জামায়াতের গঠনতন্ত্র সংশোধন, তাতে কি?

Jamaat-logoএতদিন অস্বীকার করলেও জামায়াত তার গঠনতন্ত্র সংশোধন করলো, মানে কাগজে-কলমে তারা মেনে নিল নির্বাচন কমিশনের সব আদেশ।

সেটাও শুধুমাত্র দেখানোপনাই মনে হয়। কেননা জামায়াত পাকিস্তানপন্থী দল, জামায়াত বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর সংগে এদেশের মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে। এদেরকে বিশ্বাস নেই। এরা মুখে ধর্মের কথা বললেও যা বলে ও করে তা ধর্মপ্রাণ মুসলিমের চরিত্র হতে পারে না।

এদের গঠনতন্ত্র বড়ই অদ্ভুত একটি জিনিস। যদিও এটি দলের মূলমন্ত্র তথাপি এতে মোট ৪৯বার সংশোধন আনা হয়েছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে দেশের সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক ৮টি ধারায় সংশোধনের জন্য জামায়াতকে বলা হয়, তখন তড়িঘড়ি করে সেই ধারাগুলো লালকালি দিয়ে কেটে দেয়। কোন এক সময় তারা দলের ওয়েবসাইটে মুক্তিযুদ্ধকে স্বীকৃতি দিয়েছে পর্যন্ত।

তারপর ২০০৯ সাল থেকে গতমাস পর্যন্ত মোট ৪বার তাদের তাগাদা দেয়া হয় এবং জামায়াত শেষবারের আগ পর্যন্ত সেইসব ধারাগুলো সাংঘর্ষিক নয় বলে জানিয়েছিল।

নিষিদ্ধ হওয়া থেকে আপাতত রক্ষা পেল জামায়াত। কিন্তু ৭১-এ যারা দলীয়ভাবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে তাদের কি দল করার অধিকার থাকতে পারে?

পাকিস্তানপ্রেমী জামায়াতী নেতাদের বিচারের শেষমুহুর্তে এসে দলটির নেতারা যেভাবে আক্রমনের দামামা বাজাচ্ছে তাতে করে মনে হচ্ছে হামলায় অংশ নেয়া ও পরিকল্পনার জন্য দলটির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহীতার মামলা না করা হলে অদূর ভবিষ্যতে এদের হামলার ধরন বদলাবে বা কঠোরতর বা নির্মম হবে।

তখন এইসব পাগলাকুত্তাকে কে সামলাবে?

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দলটির ৮-১০জন নেতৃস্থানীয়দের বিরুদ্ধে এমন রাষ্ট্রদ্রোহীতার মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। কিন্তু কেন এত দেরি হচ্ছে তা জানা সম্ভব হচ্ছে না।

জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের নাম-ঠিকানার একটা তালিকা করে এদের দ্রুত জেলে ঢুকাতে হবে।

কোনমতেই এই দলটিকে আর বাংলাদেশের মাটিতে রাজনীতি করতে দেয়া যাবেনা।

“যারা বাংলাদেশ চায় নাই, তারা কেন বাংলাদেশে থাকবে? রাজনীতি করবে? এমপি-মন্ত্রী হবে? ব্যবসা করবে? মিডিয়া চালাবে? স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় বানাবে? হাসপাতাল বানাবে? প্রকাশ্যে বক্তৃতা দিবে?

তাইলে আমিও যা খুশি তাই করার আইনগত অধিকার চাই। যখন-তখন জামাতীগো পাইলে গদাম দিতে চাই, অগোরে ধইরা পুষ্কুনিতে খাড়া করায়া রাখতে চাই না মরা পর্যন্ত, গনহারে জবাই/বলি দিতে চাই, ডজন ডজন কইরা আফ্রিকান মাগুরের পুষ্কুনিতে ফালাইতে চাই, বড়রাস্তার মোড়ে বাইন্ধ্যা রাখতে চাই যেন সবাই লাত্থি-গুতা-জুতার বাড়ি দিতে পারে এবং আরো অনেক কিসু করতে চাই অগো লগে।”

