দুর্নীতি, অনিয়মের খবর প্রকাশের কারনে আক্রান্ত সাংবাদিক

প্রতিমন্ত্রীর ভাতিজা তো একটু দুষ্টু হতেই পারে, কি বলুন? তারা হাই-প্রোফাইল মানুষ, এলাকার সমস্ত কাজ-কর্ম তাদের দেখাশোনা করতে হয়, সরকারি প্রকল্প নিজেদের আওতায় আনতে হয় এবং সেগুলোর যথাযথ ব্যবস্থাপনাও এদের রাজনৈতিক-সামাজিক ও পারিবারিক দায়িত্ব। পরিবারের মধ্যে একজন প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন, তাকে সাহায্য করতে হবে তো।

আর তাই যখন কালের কন্ঠের সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল মামুন, যিনি কিনা প্রতিমন্ত্রীর গ্রামেই থাকেন, পাবনা জেলায় রাজনীতির বিভক্তির জায়গাগুলো, টিআর-কাবিখা এবং অন্যান্য সরকারি প্রকল্প নিয়ে স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির ঘটনাগুলো দলের সিনিয়র নেতাদের সাথে কথা বলে তার পত্রিকায় ছাপালেন ১১ই মে, তখন থেকেই প্রতিমন্ত্রী ও তার আত্মীয়রা তাকে ভয়-ভীতি দেখানো শুরু করে। অবশেষে, সোমবার সকালে বেড়া মার্কেটের সামনে প্রকাশ্য দিবালোকে প্রতিমন্ত্রীর ভাতিজা আমিনুল হক সাথে ৮-১০ জনকে নিয়ে মামুনকে লাঠি-রড দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। সেদিন মামুন বিষয়টি পুলিশকে জানাতে থানায় যাওয়ার সময় হামলার শিকার হন।

মামুনের ভাই আল মাহমুদ সেদিনই প্রতিমন্ত্রীর ভাতিজা আমিনুল ও তার ৫ সাঙ্গ-পাঙ্গের নামে একটি মামলা করেন। টুকুর বড়ভাই বদিউল ইসলামের ছেলে আমিনুল। বাকি ৫জনই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীঃ নজরুল ইসলাম, জাকির হোসেন, হালিম, ফিরোজ এবং হেলাল।

কিন্তু আশ্চর্জনকভাবে, তার পরদিন (পুলিশ যদিও বলছে সোমবারেই) হেলাল উদ্দিন (সেই ৬জনের একজন ফিরোজের বাবা) একটি চাদাবাজির মামলা করেন মামুন, বেড়া উপজেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সরকার আরিফুর রহমান আরব ও মামুনের ভাতিজা শিপলুর বিরুদ্ধে। বাদী হেলাল উদ্দিন তার আর্জিতে লিখেন আভিযুক্তরা তার কাছে ৫০০০০ টাকা চাঁদা দাবি করে এবং সেকারনে উত্তেজিত জনতা মামুনকে মারধর করে।

কি বিচিত্র এই দেশ! এখানে অনিয়ম-দুর্নীতি চাপা দিতে প্রতিবাদকারীদের উপর পাল্টা আঘাত আসে। জাতীয় রাজনীতির এই পুরোনো সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি দিনবদলের ডাক দেয়া আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী-সমর্থকেরা। আবার এই পত্রিকাটি বসুন্ধরা গ্রুপের বলে এবং প্রতিমন্ত্রী জড়িত থাকায় দেশের অনেক স্বনামধন্য সংবাদ মাধ্যমে খবরটিকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।  

উল্লেখ্য, সোমবার দুপুরেই বেড়া উপজেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংবাদিকরা মামুনের উপর হামলার নিন্দা করে একটি সমাবেশ করেন আরিফুর রহমানের সভাপতিত্বে।

