খুঁজতাসি।

  12. probirbidhan এভাটার

    গতরাতের অনিশ্চয়তা আর ভিসি অপসারনের সম্ভাবনা সৃষ্টির পরেও শিক্ষার্থীরা আন্দোলন মঞ্চ ছেড়ে উঠে যায়নি, শিক্ষক সমাজের প্রতিনিধিরাও ছিলেন রাতের বেলায়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসের প্রতি সম্মান দেখাতে (তাদের বক্তব্য অনুযায়ী) সকালে তারা তাদের দুজন অনশনকারী শিক্ষককে নিয়ে যান (একরকম জোর করে)। তারপরও তাদের কিছু শিক্ষক আশেপাশেই ছিলেন। কিন্তু ভিসি বাসভবনের মূল ফটকে তৈরি করা মঞ্চ-ত্রিপল ইত্যাদি খুলে নেয়া শুরু করেন।

    দুপুর ১টার দিকে প্রায় শ’খানেক প্রাক্তন শিক্ষার্থী তাদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করতে বাসভবনের সামনে যান, এবং আলোচনা ও গান পরিবেশন করেন।

    সহমর্মীদের মধ্যে আরো ছিলেন শ্রদ্ধেয় কামাল লোহানী, প্রাবন্ধিক-শিক্ষক সলিমুল্লাহ খান, গনসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি প্রমূখ।

    দুপুর ১২টা ৩০-এর দিকে আরো ৩শিক্ষার্থী অনশনে যোগ দেন। কিন্তু বিকেলে মোট ৪জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

    দুঃখজনক হলেও সত্য, এখনো ভিসির পদত্যাগ বা অপসারনের সরকারি কোন ঘোষনা আসেনি, এমনকি শনিবারের হামলায় দোষীদের কোন শাস্তিও হয়নি। শিক্ষার্থীরা অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন, যাবেন যতক্ষন না দাবি আদায় হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

bn_BDবাংলা
Powered by TranslatePress