[slideshow]রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অতি সম্প্রতি এক আজব কারবার ঘটে গেছে। কে বা কারা দল থেকে বহিষ্কৃত এক ছাত্রলীগ নেতার বাম হাত ও পায়ের রগ কেটে দিল।
কিছুদিন আগে এই ভিকটিম ক্যাম্পাসে জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের সাথে এক সংঘর্ষে পিস্তল থেকে গুলি করেছে জনসমক্ষে। তার মানে কি শিবির প্রতিশোধ নিলো?
আবার, এটা কি রাবি ছাত্রলীগের অন্তর্কোন্দলের ফল? যেহেতু জামায়াত শিবির কিছুদিন ধরে সারাদেশে উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা করছে, এই সুযোগে কি ছাত্রলীগের অন্য গ্রুপের সন্ত্রাসীরা শিবিরের কায়দায় রগ কেটে দিল এই বহিষ্কৃত নেতার? আবার এই বহিষ্কৃত নেতার পক্ষে ক্যাম্পাসে বিশাল মিছিল বের করে কি বুঝাতে চাইলো ছাত্রলীগ?
আরো মজার বিষয় হলো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য: উনি বুঝে ফেল্লেন এইটা শিবিরের সন্ত্রাসীদের কাজ এবং পুলিশকে আদেশ দিলেন দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে শিবির দমনের।
আমরা বহুবছর আগে থেকেই শুনে আসছি রাবি, চবি, শাহজালাল, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের প্রভাব অনেক বেশি। যেই জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধীতা করেছে ও তার ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘ তাদের পথ অনুসরন করেছে, সেই শিবিরকে কেন এত বাড়তে দেয়া হয়েছে সেটাই এখন মূল প্রশ্ন।
এটা স্বীকার করতেই হবে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান জামায়াতকে বাংলাদেশে রাজনীতি করার লাইসেন্স দিয়েছিলেন আর তাই তার বিধবা স্ত্রী খালেদা জিয়া জামায়াতকে জামাই আদরে রেখেছে। ২০০১-২০০৬ সালে জামায়াতের নিজামী ও মুজাহিদকে দুটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী করায় বাংলাদেশে জামায়াতের অবস্থান শক্ত হয়।
এদের দমন বা নিয়ন্ত্রন এখন এতই শক্ত হউএ পড়েছে যে, রামুর হামলা, হাটহাজারি-সাতক্ষীরায় হিন্দুদের গ্রামে লুট ও অগ্নিসংযোগ, রংপুরে আহমদীয়াদের উপর হামলা, এবং সারা নভেম্বর জুড়ে পুলিশের উপর হামলায় জামায়াত-শিবিরের সরাসরি সংশ্রব ছিল জেনেও সরকার এই দলের বিরুদ্ধে ডায়লগবাজী ছাড়া কোন কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারছেনা।
এদিকে শুক্রবার আখেরুজ্জামান তাকিমের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নজির সৃষ্টি করেছে আওয়ামী লীগের এই ছাত্র সংগঠনটি।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অবশ্যই লগইন করতে হবে।