ঘটনার পর দুপুরে টুকু কালের কণ্ঠকে জানান, “গ্রামের ছেলেরা একটা গণ্ডগোল করেছে বলে শুনেছি। আমি পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।” এ ঘটনার সঙ্গে তাঁর ভাতিজা সম্পৃক্ত রয়েছে জানানো হলে তিনি বলেন, “আমার অনেক দুষ্টু আত্মীয় আছে। তাদেরকে আমার সীমানায় ভিড়তে দেই না। আমি রাজনীতিবিদদের নিয়ে রাজনীতি করি। এ ঘটনায় আমার নাম জড়ানো দুঃখজনক।”

জানা গেছে, সোমবার রাতেই টুকু তার বাড়িতে স্থানীয় গন্য-মান্যদের সাথে বসে মারপিটের বিষয়টা মিটমাট করা চেষ্টা করেন। ডেইলি স্টারকে টুকু বলেন সেই সাংবাদিক নাকি “গ্রাম-সংক্রান্ত কিছু বিষয়ে পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন।”

সেই সালিশে কাজ হয়নি বলেই মামুনের বিরুদ্ধে মামলা হলো বলে স্পষ্ট প্রমান হয়।

বিষয়টি সরাসরি প্রতিমন্ত্রী সাহেব দেখছন বলে পুলিশ মামুনকে মারধরের ও চাঁদাবাজির মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার করছেনা বলে বেড়া থানার ওসি জানালেন।

এদিকে, গত ১১ মে কালের কণ্ঠের ১৪ পৃষ্ঠায় ‘টিআর-কাবিখা-টেন্ডার পান এমপি টুকুর স্বজনরা’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র টুকু। সাংবাদিকের ওপর হামলার পর বিকেলে তার পক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা আরিফুর রহমান স্বাক্ষরিত এই প্রতিবাদ পাঠানো হয়। প্রতিবাদপত্রে বলা হয়েছে, সরকারি বিধিমোতাবেক টিআর-কাবিখার উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বাস্তবায়ন কমিটিতে প্রতিমন্ত্রীর আত্মীয়-স্বজন জড়িত ছিল না, এখনো নেই। তবে প্রতিমন্ত্রী প্রতি মাসে একাধিকবার পাবনায় তাঁর নির্বাচনী এলাকা (বেড়া-সাঁথিয়া) সফর করে সেখানে উন্নয়ন কর্মসূচির তদারকি করেন ও সাংগঠনিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য নির্দেশনা দেন। এতে দাবি করা হয়েছে, রাজনৈতিক দূরভিসন্ধি ও ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার হীন প্রয়াসে এরকম বানোয়াট গল্প ছাপানো হয়েছে।

এই প্রতিবাদলিপির বিষয়ে কালের কন্ঠ জানিয়েছে: “প্রকাশিত সংবাদে সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদক মনগড়া কোনো বক্তব্য পরিবেশন করেননি। সংশ্লিষ্ট জেলার দলীয় নেতাদের বক্তব্য নিয়ে প্রতিবেদনটি পরিবেশন করা হয়েছে। এতে বেড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. গোলজার হোসেনের বক্তব্য সনি্নবেশিত রয়েছে। ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বলেন, ‘আমি ৪০ বছর ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। বর্তমানে রাজনীতি ছেড়ে ঘরে এসে উঠেছি। কারণ এখন টেন্ডারবাজি, টিআর-কাবিখা লুটপাট, টাকার বিনিময়ে নিয়োগবাণিজ্য ছাড়া দলীয় কার্যক্রম প্রায় কিছুই হচ্ছে না। যা কিছু সুযোগ-সুবিধা তার সবকিছুই পাচ্ছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও প্রতিমন্ত্রীর অনুসারী কিছু পকেটকর্মী, ভাই ও আত্মীয়-স্বজন। ফলে তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সৃষ্টি হয়েছে যোজন যোজন দূরত্ব। আর এই দূরত্বই আগামী নির্বাচনে দলের জন্য নিয়ে আসবে ভয়াবহ বিপর্যয়।’

পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য আ হ ম ফজলুর রহমান মাসুদের বক্তব্যও সংবাদে পরিবেশন করা হয়। মাসুদ বলেন, সংসদ সদস্য ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু তার ছোট ভাই আবদুল বাতেনকেন্দ্রিক রাজনীতি করেন। আবদুল বাতেন তথাকথিত জামায়াত-বিএনপি সমর্থকদের নিয়ে সভা-মতবিনিময় করলেও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের নিয়ে সভা-সমাবেশ করেন না।

কি ছিল ওই প্রতিবেদনে?

