জামায়াতের বিপদ ও জোটের অন্য দল

জামায়াত, ইসলামী ঐক্য জোট, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) ও খেলাফত মজলিশের বাইরে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), কল্যান পার্টি, জাতীয় গনতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা), ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি), বাংলাদেশ লেবার পার্টি, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি), বাংলাদেশ ন্যাপ, মুসলীম লীগ, ইসলামিক পার্টি, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ-ভাসানী) বর্তমানে বিএনপির নেতৃত্বে জোটে আছে।

সম্প্রতি কয়েকজন সিনিয়র বিএনপি নেতা হরতালে গাড়ি ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, সচিবালয়ে বোমা নিক্ষেপ ইত্যাদি মামলায় দৌড়ের উপর আছেন। আবার খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধেও চলছে কয়েকটি দুর্নীতির মামলা, একই রকম চাপে আছেন তার দুই ছেলে।

অন্যদিকে স্বাধীনতার ৪০ বছর পর শুরু হওয়া যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে কারাগারে আছেন নয়জন, যাদের মধ্যে দুইজন বিএনপি নেতা — খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা সাকা চৌ ও জিয়াউর রহমানের আমলের প্রতিমন্ত্রী আব্দুল আলীম। এদেরকে বাঁচাতে বিএনপির আন্দোলন-সংগ্রাম আছেই।

কিন্তু যুদ্ধাপরাধের বিচারকাজ বন্ধের দাবিতে আন্দোলন করছে স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত, তাদের দাবি দলের সাতজন নেতাকে মুক্তি দিতে হবে, নইলে তারা … সবই করবে। জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে এখন পর্যন্ত ঘোষনা দিয়ে সম্পৃক্ত হয়েছে তাদের সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবির (আগে নাম ছিল ইসলামী ছাত্র সংঘ)। এই দুইটি দলই ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় অবিভক্ত পাকিস্তানের পক্ষে পাকিস্তানি সেনাবাহিনির সাথে বাঙ্গালীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে, দেশে-বিদেশে জনমত গড়ার চেষ্টা করেছে, দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক শান্তি কমিটি-রাজাকার-আলবদর-আলশামস গঠন করে গনহত্যা-গুম-ধর্ষন-লুট-অগ্নিসংযোগ করেছে।

যুদ্ধাপরাধের দায়ে এদের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হলেও দল হিসেবে জামায়াতের বিচার করার কোন উদ্যোগ বা চিন্তা-ভাবনা সরকারের আছে কিনা তা এখনও জানা যায়নি।

আবার সাম্প্রতিকসময়ের কয়েকটি সাম্প্রদায়িক হামলার (বিভ্রান্তি ছড়ানোর মাধ্যমে বিশেষ করে হাটহাজারি, সাতক্ষীরা, দিনাজপুর, বাগেরহাট, রামু, উখিয়া ও সর্বশেষ রংপুরে আহমেদিয়া সম্প্রদায়ের উপর ন্যাক্কারজনক হামলা) সঙ্গে জামায়াতের নেতা-কর্মীদের সরাসরি সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। এসব ক্ষেত্রে অন্যান্য দলের সমর্থকরা সংশ্লিষ্ট থাকলেও জামায়াতের নেতৃত্বের কথাই শোনা যায়।

এখনও এই দলটির গঠনতন্ত্রে যা বলা হচ্ছে তা বাংলাদেশের সংবিধানের সংগে সাংঘর্ষিক। তদুপরি আমাদের নির্বাচন কমিশনের উদারতার কারনে ২০১০ সালের জানুয়ারির মধ্যে তা সংশোধন করার কথা থাকলেও অদ্যাবধি জামায়াত তা করেনি। এমনকি গত ৪ঠা নভেম্বর পাঠানো চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে জামায়াত বেঁধে দেয়া একমাসের বাইরে আরো সময় চেয়েছে। এর আগে দলটি সাংঘর্ষিক কিছু থাকার কথা অস্বীকার করেছে।

এমতাবস্থায় নভেম্বরের শুরুতে নয়দিনব্যাপী আন্দোলনের ডাক দেয় জামায়াত, মূল দাবি যুদ্ধাপরাধের দায়ে আটক নেতাদের মুক্তি। আর তার পরদিন থেকেই আমরা দেখছি পুলিশের উপর জামায়াত-শিবিরের পরিকল্পিত হামলা। সরকারের দাবি তারা ধৈর্য্যের প্রমান দিয়েছে, আর জামায়াতের দাবি সরকার তাদের ‘শান্তিপুর্ণ’ কর্মসূচীতে বাধা দিচ্ছে।

