Jamaat-Shibir-Islamists attack mosques, flag, monument, SHAHBAGH stages

Violent clashes have spread all over Bangladesh after Juma prayers Friday as activists of Jamaat-Shibir and 12 other like minded Islamist parties swooped on police. It began in Baitul Mukarrom national mosque around 12:30pm while police were checking every person before entering the mosque as they had information that subversive activities might take place.

The agitators denounced presence of police and TV journalists. They were chanting slogans against the Shahbagh movement as it called for DEATH PENALTY for all war criminals and a BAN on Jamaat. At one point, they threw shoes, brickbats at police. Minutes later, a group of Islamists attacked TV journalists as they were taking footage of the demonstration on the stairs of Baitul Mukarrom. At least 26 journalists were injured while performing duties.

Before that, the whole area adjoining the national mosque turned tense as the agitators were gathering at the mosque with small processions.

Jamaat-Shibir and the 12 like-minded Islamist parties called the protest days ago, and the non-stop SHAHBAGH MOVEMENT was called off last night. But there were some 200 protesters who didn’t leave the place.

Soon after the prayers, around 1:20pm, the mob came out on the streets and hurled bombs and brickbats at police, gunfight began within minutes in the areas from Dainik Bangla circle to Press Club. That time, some 10-12 fanatics from Katabon mosque near Elephant Road headed for Shahbagh but was foiled by police. Another procession of around 200 Jamaat-Shibir activists started from Tejturi Bazar, Karwan Bazar towards Shahbagh. Police stopped them at Banglamotor intersection.

The Baitul Mukarrom clash turned severe in the next one hour till 3pm when the attackers entered into the mosque to hide. They burned carpets and shot at journalists and police on the street–north side of the mosque. 

Such processions were also taken out in Mirpur, Dhanmondi, Motijheel, Tongi…in Chittagong, Rajshahi, Bogra, Feni, Jhenidah, Sylhet and violent clashes, gunfight, vandalism, arson took place — they set fire to national flag in Chandpur, vandalised Shaheed Minar in Sylhet and Gonojagoron Moncho (stages of mass uprising) across the country, and attacked police and journalists. At least four people were killed.

The attacks on reporters and TV cameramen were launched when the fanatics were saying that the channels did it too bad by telecasting the events of Occupy Shahbagh movement.

The Islamist parties are opposing the SHAHBAGH MOVEMENT as it demands a ban on Jamaat and religion-based politics, DEATH PENALTY for war criminals and others; blaming journalists for mass coverage; and police deployment.

Jamaat in a statement blames police for obstructing their processions.

PROTESTERS RE-JOIN SHAHBAGH EN MASSE

Even though there were only 200 protesters at Shahbagh till 12 noon since 6:30am, hundreds thronged the spirited spot after hearing and watching on TV what the Jamaat-Shibir and 12 Islamist party activists did in Dhaka and across the country. With a call to resist the fundamentalists, the protesters declare that they’ll continue OCCUPYING SHAHBAGH from now while Jamaat calls countrywide daylong hartal for Sunday!

The agitators demand immediate arrest of Friday’s perpetrators and also arrest of Mahmudur Rahman, editor and publisher of daily Amar Desh that published pieces derogatory to Islam to provoke the Islamists attack or occupy Shahbagh.

They have requested people to march with flag at 3pm Saturday and join the solidarity rally at the Martyed Intellectual’s Monument at Rayerbazar. A mass signing campaign is underway. However, the deadline for BANNING JAMAAT was not reviewed, as declared by the coordinator around 11pm. The Shahbagh Square was left open for traffic around 12.

Meanwhile, anti-Jamaat people across the country launched vandalism in businesses and organisations owned by Jamaati people.    

Razakar BNP leaders condemned police action on Islamists and demnaded release of the supporters.

4 killed, 150 hurt in clashes across country

‘Islamists’ call Sunday strike

জামায়াত-শিবির ও ১২ ইসলামিক দল বায়তুল মোকাররম মসজিদের ভেতর আগুন দিয়েছে, এটিসহ নানা মসজিদ থেকে সংগঠিত হয়ে পুলিশ ও সাংবাদিকদের উপর আক্রমন করেছে, চাঁদপুরে জাতীয় পতাকা ছিড়েছে, সিলেটে শহীদ মিনারে ভাংচুর-অগ্নিসংযোগ করেছে, প্রায় সব জেলায় গনজাগরনমঞ্চ ভাংচুর, সারাদেশে সাংবাদিক ও পুলিশের উপর হামলা করেছে, গাইবান্ধা-সিলেট-ঝিনাইদাহে ৪জন নিহত হয়েছেন।