পাবনা-১ নির্বাচনী এলাকার হালহকিকত নিয়ে লেখা এই প্রতিবেদনে সাংবাদিক মামুন প্রথমেই টুকুর এমপি হবার কারন হিসেবে উল্লেখ করেনঃ “২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আ. লীগ নেতা সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ সংস্কারপন্থী নেতা হওয়ার সুবাদে দলীয় মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত হন। সেই সঙ্গে পাবনা জেলা আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু নাটকীয়ভাবে পেয়ে যান দলীয় মনোনয়ন। তিনি জামায়াতের আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীকে প্রায় ২২ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।”

বর্তমান সরকারের সাড়ে তিন বছর পেরিয়ে গেলেও চোখে পড়ার মতো তেমন কোনো উন্নয়ন না হওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে রয়েছে চরম হতাশা।

ভৌগোলিক ও রাজনৈতিক দিক থেকে পাবনা-১ আসনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখান থেক জয়ী নেতারা প্রতিমন্ত্রী/উপমন্ত্রী হয়েছেন স্বাধীনতা-পরবর্তী নির্বাচন থেকে শুরু করে বিভিন্ন আমলে। কিন্তু টুকু এখানে মন্ত্রী হবার পর থেকে আবু সাইয়িদের পক্ষের লোকদের উপজেলা কমিটি থেকে বহিষ্কার করে করে ভারপ্রাপ্তদের দিয়ে চালানো হচ্ছে। গত ৭-৮ বছরে বেড়া বা সাথিঁয়া উপজেলা কমিটি পূনর্বিন্যাস করা হয়নি।

গত নির্বাচনের পর থেকে দুই উপজেলায় স্পষ্টতই আওয়ামী লীগ দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, অধ্যাপক আবু সাইয়িদের অনুসারীদের দলের নেতৃত্ব থেকে নানা কায়দায় শামসুল হক টুকু বাদ দেন অথবা নিষ্ক্রিয় করে রাখেন। এর ফলে সাইয়িদ অনুসারী বলে পরিচিত দুই উপজেলায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বড় একটি অংশ দীর্ঘদিন ধরে নিষ্ক্রিয় হয়ে রয়েছে।

মামুনের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে সাংগঠনিক দূর্বলতা ও সমন্বয়হীনতার চিত্র। “ক্ষুব্ধ অনেক নেতা-কর্মী জানান, আনুষ্ঠানিক প্রয়োজন ছাড়া সংসদ সদস্যের সঙ্গে বেশির ভাগ নেতা-কর্মীরই কোনো সমন্বয় নেই। সাংগঠনিক থেকে শুরু করে উন্নয়নমূলক সব কাজেরই তদারকি করেন তাঁর ছোট ভাই মেয়র আবদুল বাতেন। তাই অনেকেই আবদুল বাতেনকে লোকাল মন্ত্রী বলে জানেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নেতা-কর্মীরা জানান, বিগত জোট সরকারের আমলে যারা দাপট দেখিয়েছে এবং নিবেদিত নেতা-কর্মীদের নির্যাতন করেছে, তারাই এখন ক্ষমতার স্বাদ উপভোগ করছে। এসব সুবিধাবাদীর কারণে দলের সুনাম নষ্ট হচ্ছে।”

বেড়া ও সাঁথিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রমেও দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে সাড়ে তিন বছর ধরে আওয়ামী লীগ বা এর অঙ্গসংগঠনগুলোর কোনো কার্যক্রম নেই বললেই চলে।