এদিকে দলের প্রধান থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সহযোগিতার আভাস পেয়ে ছাত্রলীগ-যুবলীগ প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করে কোথাও জামায়াত-শিবিরের হাতে মার খেয়েছে আর কোথাওবা উল্টো তাদের অফিস-কোচিং সেন্টার ভাংচুর করেছে বা আগুন লাগিয়ে দিয়েছে।

সরকার জামায়াত-শিবিরের ‘প্রকাশ’ চন্ত্রান্ত মোকাবেলায় জনগনের সমর্থন চাইলেও তা খুব একটা আশাবাদী করতে পারেনি মানুষকে।

প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে প্রায় সবাই এদের রুখে দেবার কথা বললেও এখন পর্যন্ত তার চিহ্নমাত্র দেখা যাচ্ছেনা।

কারনটা বোধ করি, আওয়ামী লীগে জামায়াতের লোকের প্রাদুর্ভাব ও দলীয় কোন্দল, প্রশাসনের উপর সরকারের প্রভাব কমে যাওয়া, প্রশাসনের জামায়াত-বিএনপির সমর্থকদের অসহযোগিতা এবং বিশেষ করে জামায়াতের বিরুদ্ধে সরকারি হুমকি ও কর্মসূচী পণ্ডের বিরুদ্ধে বিএনপির নেতাদের স্পষ্ট অবস্থান।

সোনায় সোহাগা হয়েছে বৃহস্পতিবার, যেদিন ইসলামী ঐক্যজোটের প্রধান মুফতি আমিনী বলে, যুদ্ধাপরাধ বিরোধী চলমান বিচারকে নাকি সে সমর্থন করে “কিন্তু বিচারের নামে প্রহসন হলে এদেশের মানুষ তা মানবে না।” হাহাহা… সোজা করে বলার সাহসটা নাই যে, এই বিচার বন্ধ কর।

তার দাবি জামায়াত-শিবিরের উপর জুলুম নির্যাতন নাকি কেউ সমর্থন করতে পারে না।

বিশ্লেষনসহ একটা ফতোয়াও দিয়ে দিলো এই লোকটা!!! “আওয়ামী সরকার ইসলামকে র্নিমূল করা, ইসলামী রাজনীতি বন্ধ করা, মাদ্রাসা মসজিদকে ধ্বংস করার জন্য যা করার দরকার তার সবই করছে। ইসলাম র্নিমূলের এজেন্ডা নিয়ে এ সরকার ক্ষমতায় এসেছে। শেখ হাসিনার পতনে আন্দোলন এখন ফরজ হয়ে গেছে।”

জামায়াত-শিবিরসহ সম্প্রতি ইসলামপন্থী ও জাতীয়তাবাদী শক্তির উপর সরকারের আগ্রাসী ভূমিকার প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, “সরকার আগুন নিয়ে খেলা শুরু করেছে। এই আগুনে তাদেরকেই জ্বলতে হবে।”

জামায়াতের ব্যাপারে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮দলীয় জোটের প্রায় সবার মনোভাব একইরকম। সাংবাদিকদের সামনে কতটা রাখঢাক করলো সেটা সলে ধর্তব্য নয়।

আমি মনে করি, এখনই উপযুক্ত সময় জামায়াত-শিবিরকে থামানোর। ১৯৭৫ সালের পর এত ভালো সুযোগ আসেনি এ জাতির জীবনে।

অবিলম্বে স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-শিবির ও সমমনা ভন্ড রাজনৈতিক দলগুলোর সব নেতা-কর্মীদের নামের তালিকা করে এদের আইনানুগভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে। তালিকার কথাটা বললাম কেননা এরা তখন হয় আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যাবে নয়তো বিএনপিতে যোগ দিবে, যেই দলের প্রধান জামায়াতকে প্রথম বাংলাদেশে করার সুযোগ দিয়েছিল।

খালেদা জিয়া ১১ই নভেম্বর রামুতে বলেনঃ নির্যাতন বাড়িয়ে জামায়াতকে পক্ষে নেবার চেষ্টা করছে আওয়ামীলীগ। ‘৯৬-এ নিজামীকে পাশে রেখে কর্মসূচী ঘোহশনা করেছেন, ‘৮৬-তে এরশাদের অধীনে নির্বাচন করেছেন জামায়াতকে নিয়ে। আওয়ামীলীগকে বিশ্বাস করা যায়না। জামায়াত এখন সন্ত্রস্ত, এ অবস্থায় দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যেতে বাধ্য করার জন্য অত্যাচার বাড়িয়ে দিয়েছে সরকার। আওয়ামীলীগ ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলে অন্য ধর্মের মানুষের উপর অত্যাচার করে, সম্পদ দখল করে। কিন্তু আমরা সবার স্বাধীন ধর্মকর্মের মূল্যবোধে বিশ্বাসী। এ দেশে সাম্প্রদায়িকতার স্থান নেই।