আপডেট ডিসেম্বর ৫, ২০১২: ফাঁক-ফোকড় সহকারে জামায়াত ইসলামী নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে স্বাধীনতা স্বপক্ষের সকল রাজনৈতিক দলের সোচ্চারের মুখে “গণতান্ত্রিক পদ্ধতি” অনুসরণে গঠনতন্ত্রে ব্যাপক সংশোধন আনে।  নতুন সংশোধনীর মাধ্যমে দলটি গঠনতন্ত্র থেকে আল্লাহ প্রদত্ত এবং রসুল প্রদর্শিত ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থার কথা বাদ দিয়ে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার কথা বলেছে। এছাড়া “আল্লাহ ব্যতীত কাহাকেও সয়ংসম্পুর্ণ বিধানদাতা ও আইন প্রণেতা মানিয়া লইবে না এবং আল্লাহ্র আনুগত্য ও তাঁহার দেওয়া আাইন পালনের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত নয় এমন সকল আনুগত্য মানিয়া লইতে অস্বীকার করিবে”  এ নীতিও বাদ দিয়েছে দলটি। কিন্তু এ ধারার গুরুত্বপূর্ণ অংশ “আল্লাহ ব্যতিত অন্য কাহাকেও বাদশাহ, রাজাধিরাজ ও সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক মানিয়া লইবে না, কাহাকেও নিজস্বভাবে আদেশ ও নিষেধ করিবার অধিকারী মনে করিবে না, কাহাকেও স্বয়সম্পূর্ণ বিধানদাতা ও আইনপ্রণেতা মানিয়া লইবে না” কথা রেখেই ইসিতে গঠনতন্ত্র জমা দেয় দলটি।

নির্দেশিত যেসব ধারায় সংশোধনী আনা হয়নি, পরিবর্তন হয়নি এবং আংশিক পরিবর্তন হয়েছে তা পুরোপুরি সংশোধনের জন্য দলটিকে আবারো চিঠি দেবে নির্বাচন কমিশন।

রোববার বিকেলে দলটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট জসীম উদ্দিন সরকার সংশোধিত এ গঠনতন্ত্রের মুদ্রিত কপি কমিশনে জমা দেন। এতে ২০১২ সালের নভেম্বরে ৪৯ তম মুদ্রণ কথাটি উল্লেখ রয়েছে। প্রকাশক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত  সেক্রেটারি জেনারেল ডাঃ শফিকুর রহমানের নাম।

নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া গঠনতন্ত্রের প্রতিটি পাতায় অ্যাডভোকেট জসীম উদ্দিন সরকারের নামের সিল ও স্বাক্ষর রয়েছে।

উল্লেখ্য, প্রতিকুল রাজনৈতিক পরিবেশের কথা উল্লেখ করে নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে দুই মাসের সময় চায় জামায়াত। তবে তাদেরকে সে সময় দেওয়া হবে কিনা সে সিদ্ধান্ত হওয়ার আগেই দলটি গঠনতন্ত্র সংশোধন করে তার মুদ্রিত কপি কমিশনে জমা দিল।

এর আগে নির্বাচন কমিশন জামায়াতে ইসলামীর গঠনতন্ত্রের ২ ধারার ৫ উপধারা, ধারা ৩,  ৫ ধারার ৩ উপধারা, ৬ ধারার ৪ উপধারা, ৭ ধারার ১ থেকে ৪ উপধারা, ১১ ধারার ২ উপধারা ও ১৮ ধারার ৪ (চ) উপধারা সংশোধনের তাগিদ দেয়। দলটির নিবন্ধনের সময়ও এসব ধারা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে এবং অ্যাডভোকেট জসীম উদ্দিন সরকার তখন তাদের গঠনতন্ত্র থেকে কয়েকটি ধারা লাল কালি দিয়ে কেটে দিয়ে তা গঠনতন্ত্রের অংশ নয় মর্মে স্বাক্ষর করেন। কিন্তু পরে জামায়াতের সংশোধিত গঠনতন্ত্রে ওই বাদ দেওয়া বিষয়গুলো থেকেই যায়।

৩ ধারায় দলের লক্ষ্য উদ্দেশ্য সম্পর্কে ভূমিকাসহ ৪ টি উপধারাতে আল্লাহ প্রদত্ত ও রাসূল (সাঃ) প্রদর্শিত পথ থেকে দ্বীন (ইসলামী জীবন বিধান) কায়েমের প্রচেষ্টার কথা বলা ছিল। সেগুলো বাদ দিয়ে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা এবং মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন’ বাক্যটি  সংযোজন করা হয়েছে।