আজকের কর্মসূচীর বিষয়ে প্রায় ১৭দিনের প্রস্তুতি ছিল ধর্মান্ধ ইসলামী দলগুলোর নেতা-কর্মীদের। তবে ১৫ই ফেব্রুয়ারি রাজীবের খুন হবার পর হযরত মুহাম্মদ ও কোরআনকে  নিয়ে কটুক্তি করার প্রতিবাদে ফুঁসে ছিল মাথামোটা ছাগুগুলা। আজ সকাল থেকেই বিনা উস্কানীতে পুলিশের উপর হামলা করা মানেই পরিকল্পিতভাবে এসব করেছে জামায়াত ইসলামীর একশন গ্রুপ। গুলি-বোমাবাজি-ভাংচুর আর অগ্নিসংযোগ কি ধরনের ইসলামিক আচরন তা প্রশ্নসাপেক্ষ।

সারাদেশে আজ ২৬জন সাংবাদিকসহ আহতের সংখ্যা ১০০০-এর বেশি।

ওরে জানোয়ারের দল, বিশাল ভুল করলি তোরা; আর আমাদের জন্য সহজ করে দিলি সামনের দিনগুলি।

শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরের জনতা যাদের প্রায় সবাই শুক্রবার রাতে বাসায় ফিরে গিয়েছিলেন তারা লাগাতার অবস্থানের কথা জানিয়েছেন। অবশ্য শনিবার সকাল ৭টা থেকেই প্রায় ২০০জনের একটি গন-উপস্থিতি ছিল শাহবাগ মোড়ে; দুপুর ১২টার দিকে তারা জাদুঘরের সামনে সড়ে যান এবং রাস্তা খুলে দেওয়া হয়।

এর আগে শুক্রবার রাত ১২টার দিকেই খুলে দেয়া হয় শাহবাগ মোড়, ১৭ দিন পর! ইতি হয় এক লাগাতার অবরোধের। 

প্রতিষ্ঠিত সংগঠক ও আয়োজকেরা শুক্রবারের ঘটনায় ক্ষুদ্ধ হয়ে নতুন কর্মসূচী ও দাবি জানিয়েছেন — ২৪ঘন্টার মধ্যে ধর্মানুভূতি নিয়ে উস্কানী দেয়া আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক, দালাল, মাহমুদুর রহমানের গ্রেপ্তার।

সন্ধ্যার পর দেশের বিভিন্ন জায়গায় কিছু জামায়াতী প্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাংচুর করেছে গনজাগরনমঞ্চের সমর্থকরা।

আজ মনে পড়লো রামুর ভাংচুর-অগ্নিসংযোগের ঘটনাগুলো, যেগুলোর কোন ভিডিও ফুটেজ পাওয়া যায়নি, তবে ছবি আছে। ভেবে শিহরিত হচ্ছি কিভাবে একটি উন্মত্ত গোষ্ঠীর আক্রমনে অপেক্ষাকৃত শান্তিপ্রিয় মানুষদের বাড়িঘর, দোকানপাট আর আত্মিক সম্পর্কের মন্দিরকে লাঠি-বল্লম-রামদা দিয়ে  কিভাবে ক্ষতবিক্ষত করেছিল। আজ আমার নিজেকে খুব দুর্বল মনে হচ্ছিল, হয়তো এই ভেবে যে আমি আক্রান্ত হলে কি করবো? 

টেনশন করার টাইম নাই। আমার প্রতিবাদ-প্রতিরোধ চলছে, চলবে।

এখন অপেক্ষা সরকারের সিদ্ধান্তের।

এত অত্যাচার-নিপীড়নের পরও ভন্ড এসব ইসলামিক দল রবিবারে সারাদেশে হরতাল দিয়েছে। আবার বিএনপিও সরকারের নিন্দা করেছে মুসুল্লিদের উপর পুলিশের আচরনের।