আমীর খসরু ৯ই নভেম্বর: জামায়াত বিএনপি’র স্ট্র্যাটেজিক এলায়েন্স, শুধু নির্বাচন সংক্রান্ত জোট, আদর্শগত নয়। আশরাফের বক্তব্য রাজনৈতিক। সরকারের জোটেও বিভিন্ন মতের দল আছে, স্বোইরাচার এরশাদ আছে। গনতান্ত্রীক রাষ্ট্রব্যবস্থায় সবাইকে রাজনীতি করার সুযোগ দিতে হবে।

৬ই নভেম্বর মির্জা ফখরুল বলেন সরকার কোন উস্কানি ছাড়াই ৫ তারিখে সারাদেশে জামায়াতের কর্মসূচীতে অমানবিকভাবে হামলা করেছে। তিনি সকল গ্রেপ্তারকৃত নেতা-কর্মীর মুক্তি এবং আহতদের চিকিৎসা দেবার দাবি জানান। ৫ তারিখের পুলিশী হামলা ছিল এই স্বৈরাচার সরকারের ক্ষমতায় থেকে যাওয়ার ষড়যন্ত্রের অংশ।

১৪ নভেম্বর ১৮ দলের বৈঠকের পর ফখরুল দাবি করেন পুলিশের উপর হামলায় জামায়াতকে প্ররোচনা দেয়নি বিএনপি। জামায়াতের কাজের জন্য তারা নিজেরাই জবাবদিহি করবে। তবে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারন করে বলেন পরবর্তীতে সংঘর্ষ এড়াতে সরকারের উচিত জামায়াতের গনতান্ত্রিক কর্মসূচীতে বাধা না দেয়া।

পাকিস্তানপ্রেমী জামায়াত কেন বাংলাদেশে রাজনীতি করে?

জামায়াতের ইসলাম, রাজনীতি ও আমাদের দূর্বলতা

Comments

  1. probirbidhan এভাটার

    জামায়াত-শিবির ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে তাদের কর্মীদের উজ্জীবিত করার কৌশল নিয়েছে। এমনি একটি ক্ষুদেবার্তা এ রকম_ ‘গুলি, লাঠি আর টিয়ার শেলসহ যত কিছু আসুক, এক মিনিটের জন্য কাপুরুষের মতো পরিচয় দেওয়া যাবে না। হয় শহীদ, নয় গাজী। মনে রাখবেন, শহীদ মুজাহিদ, মাসুম, রমজান, মনজুর, নোমানী, হাফেজ, ফয়সাল, সাবি্বর, মালেকসহ ১৩৯ শহীদের কফিন আমাদের সামনে। মায়ের বুকফাটা আর্তনাদ আর কান্নায় আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে আছে। হে আল্লাহ, জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে সবকিছু মোকাবেলার তওফিক আমাদের দাও’। নেতার মোবাইল ফোন সেট জব্দ করে ক্ষুদেবার্তাটি পায়। পুলিশ বলছে, হামলার নির্দেশনায় কারও নাম নয়, মাঠ পর্যায়ের দলের প্রত্যেকের নামে থাকা পৃথক কোড নম্বরের মাধ্যমে সাংকেতিক যোগাযোগ করে জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা। হামলার সময় তারা সাংকেতিক ভাষা ব্যবহার করে। এ কারণে তাৎক্ষণিকভাবে হামলার পরিকল্পনাকারী ও মাঠ পর্যায়ে কারা উপস্থিত রয়েছে, তা শনাক্ত করা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষে সম্ভব হয় না। তবে জামায়াত-শিবির বিভিন্ন স্থানে হামলার জন্য ‘অ্যাটাকিং’ স্কোয়াড গঠন করেছে বলে পুলিশের কাছে তথ্য রয়েছে।