৫ ধারা ৩ উপধারায় বলা ছিল, ‘সংঘবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে বাংলাদেশে ইসলামের সুবিচারপূর্ণ শাসন কায়েম করিয়া সমাজ হইতে সকল প্রকার জুলুম, শোষণ, দুর্নীতি ও অবিচারের অবসান ঘটাইবার আহ্বান জানাইবে।’  এ অংশ থেকে ‘ইসলামের’  শব্দটি বাদ দিয়ে তার পরিবর্তে ‘গণতান্ত্রিক পদ্ধতি’ কথাটি সংযোজন করা হয়েছে।

৬ ধারার ৪ উপধারায় বলা ছিল, ‘ইসলামের পূর্ণাঙ্গ প্রতিষ্ঠাকল্পে গোটা রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় বাঞ্ছিত সংশোধন আনায়নের উদ্দেশ্যে নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় সরকার পরিবর্তন এবং সমাজের সর্বস্তরে সৎ ও খোদাভীরু নেতৃত্ব কায়েমের চেষ্টা করা।’ এ কথাগুলো থেকে ‘খোদাভীরু’ শব্দটি বাদ দিয়ে ‘চরিত্রবান’ শব্দটি  যোগ করা হয়েছে।

৭ ধারার ১ থেকে ৪ উপধারায় জামায়াতের সদস্য হতে হলে ইসলামে বিশ্বাস ও শরীয়তের নির্ধারিত ফরজ ও ওয়াজিব আদায়ের শর্ত দেওয়া ছিল। এগুলো বিলুপ্ত করা হয়েছে।

১১ ধারার ২ উপ ধারায় যে কোনো অমুসলিম নাগরিক কয়েকটি শর্ত পূরণের মাধ্যমে জামায়াতের সদস্য হতে পারবে বলা ছিল। এ উপধারাটি দলের গঠনতন্ত্রের মূল উদ্দেশ্যের সাথে সাংঘর্ষিক ও স্ব-বিরোধী বলে জানায় নির্বাচন কমিশন। জামায়াত এ উপধারাটি বিলুপ্ত করেছে।

জামায়াতের গঠনতন্ত্রের ১৮ ধারার ৪ (চ) উপধারায় বলা ছিল ‘আমীরে জামায়াত কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সহিত পরামর্শ করিয়া প্রযোজনীয় সংখ্যক সদস্যকে ( রুকনকে) কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরার সদস্য মনোনীত করিতে পারিবেন।’ এটি আরপিও পরিপন্থি মর্মে উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশন। সংশোধিত গঠনতন্ত্রে এ উপধারাটিও বিলুপ্ত করা হয়েছে।

জামায়াতকে তাদের গঠনতন্ত্রের ৬৪ পৃষ্ঠার বিশেষ নোটের দফা ৩-এ সংশোধনী আনারও তাগিদ দিয়েছিল ইসি। এতে দলের সব কমিটিতে আরপিও অনুসারে ২০২০ সালের মধ্যে ৩৩ শতাংশ মহিলা  সদস্যের স্থলে অধিকাংশ কমিটিতে ২৫ শতাংশ মহিলা সম্পৃক্ত করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছিল। সংশোধিত গঠনতন্ত্রে ৩৩ শতাংশ মহিলা সম্পৃক্ত করে ৬৯ ধারায় সন্নিবেশ করা হয়েছে।

সূত্র জানায়, কোনো দলের  গঠনতন্ত্র দেশের সংবিধান ও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও)-এর  সঙ্গে সাংঘর্ষিক হলে সে দলের নিবন্ধন বাতিল হতে পারে।  আরপিও’র ৯০ এর সি ধারায় বলা হয়েছে- একটি রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের অযোগ্য হবে, যদি ওই দলের (ক) গঠনতন্ত্রের উদ্যেশ্যসমূহ সংবিধান পরিপন্থি হয়, (খ) গঠনতন্ত্র ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, ভাষা ও লিঙ্গভেদে কোনো বৈষম্য প্রতীয়মান হয়, (গ) নাম, পতাকা, চিহ্ন বা অন্য কোনো কর্মকা- দ্বারা সাম্প্রদায়িক ঐক্য বিনষ্ট হওয়ার কিংবা দেশকে বিচ্ছিন্নতার দিকে নিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