এক বিবৃতিতে তারা দাবী করেছেঃ  “… … সরকারের এ জুলুম নির্যাতন ও নিপীড়নের নিন্দা জানানোর ভাষা আমার জানা নেই। আজকের এ কর্মসূচী সরকার বা কোন রাজনৈতিক দলের বিরম্নদ্ধে নয়। এ কর্মসূচী ছিলো আল্লাহ, রাসূল, কুরআন ও হজ্জসহ ইসলাম ধর্মের প্রতি কটুক্তি ও অবমাননাকারীদের বিরম্নদ্ধে। দেশের ইসলামপ্রিয় জনতা ঈমান রক্ষার তাগিদে এ কর্মসূচীতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো। কিন্তু সরকার ঈমানী চেতনায় উদ্বেলিত জনতার উপর হামলা চালিয়ে প্রমাণ করেছে এ সরকার নাস্ত্মিক, মুরতাদদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। দীর্ঘ ১৭ দিন যাবৎ শাহাবাগে নাস্ত্মিক ব্লগাররা ইসলাম, ইসলামী আদর্শ ও ইসলামী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আস্ফালন করেছে। সরকার পুলিশ বেষ্টনি দিয়ে তাদের এ অপকর্ম পরিচালনায় সহযোগীতা করেছে। অথচ আজ আলেমদের শান্ত্মিপূর্ণ কর্মসূচীতে হামলা চালিয় ৪ জনকে খুন ও শতশত লোককে আহত করে সরকার ইসলামপ্রিয় জনতার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। আলেম, ওলামা ও তৌহিদী জনতার এ আন্দোলনকে এক শ্রেণীর মিডিয়া জামায়াত শিবিরের বলে উলেস্নখ করে উস্কানীমূলক বক্তব্য দিচ্ছে। দেশের লক্ষ লক্ষ ইসলামপ্রিয় জনতার আন্দোলনকে যারা জামায়াতের দলীয় বা রাজনৈতিক আন্দোলন বলেন তাদের দুরভিসন্ধি জনগণের বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। আমি আলেম, ওলামা ও তৌহিদী জনতার উপর হামলাকারী এ জালেম সরকারের বিরম্নদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছি। সেই সাথে ৪ জন আলেম ও মুসুল্লিকে হত্যার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”

বিডিনিউজের খবর

সারাদেশে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে গণজাগরণবিরোধীরা। চট্টগ্রাম ও সিলেটে জাগরণমঞ্চে হামলা হয়েছে। হামলা থেকে বাদ যায়নি বিভিন্ন জেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারও।
সহিংসতায় তিন জেলায় নিহত হয়েছেন এক মাদ্রাসা শিক্ষকসহ চার জন। ‘কর্মসূচিতে বাধার’অভিযোগ এনে রোববার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল দিয়েছে ইসলামী ও সমমনা ১২ দল।

শুক্রবার জুমার নামাজে পর কয়েকটি ইসলামী ও সমমনা দলের ব্যানারে এসব হামলা হলেও পুলিশ বলছে, ওই দলগুলোর কর্মসূচিকে ব্যবহার করে জামায়াতে ইসলামী কর্মীরা এই সহিংসতা চালিয়ে থাকতে পারে।

রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম, পল্টন ও কাঁটাবন, মিরপুর, ধানমন্ডিসহ বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে ব্যাপক তাণ্ডব চালায় ‘গণজাগরণবিরোধীরা’।

যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি ও জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগের আন্দোলনকারীরা শুক্রবার সব ধর্মের উপাসনালয়ে প্রার্থনা ও দোয়ার কর্মসূচি দেয়ার পর ‘ধর্ম অবমাননাকারী’ব্লগারদের শাস্তি এবং ইসলামী রাজনীতি নিষিদ্ধ করার ‘ষড়যন্ত্রে’র প্রতিবাদে ইসলামী ও সমমনা ১২ দলসহ কয়েকটি সংগঠনের ব্যানারে সারাদেশে জুমার পর বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি দেয়া হয়।

ইসলামী দলগুলোর কর্মসূচি ও নাশকতার আশঙ্কায় সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে মোতায়েন ছিল বিপুল সংখ্যক পুলিশ।তবে শুরু থেকে হামলার লক্ষে ছিলেন সংবাদকর্মীরা। গণজাগরণবিরোধী এই ইসলামী দলগুলোর হামলায় আহত হয়েছেন মাছরাঙা টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার আব্দুল্লাহ তুহিন ও এটিএন বাংলার ক্যামেরাম্যান ইমরান তুহিনসহ বেশ কয়েকজন সাংবাদিক।

আমাদের স্টাফ করেসপন্ডেন্ট কামাল হোসেন তালুকদার জানান, জুমার নামাজ শেষে ইসলামী সংগঠনগুলোর কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্রেসক্লাবের দিকে এগোনোর সময় তোপখানা রোডে ওয়ার্কার্স পার্টির কার্যালয়ের সামনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে তৈরি তোরণ ভাংচুর করা হয়ে।

এক পর্যায়ে তারা পুলিশের ওপর হামলা চালালে শুরু হয় সংঘর্ষ। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়লে হামলাকারীরাও বৃষ্টির মতো ঢিল ছুড়তে থাকে। এ সময় বেশ কিছু হাতবোমা বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়।

সহিংসতা ঠেকাতে পুলিশ শটগানের ছররা গুলি ব্যবহার করে। এ সময় চার সাংবাদিক, দুই পুলিশসহ অন্তত ২৩ জন আহত হন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।