    মতিঝিল থানার অফিসার ইনচার্জ হায়াতুজ্জামান সমকালকে বলেন, সম্প্রতি গ্রেফতার হওয়া জামায়াত-শিবিরের একাধিক নেতাকর্মীর মোবাইল সেট জব্দ করা হয়। সেখানে পুলিশের ওপর জঙ্গি স্টাইলে হামলা করার নির্দেশ দিয়ে ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হয়।
    যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আটক জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের মুক্তি দাবিতে রাজধানীসহ সারাদেশে সহিংস হয়ে উঠছে জামায়াত-শিবির কর্মীরা। পুলিশের ওপর হামলাও করা হচ্ছে। রাজধানীতে আইনমন্ত্রীর গাড়িবহরেও হামলা করা হয়েছে। এসব ঘটনায় ইতিমধ্যে জামায়াত-শিবিরের কয়েকশ’ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জামায়াত-শিবিরের ‘অ্যাটাকিং’ স্কোয়াড, অর্থদাতাদের ব্যাপারে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে গোয়েন্দারা। পুলিশ ও গোয়েন্দা সূত্র জানায়, বিদেশ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে হামলা-সহিংসতায় ব্যবহার করা হয়েছে_ জামায়াতসংশ্লিষ্ট এমন ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া গেছে। এমনকি বছরখানেক আগে থেকেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে টার্গেট করে জামায়াত-শিবির হামলার পরিকল্পনা করে আসছিল। হামলার জন্য তারা বিশ্বস্ত সদস্যদের দিয়ে ছয়জনের একেকটি দল তৈরি করে। কোনো গ্রুপে ছিল ১০ জন। প্রতিটি গ্রুপে একজনকে ‘দলনেতা’ হিসেবে মনোনীত করা হয়। মেডিকেল কলেজকেন্দ্রিক শিবিরের নেতাকর্মীরা কীভাবে কাজ করবে_ এমন পরিকল্পনা প্রণয়নে একাধিক দফায় বৈঠক হয়েছে। ওই বৈঠকে কী কী নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে_ তার লিখিত নথিপত্র গোয়েন্দাদের হাতে রয়েছে।

    কাফরুল থানা জামায়াতের মাসিক পরিকল্পনা :চলতি বছরের অক্টোবরের পরিকল্পনায় সাংগঠনিক শক্তি বাড়ানো, চাঁদা আদায়, সদস্য অন্তর্ভুক্তিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কর্মীদের প্রতি নির্দেশনায় বলা হয়েছে_ প্রতি ইউনিটে চারটি প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে; ওয়ার্ড ও ইউনিট পর্যায়ে তরবিয়াতি প্রোগ্রাম বাস্তবায়নে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে; প্রত্যেক ইউনিট মাসে কমপক্ষে একজন কর্মী, দু’জন সক্রিয় সহযোগী ও চারজন সহযোগী বাড়াবে; প্রত্যেক ওয়ার্ড দুটি গরু কোরবানির প্রস্তুতি গ্রহণ করবে; জনশক্তির কাছ থেকে ওয়াদাকৃত শতভাগ বায়তুলমাল আদায় নিশ্চিত করতে হবে; ওয়ার্ড কমপক্ষে ৫০০ টাকা ও ইউনিট কমপক্ষে ১০০ টাকা বায়তুলমাল বৃদ্ধি করবে; জনশক্তির কাছ থেকে বিশেষ ওয়াদা আদায়ের ব্যাপারে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে; রাজনৈতিক শতরূপ ভোটার বানানো নিশ্চিত করতে হবে এবং অন্য জায়গার ভোটার হলে সাংগঠনিক এলাকায় তা স্থানান্তরের ব্যবস্থা করতে হবে; সহযোগী, সক্রিয় সহযোগী ও সুধীদেরকেও ভোটার বানাতে হবে এবং বিশেষ ওয়াদা আদায় ও থানার স্থায়ী অফিস কেনার জন্য প্রত্যেক জনশক্তির ওয়াদা নিশ্চিত করতে হবে।

  2. probirbidhan এভাটার

    ‘সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী জাতীয় কনভেনশনের’ তারিখ পরিব্রতন হয়েছে। ৮-এর বদলে তা ১৩ তারিখে হবে ঢাকার মহানগর নাট্যমঞ্চে সকাল ১০টায়। ধর্মকে পুঁজি করে যারা রাজনীতি করতে চায় তাদের সক্রিয় প্রচেষ্টায় দেশে সাম্প্রদায়িকতা, মৌলবাদ ও জঙ্গীবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু-বৌদ্ধ ও আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ধর্মীয় স্থাপনা ও বসতিতে হামলা, লুটপাট, ভাংচুর ও অগ্নি-সংযোগের মতো ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে চলছে। সম্প্রতি মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করার জন্য তারা সারা দেশে সংগঠিতভাবে সহিংসতা চালাচ্ছে।