আর সংবিধানের ৩৮ অনুচ্ছেদে এই মর্মে বলা হয়েছে যে, নাগরিকদের মধ্যে ধর্মীয়, সামাজিক এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনিষ্ট করার উদ্দ্যেশে এবং ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী-পুরুষ, জš§স্থান বা ভাষার ক্ষেত্রে বৈষম্য সৃষ্টির জন্য কোনো সমিতি বা সংঘ গঠন বা ওই ধরণের কোন সমিতি বা সংঘের সদস্য হওয়ার অধিকার কোন নাগরিকের থাকবে না।

Comments

  1. probirbidhan এভাটার

    কয়েকদিনের মধ্যেই সাঈদীর বিরুদ্ধে রায় দিচ্ছে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুন্যাল। অন্যান্য যুদ্ধাপরাধীদের তুলনায় সাঈদীর মামলার আলামত ও সাক্ষী দূর্বল হয়েছে। তাছাড়া ট্রাইবুন্যাল কয়েকবার তদন্ত কর্মকর্তা ও আইনজীবীদের অদক্ষতায় বিব্রত ও বিরক্ত হয়েছে। এই অবস্থায় সাঈদীর বিরুদ্ধে একাত্তরে ৩ হাজারেরও বেশি নিরস্ত্র ব্যক্তিকে হত্যা বা হত্যায় সহযোগিতা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, ভাংচুর ও ধর্মান্তরে বাধ্য করাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ১৯টি ঘটনায় অভিযোগে বিচার শুরু হলেও এইসব দূর্বলতার কারনে রায় যে কি হবে তা নিয়ে চন্তায় আছি।

    আজকে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের শেষ দিনে সাঈদী ট্রাইবুন্যালে যে বক্তব্য দেয় তা জামায়াতে ইসলামির ওয়েবসাইট থেকে হুবুহু এখানে তুলে ধরা হলো।

    ট্রাইব্যুনালে মাওলানা সাঈদী: শেষ বিচারের দিনে আমি হবো বাদী
    Thursday, 06th December, 2012 http://jamaat-e-islami.org/newsdetails.php?nid=OTM2
    প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন ও জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী বলেন, এই বিচার প্রক্রিয়া নি:সন্দেহে দুটি পর্বে শেষ হবে। একটি এই জাগতিক আদালতে আর অপরটি আখেরাতের আদালতে। আজ আমি এই আদালতের অসহায় এক নির্দোষ আসামী আর আপনারা বিচারক। দ্বিতীয় পর্বে আরেকটি বিচার হবে কেয়ামতের মাঠে। যেখানে বিচারক হবেন আল্লাহ। ওই বিচারের দিন আমি থাকবো বাদী। আজকে যারা জুলুম করছে তারা হবে বিবাদী।
    আজ বৃস্পতিবার ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে বক্তব্য দেয়ার অনুমতি দিলে তিনি এ কথা বলেন। ট্রাইব্যুনালে দেয়া তার পূর্ণ বক্তব্য নিচে দেয়া হলো:

    মাননীয় আদালত,
    আমি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, ৫৬ হাজার বর্গ মাইলের এই বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলার আপামর জনগনের অতি পরিচিত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। আল্লাহ স্বাক্ষী তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দীনের রচিত দেলোয়ার শিকদার বর্তমান সাঈদী বা দেলোয়ার শিকদার ওরফে দেলু ওরফে দেইল্যা রাজাকার আমি নই।

    গণতন্ত্রের লেবাসধারী বর্তমান আওয়ামী সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বশত: যুদ্ধাপরাধের দায় চাপানোর মিশন নিয়ে হেলাল উদ্দিনকে আমার বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়েছে। মিথ্যাচার প্রতিষ্ঠায় স্বনাম খ্যাত হেলাল উদ্দীন আমার বিরুদ্ধে ২০টি জঘন্য মিথ্যা অভিযোগ এনে সরকারি ও দলীয় আদেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে গিয়ে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য আমার নাম বিকৃত করেছে। আমার পারিবারিক পরিচয়, শিক্ষাগত যোগ্যতা ছাত্র জীবন থেকে শুরু করে লুটেরা, খুনী, ধর্ষক, নারী সরবরাহকারী, অগ্নি সংযোগকারী পাক বাহিনীর দোসর, দূর্ধষ রাজাকার, এক কথায় এই তদন্ত কর্মকর্তা মনের মাধুরী মিশিয়ে ৪ হাজার পৃষ্ঠার নাটক রচনা করেছেন আমার বিরুদ্ধে।