এখন পর্যন্ত দুই উপজেলায় দলটির স্থায়ী কোনো দলীয় কার্যালয় গড়ে ওঠেনি। যদিও বেড়া উপজেলায় স্বরাষ্ট্র টুকুর ভাইয়ের একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে দলীয় কার্যালয় হিসেবে সাইনবোর্ড টানানো হয়েছে। কিন্তু সেটি সব সময় তালাবদ্ধ থাকায় ভুলেও সেখানে কোনো নেতা-কর্মী বসেন না।

অন্যদিকে সাঁথিয়া উপজেলায় সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদের ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গায় নির্মিত একটি ঘরকে নামমাত্র অস্থায়ী কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

“দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০০৩ সালে বেড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও ২০০৪ সালে সাঁথিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন করার পর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত নতুন কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এর মধ্যে বেড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাংগঠনিক সম্পাদকসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদের নেতাদের বহিষ্কার করে ওই পদগুলোতে ভারপ্রাপ্তদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বহিষ্কৃত সভাপতি ও সাংগঠনিক সম্পাদক গত নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নবঞ্চিত অধ্যাপক আবু সাইয়িদের অনুসারী হওয়ায় তাঁদের বহিষ্কার করা হয় বলে জানা গেছে। অন্যদিকে সাঁথিয়া উপজেলা কমিটিকে ভেঙে দিয়ে সমপ্রতি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এসব কর্মকাণ্ডে দুই উপজেলার তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে তীব্র ক্ষোভ। দীর্ঘদিন ধরে দলীয় কর্মসূচিগুলোও ঠিকমতো পালিত হয় না বলে নেতা-কর্মীরা জানান। এমনকি বঙ্গবন্ধুর জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকীও এখানে ঠিকমতো পালিত হয় না।”

“এদিকে টুকুর সঙ্গে তাঁর কাছের নেতা-কর্মীদেরও নানা কারণে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। ফলে তাঁর অনুসারীদের একটা অংশও বেশ কিছুদিন ধরে নিষ্ক্রিয় হয়ে রয়েছে। সব মিলিয়ে বেড়া-সাঁথিয়া নির্বাচনী আসনে বর্তমানে আওয়ামী লীগের অবস্থা অনেকটাই বেসামাল।”

টুকুর অনুসারীই শুধু নয়, দলের সাধারণ নেতা-কর্মীদেরও অভিযোগ, “বর্তমানে আওয়ামী লীগ এক পরিবারকেন্দ্রিক হয়ে পড়েছে। দল ক্ষমতায় আসার পর টুকুর ছোট ভাই মেয়র আবদুল বাতেনসহ আত্মীয়স্বজন ও পছন্দের লোকেরা টিআর, কাবিখা, টেন্ডার থেকে শুরু করে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছেন। আর এতে স্থানীয় নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বেড়েই চলেছে।”

জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আল মাহমুদ সরকার বলেন, দল ক্ষমতায় আসার পর পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের অভাব ও ক্ষমতার দাপট বেড়েছে। তিনি বলেন, “আমরা যখন বিরোধী দলে ছিলাম, জেল-জুলুম খেটেছি। ক্ষমতায় আসার পর ভেবেছিলাম, আমরা দলকে শক্তিশালী করে তুলব, যাতে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি রাজনৈতিকভাবে আমাদের ওপর আর কর্তৃত্ব করতে না পারে। কিন্তু বর্তমান অবস্থায় আমাদের সব আশা শেষ হয়ে গেছে।”

Comments

    1. probirbidhan এভাটার

      সেই ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি সরকারি দলের লোকেরা ও তাদের আশেপাশের লোকজন নিজেদের আইনের উর্ধ্বে মনে করে। এই সংস্কৃতির কোন বদল হচ্ছেনা, খুবই হতাশাজনক ভাই। এইবার আওয়ামী লীগের কাছে অনেক আশা ছিল। নতুন কিছু দেখার আশায় থাকতে থাকতে সাড়ে ৩বছর পার হয়ে গেল ভাই।