    এই উগ্র, ফ্যাসিস্ট, ধর্মান্ধ সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর তৎপরতার বিরুদ্ধে দল-মত নির্বিশেষে সকল শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ সক্রিয় হোন, ঘরে ঘরে সাম্প্রদায়িকতা-বিরোধী দূর্গ গড়ে তুলুন। সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে সকল ব্যক্তি ও শক্তিকে একত্রিত করুন। জাতীয় সম্মেলন সামনে রেখে জেলায় জেলায় ‘সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী সম্মেলন সমর্থক ফোরাম’ গঠন এবং সমাবেশ-বিক্ষোভ আলোচনা সভা, সেমিনার, মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে জাগরণ সৃষ্টি করুন। খবরটা সবখানে ছড়িয়ে দিন।

  3. probirbidhan এভাটার

    Friday, 30th November, 2012 (http://www.dailysangram.com/news_details.php?news_id=102624)
    আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সামনে থেকে আইনশৃক্মখলা বাহিনী কর্তৃক জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর মাওলানা সাঈদীর পক্ষে সাক্ষ্য দিতে এসে সাক্ষী সুখরঞ্জন বালী অপহরণের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনা। একই সাথে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে আসামী পক্ষের সাক্ষী অপহরণের ঘটনার বিষয়ে প্রকৃত তথ্য ও ব্যাখ্যাও জানতে চেয়েছেন মার্কিন এই রাষ্ট্রদূত। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে তিনি আইনমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সাক্ষী অপহরণের ওই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চান। সম্প্রতি প্রভাবশালী সাময়িক ‘দ্যা ইকোনোমিস্টে’ আসামী পক্ষের সাক্ষী অপহরণের বিষয়ে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের প্রতিও আইনমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ড্যান মজিনা।
    গতকাল দুপুরে সচিবালয়ে আইনমন্ত্রীর দফতরে ড্যান মজিনার মধ্যকার এক ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠকে বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার সংস্কার এবং পুলিশ প্রশাসনের আচরণ ও সংস্কার নিয়েও আইনমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন ড্যান মজিনা। এ সময় মার্কিন রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার আধুনিকায়নে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতা দিতে আগ্রহী বলেও জানান। আইনমন্ত্রীকে ড্যান মজিনা জানান, আইনের আধুনিক সংস্কারে সহায়তা এবং বিচারক, আইনজীবীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার আধুনিকায়নে সহযোগিতা দিতে চায়। বৈঠকে মার্কিন দূতাবাস ও আইন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
    বৈঠকের এক পর্যায়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনা দ্যা ইকোনোমিস্টসহ বিভিন্ন পত্রিকায় যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে সাক্ষী অপহরণ নিয়ে প্রকাশিত রিপোর্টের প্রতি আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সাক্ষী অপহরণের বিষয়ে ড্যান মজিনা আইনমন্ত্রীর কাছে বিস্তারিত তথ্যও জানতে চেয়েছেন। আসামী পক্ষে সাক্ষ্য দিতে এসে সাক্ষী সুখরঞ্জন বালী সরকারি বাহিনী কর্তৃক অপহৃত হন। এ ঘটনা নিয়ে প্রভাবশালী সাময়িকী দ্য ইকোনোমিস্টে ‘বাংলাদেশ: এভার মার্কইয়ার’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ভাই হত্যার সঙ্গে সাঈদী জড়িত ছিলেন না- এ কথাই বলতে আদালতে এসেছিলেন সাক্ষী সুখরঞ্জন বালী।
    এদিকে গত বুধবার ওয়াশিংটনভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা দ্য ওয়ার্ল্ড জাস্টিস প্রজেক্টের প্রকাশিত ‘আইনের শাসন সূচক ২০১২’ শিরোনামের বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশেবর ৯৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের দেওয়ানি বিচার ব্যবস্থা সবচেয়ে খারাপ। মামলা নিত্তিতে দীর্ঘ সময় লাগা ও বিচার ব্যবস্থায় দুর্নীতিই এর জন্য দায়ী। সাংবাদিকরা এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী দেওয়ানি বিচার ব্যবস্থায় পিছিয়ে থাকার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, বিচার বিভাগকে দুর্নীতিমুক্ত করতে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বিচার বিভাগে কোন দুর্নীতি থাকা উচিত নয়। বিচার বিভাগ হচ্ছে মানুষের সর্বশেষ আশ্রয়স্থল। তিনি বলেন, দুর্নীতির তথ্য উপাত্ত জানতে বা জানাতে এখন কোন বাধা নেই।

মন্তব্য করুন

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

bn_BDবাংলা
Powered by TranslatePress