    কোন মুসলমানের কলিজায় সর্ব শক্তিমান আল্লাহর উপর বিন্দু পরিমান বিশ্বাস থাকলে, মৃত্যুর ভয় থাকলে, পরকালে আল্লাহর নিকট জবাবদিহিতার ভয় থাকলে, জাহান্নামের কঠিন শাস্তির ভয় থাকলে অন্য কোন মুসলমানের বিরুদ্ধে শুধু আদর্শিক ও রাজনৈতিক শত্রুতার কারনে এতো জঘন্য মিথ্যাচার করা আদৌ সম্ভব হতো না।

    মাননীয় আদালত,
    আজকের এই বিচার প্রক্রিয়া নি:সন্দেহে দুটি পর্বে শেষ হবে। একটি এই জাগতিক আদালতে আর অপরটি আখেরাতের আদালতে। আজ আমি এই আদালতের অসহায় এক নির্দোষ আসামী আর আপনারা বিচারক।

    রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পূরনে ক্ষমতার জোরে আমার প্রতি যদি জুলুম করা হয়, তাহলে আজকের দুর্দান্ত প্রতাপশালী ব্যক্তিবর্গ যারা একজন নির্দোষ ব্যক্তিকে আদর্শিক কারনে প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে আমার প্রতি জুলুমের প্রয়াস পাচ্ছেন তারা দ্বিতীয় পর্বের বিচারের দিন, কিয়ামতের দিন তারা নি:সন্দেহে আসামী হবে। সেদিন আমি হবো বাদী। আর সর্ব শক্তিমান, রাজাধিরাজ, সম্রাটের সম্রাট, আকাশ ও জমীনের সার্বভৌমত্বের একচ্ছত্র অধিপতি, সকল বিচারের মহা বিচারপতি আল্লাহ রব্বুল আলামীন তিনিই হবেন সেদিনের আমার দায়ের করা মামলার বিচার প্রক্রিয়ার বিচারক। সুরা আত ত্বীনের ৮ নং আয়াত আল্লাহ তায়াল বলেছেন, “আল্লাহ তায়ালা কি সকল বিচারকের তুলনায় শ্রেষ্ঠ বিচারক নন?”। সুরা দোখানের ১৬ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, “একদিন আমি এদেরকে অবশ্যই কঠোরভাবে পাকড়াও করব এবং নিশ্চয়ই প্রতিশোধ নেবই।”

    মাননীয় আদালত,
    আপনাদের এই আদালতে বসে যাঁর হাতের মুঠোয় আমাদের সকলের জীবন, সেই মহাশক্তিধর আল্লাহ তায়ালার নামে শপথ করছি। তাঁর পবিত্র কুরআন স্পর্শ করে কসম করে বলছি, আমার নামে আপনাদের এ আদালতে যতগুলো অভিযোগ আনা হয়েছে তার হাজার কোটি মাইলের মধ্যে আমার অবস্থান ছিলনা। উত্থাপিত অভিযোগের একটি বর্ণনাও সত্য নয়। আল্লাহর কসম! সব ঘটনা বা দুর্ঘটনার সাথে উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে আমার নাম যোগ করা হয়েছে। এ সকল অভিযোগের সাথে আমার দুরতম সম্পর্ক নেই।

    মাননীয় আদালত,
    আমি আশা করি সকল প্রকার রাগ-অনুরাগ ও সকল প্রকারের চাপ ও আদেশ নির্দেশের উর্ধ্বে উঠে সত্য ও মিথ্যা সার্বিকভাবে বিবেচনায় নিয়ে সকল প্রকার প্রভাব মুক্ত হয়ে শুধুমাত্র মহান আল্লাহকে ভয় করে জাহান্নামের কঠিন শাস্তি থেকে বাঁচার লক্ষে আমার প্রতি জুলুম না করে ন্যায় বিচার করবেন। মহান আল্লাহ আপনাদের সে তওফিক দান করুন।