      1. সাহাদাত উদরাজী এভাটার

        প্রবীর ভাই, কি ভুল যে করছে তা নিজ চোখে দেখছি মাত্র। আমার মনে হয় না আগামীতে তারা ক্ষমতায় আসবে… বাসে পথে ঘাটে মানুষের অবস্থা দেখে বলছি…

        কিছুতেই তারা বাহবা পাওয়ার কাজ করে নাই, খালি কথার ফুল ঝুড়ি…

        মাঝে মাঝে মনে হয়, এরা কি সাধারণ মানুষের মুখ দেখছে না।।

        লজ্জা, সেইম…।

        1. probirbidhan এভাটার

          দেখছে তো বটেই। কিন্তু যারাই প্রতিবাদ করছে বা নাখোশ আছে, সবাইকে সরকারি লোকেরা “বিরোধীদল” মনে করছে এবং পাত্তা দিচ্ছেনা। বুঝবে ঠেলা কদিন পরেই। নিজের জালে নিজেই আটকাবে।

          1. সাহাদাত উদরাজী এভাটার

            আপনি ঠিক বলেছেন? লেজে গু লাগিয়েছে এখন এর পর মুখে লাগাবে…। এটাই ওদের কাজ…।

            আফসোস লাগে। এত চান্স পেয়েও দেশের মানুষের পাশে দাড়াতে পারল না…।

  1. probirbidhan এভাটার

    এইবার পাবনার এডওয়ার্ড কলেজ ক্যাম্পাসে ডেকে নিয়ে সাংবাদিক এবিএম ফজলুর রহমানের হাতে কোপালো সন্ত্রাসীরা। তার ডান হাতটার অবস্থা আশংকাজনক। বাম হাতেও কুপিয়েছে অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা। তবে অনুমান করা যায়, যারা এই কলেজে কিছুদিন আগে নাচের আসর বসিয়েছিল তারাই এ কাজ করেছে। কেননা এই সাংবাদিক যিনি দৈনিক সমকাল ও এনটিভি’র সাথে কাজ করেন তিনি এই ঘটনা ছাপিয়ে দিয়েছিলেন।

  2. probirbidhan এভাটার

    সরকারবিরোধীদের বিক্ষোভের ছবি তুলতে গিয়ে পুলিশের হাতে মার খেলেন সাংবাদিক, গালিও খেলেন; তাকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হলেন আরো দুজন! তাঁর উপর আবার তাদের নেয়া হলো হাজতে! সাংবাদিক মারলে নাকি কিছু হয়না!

    তার মানে কি! সারা দেশে রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক দলের সমর্থক, শিক্ষক-ছাত্র নির্বিশেষ সকল বিক্ষোভকারী ও সাংবাদিকদের উপর পুলিশের বেপরোয়া আক্রমন ও বিশেষ ক্ষেত্রে নির্লিপ্ত আচরন দিন দিন বাড়ছেই। আর সরকার ও প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা না নিয়ে এবং ক্ষেত্রবিশেষে জড়িতদের পুরষ্কৃত করে এ ধরনের আচরনকে উৎসাহিত করছে।

    শুধু প্রত্যাহার করলেই হবেনা, তেজগাঁও এলাকার সহকারি কমিশনার, সাদা পোশাকের পুলিশ ও অন্যান্য দায়ী পুলিশ সদস্যদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

  3. probirbidhan এভাটার

    পুলিশের উপস্থিতিতে বেসরকারি ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের বেনাপোল প্রতিনিধি আবদুর রহিমকে একদল দুর্বৃত্ত হাতুড়িপেটা করেছে। গতকাল বুধবার বেলা ১১টার দিকে যশোরের বেনাপোল পৌরসভার সামনে এ ঘটনা ঘটে। http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-06-14/news/265706

মন্তব্য করুন

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

bn_BDবাংলা
Powered by TranslatePress