    সুতরাং আমার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পূরনে যিনি যতটা ষড়যন্ত্র করে, জঘন্য থেকে জঘন্যতর মিথ্যা মামলা দিয়ে, মিথ্যা সাক্ষী দিয়ে, মিথ্যা সাক্ষীর প্রশিক্ষন দিয়ে আমাকে মানসিক যন্ত্রনা দিয়েছেন, দেশ বিদেশে অসংখ্য অগনিত মানুষের কাছে কুরআনের বানী পৌঁছানোর ক্ষেত্রে আমাকে বঞ্চিত করেছেন, আমার প্রিয়জনদের কাঁদাচ্ছেন, কলংকের তিলক পরিয়ে আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করেছেন, আমি দোয়া করি আল্লাহ তাদের হেদায়াত করুন। আর হেদায়াত যদি তাদের নসীবে না থাকে তাহলে আমার এবং আমার প্রিয়জন, আমার কলিজার টুকরা সন্তান, বিশ্বব্যাপি আমার ভক্ত অনুরক্তদের যত চোখের পানি ফেলানো হয়েছে তাদের সকলের প্রতিফোটা চোখের পানি অভিশাপের বহ্নিশিখা হয়ে আমার থেকে শত গুন যন্ত্রনা ভোগের আগে, কষ্ট ভোগের আগে আল্লাহ তায়ালা যেনো তাদের মৃত্যু না দেন। মিথ্যাবাদী ও জালিমদের উপর আল্লাহর অভিশাপ অযুত ধারায় বর্ষিত হোক। আর জাহান্নাম যেন হয় এদের চিরস্থায়ী ঠিকানা।

  2. probirbidhan এভাটার

    আজকে লন্ডনপ্রবাসীবন্ধু নিঝুম মজুমদারের একটা ফেসবুক স্ট্যাটাস দেখে সবার সাথে শেয়ার করার কথা মনে হলো:

    ‘মরলে সহিদ, বাচলে গাজী’ই যদি হয়, আমার জানামতে তো শহীদের মর্যাদা বেশি। তাইলে দেলাওয়ার হসাইন সাঈদী সাহেব, গোলাম আজম স্যার রা কেন শহীদ হতে চাইছেন
    না?

    এত সুবর্ণ সুযোগ কি খুব একটা বেশি আসে কারু জীবনে?

    এইখানেই শেষ না, এক “জালেম বাকশালি” সরকারের চাপে পইড়াই আল্লা-রসুল বাদ দিয়া দিলেন নিজেদের সংবিধান থেকে, তাহলে নিজেদের দ্বীন কিভাবে কায়েম করবেন সাড়া দুনিয়া জুড়ে?

    “কাফের” রাষ্ট্র আমেরিকার কাছে ক্ষমা চাইবার ব্যপারে মত কি?

    এই কিছু দিন আগের পুলিশ পিটানোর ঘটনাগুলীকে কিভাবে দেখছেন? কারা মানুষকে জ্যন্ত পুড়িয়ে মারতে চেয়েছে বলে মনে করেন?

    ইজরায়েলের ব্যপারে আপনারা নীরব কেন? জামায়াতের এই ব্যপারে মত কি?

    বেগম খালেদা জিয়ার ভারত সফরের প্রতিশ্রুতি (ভারতের সাথে গভীর বন্ধুত্বকে) কিভাবে দেখেন?

    এবং সব শেষে, অনেক মানবাধিকার, হেন-তেন নানান আইনের কথা বলেন, কিন্তু দুনিয়ার কোন আইনে আছে যে বিচারাধীন একটি বিষয় নিয়ে আন্দোলন করতে হবে, যেটা কোন রাষ্ট্রীয় ইস্যু না সেই আন্দোলন কিভাবে বৈধতা পায়? কোন যুক্তিতে পায়?

    আর বাম্পার দুইটা প্রশ্ন করি:

    ১. মাওলানা সৈয়দ আবুল আলা মউদুদি কোথাকার আলেম ছিলেন? কোন জায়গা থেকে উনি কোরআন-হাদিস শিক্ষা করেছেন? যদি শিক্ষা না থাকে, তাহলে কিভাবে উনি এত
    বিষয়ে ফতওয়া দিতে পারলেন?

    ২. আলেম হিসেবে কে বেশি জ্ঞানী? দেলাওয়ার হোসেন সাঈদী, নাকি আবুল আলা মউদুদি?

    যিনি বেশি জ্ঞানী হবেন, তার জ্ঞানের বেশি হওয়ার কারনটা বলবেন দয়া করে।

    বাপের ব্যাটা হইলে শুধু একজন জামায়াতের (শিবিরের হইলেও হবে) সদস্য একটু লজিকালি উত্তর দিয়া যান প্রশ্নগুলার।

  3. probirbidhan এভাটার

    এতো আজ স্পষ্ট যে জামায়াত শিবিরের সদস্যরা মুনাফিক, মুসলমান নয়। তারা স্বার্থের জন্য অবলীলায় আল্লাহ-রসুল (দঃ) বিসর্জন দিতে পারে। তেমনি বিসমিল্লাহির রাহমানির রহিম বলে লেখে যে জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। সম্প্রতি জাফর ইকবাল স্যারের একটি কলাম প্রকাশ হওয়ার পর এই নতিজা দেখা গেছে। এই প্রসঙ্গে আল্লাহ ও রসুলের (দঃ) নির্দেশনাগুলো জানুন, মিলিয়ে নিন এবং নিজেকে প্রত্যাহার করে নিন তাদের সংস্পর্শ থেকে। মনে রাখবেন হাজার হাজার লাইকের ফেসবুক পেইজগুলো আসলে একটা ভন্ডামী, সহজ সরল মানুষকে আকৃষ্ট করে প্রতারণামাত্র। এবার জেনে নিন মুনাফিকদের চরিত্র।

    হে মুমিনগণ! কিছু লোক আছে যারা তোমাদের অন্তর্ভুক্ত ও তোমাদের সম্প্রদায়ের। আর তারা তোমাদেরই সাদৃশ্য। তারা মানুষের মধ্যে প্রকাশ করে যে, আমরা তোমাদের দাওয়াত ও ধর্মের অনুসারী অথচ তারা এ দাওয়াত ও ইসলাম ধর্মের অনুসারী নয়, সত্যিকার অর্থে তারা হল মুনাফিক।

    মুনাফিকরা কখনই তাদের নিজেদের দোষত্রুটি নিজেরা দেখতে পায় না। তাই তারা নিজেদের অনেক বড় মনে করে। কারো কোন উপদেশ তারা গ্রহণ করে না, তারা মনে করে তাদের চাইতে বড় আর কে হতে পারে? আল্লাহ তা‘আলা তাদের অহংকারী স্বভাবের বর্ণনা দিয়ে বলেন,
    ﴿وَإِذَا قِيلَ لَهُمۡ تَعَالَوۡاْ يَسۡتَغۡفِرۡ لَكُمۡ رَسُولُ ٱللَّهِ لَوَّوۡاْ رُءُوسَهُمۡ وَرَأَيۡتَهُمۡ يَصُدُّونَ وَهُم مُّسۡتَكۡبِرُونَ﴾ [المنافقون: 5]
    অর্থ, আর তাদেরকে যখন বলা হয় এস, আল্লাহর রাসূল তোমাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবেন, তখন তারা তাদের মাথা নাড়ে। আর তুমি তাদেরকে দেখতে পাবে, অহঙ্কারবশত বিমুখ হয়ে চলে যেতে। [সূরা আল-মুনাফিকুন: ৫]

    [فِي قُلُوبِهِم مَّرَضٞ فَزَادَهُمُ ٱللَّهُ مَرَضٗاۖ وَلَهُمۡ عَذَابٌ أَلِيمُۢ بِمَا كَانُواْ يَكۡذِبُونَ﴾ [البقرة: 10]
    [অর্থ, তাদের অন্তরসমূহে রয়েছে ব্যাধি। অতঃপর আল্লাহ তাদের ব্যাধি বাড়িয়ে দিয়েছেন। আর তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক আযাব। কারণ তারা মিথ্যা বলত। [বাকারাহ: ১০]

    আল্লামা ইবনুল কাইয়ুম রহ. বলেন, সন্দেহ, সংশয় ও প্রবৃত্তির ব্যাধি তাদের অন্তরকে ক্ষতবিক্ষত করে ফেলছে, ফলে তাদের অন্তর বা আত্মা ধ্বংস হয়ে গেছে। আর তাদের ইচ্ছা, আকাঙ্ক্ষা ও নিয়তের উপর খারাপ ও নগ্ন মানসিকতা প্রাধান্য বিস্তার করছে। ফলে তাদের অন্তর একদম হালাক বা ধ্বংসের উপক্রম। বিজ্ঞ ডাক্তাররাও এখন তার চিকিৎসা দিতে অক্ষম। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ﴿فِي قُلُوبِهِم مَّرَضٞ فَزَادَهُمُ ٱللَّهُ مَرَضٗاۖ ﴾ [তাদের অন্তরসমূহে রয়েছে ব্যাধি। অতঃপর আল্লাহ তাদের ব্যাধি আরো বাড়িয়ে দিয়েছেন।]
    قُل لَّا تَعۡتَذِرُواْ لَن نُّؤۡمِنَ لَكُمۡ বল, ‘তোমরা ওজর পেশ করো না, আমরা তোমাদেরকে কখনো বিশ্বাস করব না। قَدۡ نَبَّأَنَا ٱللَّهُ مِنۡ أَخۡبَارِكُمۡۚ অবশ্যই আল্লাহ তোমাদের খবর ও অবস্থা সম্পর্কে আমাদেরকে জানিয়ে দিয়েছেন। وَسَيَرَى ٱللَّهُ عَمَلَكُمۡ وَرَسُولُهُۥ অর্থাৎ, আল্লাহ তোমাদের আমলসমূহ দেখবেন এবং তাঁর রাসূলও। অর্থাৎ, তোমাদের আমলসমূহ আল্লাহ তা‘আলা দুনিয়াতে মানুষের সম্মুখে প্রকাশ করে দেবেন। ثُمَّ تُرَدُّونَ إِلَىٰ عَٰلِمِ ٱلۡغَيۡبِ وَٱلشَّهَٰدَةِ তারপর তোমাদেরকে ফিরিয়ে নেয়া হবে গায়েব ও প্রকাশ্যের পরিজ্ঞাতার নিকট। فَيُنَبِّئُكُم بِمَا كُنتُمۡ تَعۡمَلُونَ অতঃপর তিনি তোমাদেরকে জানিয়ে দেবেন যা তোমরা আমল করতে সে সম্পর্কে’। অর্থাৎ তোমাদের খারাপ আমল ও ভালো আমল সম্পর্কে অবগত করবে আর তোমাদের তার উপর বিনিময় দিবেন।
    আল্লাহ তা‘আলা মুনাফিকদের আমলের নিন্দা করে বলেন, তারা তাদের খারাপীগুলো মানুষের থেকে গোপন করে, যাতে তারা তাদের খারাপ না বলে, অথচ, আল্লাহ তা‘আলা তাদের চরিত্রগুলো প্রকাশ করে দেন। কারণ, আল্লাহ তা‘আলা তাদের গোপন বিষয় ও তাদের অন্তরের অন্তঃস্থলে কি আছে, সে সম্পর্কে জানেন। এ কারণেই তিনি বলেন, ﴿وَهُوَ َ مَعَهُمۡ إِذۡ يُبَيِّتُونَ مَا لَا يَرۡضَىٰ مِنَ ٱلۡقَوۡلِۚ وَكَانَ ٱللَّهُ بِمَا يَعۡمَلُونَ مُحِيطًا﴾ অথচ তিনি তাদের সাথেই থাকেন যখন তারা রাতে এমন কথার পরিকল্পনা করে যা তিনি পছন্দ করেন না। আর আল্লাহ তারা যা করে তা পরিবেষ্টন করে আছেন।
    ﴾سَوَآءٌ عَلَيۡهِمۡ أَسۡتَغۡفَرۡتَ لَهُمۡ أَمۡ لَمۡ تَسۡتَغۡفِرۡ لَهُمۡ لَن يَغۡفِرَ ٱللَّهُ لَهُمۡۚ إِنَّ ٱللَّهَ لَا يَهۡدِي ٱلۡقَوۡمَ ٱلۡفَٰسِقِينَ ٦﴿ [المنافقون: ٦]
    অর্থ, তুমি তাদের জন্য ক্ষমা কর অথবা না কর, উভয়টি তাদের ক্ষেত্রে সমান। আল্লাহ তাদেরকে কখনো ক্ষমা করবেন না। অবশ্যই আল্লাহ পাপাচারী সম্প্রদায়কে হেদায়েত দেন না।

    إِنَّ ٱلۡمُنَٰفِقِينَ هُمُ ٱلۡفَٰسِقُونَ﴾ নিশ্চয় মুনাফিকরা হল, সত্যের পথ হতে বিচ্যুত, আর গোমরাহির পথে পরিবেষ্টিত।

    By Omi Rahman Pial

  4. probirbidhan এভাটার

    আদেশ পেলে জামায়াতের যুদ্ধাপরাধ ‘দেখবে’ ইসি

    মঈনুল হক চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

    http://bangla.bdnews24.com/politics/article582380.bdnews

মন্তব্য করুন

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

bn_BDবাংলা
Powered by TranslatePress