এদের মধ্যে গাজী টেলিভিশনের প্রতিবেদক মাসুদুর রহমান, দৈনিক সংবাদের প্রতিবেদক সাইফ বাবলু, ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের ক্যামেরা পার্সন নুরুল ইসলাম, দৈনিক জনকণ্ঠের আলোকচিত্রী সাংবাদিক শেখ মামুন রশীদকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

সংঘর্ষ চলাকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সামনে আহত হনঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) আপ্যায়ন সম্পাদক আমিনুল হক ভূঁইয়াও।

এছাড়া কাপ্তানবাজার এলাকায় বিক্ষোভকারীদের ছোড়া ইটের আঘাতে আহত ওয়ারী থানার কনস্টেবল আব্দুল জলিলকেও (৪০) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রায় দেড় ঘণ্টা সংঘর্ষ চলাকালে শাহবাগ থেকে মতিঝিলমুখী রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

নামাজের পর কাঁটাবন মসজিদ থেকেও ইসলামী সংগঠনগুলোর কর্মীরা মিছিল নিয়ে বের হয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। পুলিশকে লক্ষ্য করে বৃষ্টির মতো ঢিল ছুড়তে শুরু করে তারা। পরে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ সময় লালবাগ পুলিশের সহকারী কমিশনার (পেট্রোল) রেজাউল করিম আহত হন বলে একজন পুলিশ কনস্টেবল জানান।

সংঘর্ষের পর কাঁটাবন মসজিদ এলাকা থেকে শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের দিকে যাওয়ার সময় একটি মাইক্রোবাস থেকে দুজনসহ মোট চারজনকে আটক করে শাহবাগ থানা পুলিশ।গত তিন মাস ধরে সারা দেশে বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা চালিয়ে আসা জামায়াত কর্মীরা অন্য ইসলামী সংগঠনের কর্মসূচিকে ব্যবহার করে সংঘাতে জড়াচ্ছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপ কমিশনার শেখ নাজমুল আলম বলেন, “আমার কাছে তেমনই মনে হচ্ছে। বিষয়টি আমার খতিয়ে দেখব।”নামাজের আগে কয়েকজন মুসুল্লিও জানান, খেলাফত মজলিশ, খেলাফত আন্দোলন ও ইসলামী ঐক্যজোটসহ সমমনা দলগুলোর পেছনে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা ইন্ধন যোগাচ্ছে।মিরপুর ১১ থেকে ১০ নম্বর গোলচক্কর পর্যন্ত এলাকায় গণজাগরণ মঞ্চবিরোধীদের মিছিল শুরু হয়। পুলিশ বাঁধা দিলে শুরু হয় সংঘর্ষ।পরে পুলিশ লাঠিপেটা করে মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় অন্তত পাঁচজনকে আটক করা হয়।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বর থেকে হাইকোর্টের দিকের রাস্তার মাঝামাঝি স্থানে দুপুর সোয়া ২টার দিকে ৮-১০টা ককটেল বিস্ফোরিত হয়।এ সময় সেখানে উপস্থিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এনামুল জানান, ককটেল বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গে ওই এলাকায় মানুষ ছুটোছুটি শুরু করে। বিস্ফোরণে একজন পথচারীও আহত হন।

সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে রাজধানীতে ১৭২ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পলিশের উপকমিশনার (মিডিয়া)।

ঢাকার বাইরে প্রায় সব জেলা থেকেই সহিংসতার খবর এসেছে। সিলেট, ঝিনাইদহ ও গাইবান্ধায় জুমার নামাজের পর সহিংসতায় এক মাদ্রাসা শিক্ষকসহ চার জনের মৃত্যু হয়েছে।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সিলেট প্রতিনিধি জানান, নগরীর চৌহাট্টা থেকে জিন্দাবাজার এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে, যার মধ্যে অন্তত ১০ জন গুলিবিদ্ধ হন। সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর অজ্ঞাত পরিচয় এক যুবক (২৮) মারা যান।

সংঘর্ষের পর ৫৬ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান সিলেট কোতোয়ালি থানার ওসি আতাউর রহমান।

তিনি জানান, হামলাকারীরা সেনা বাহিনী পরিচালিত ট্রাস্ট ব্যাংক এবং পুলিশের একটি পিকআপে আগুন দেয়; শহীদ মিনারের সীমানাপ্রাচীর, মুজিব-জাহান ব্লাড ব্যাংক ও বিএমএ ভবনেও ভাংচুর চালায়।

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি জানান, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাতিলের দাবিতে দুপুরে একটি মিছিলে এক দল যুবক বাধা দিলে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষ চলাকালে পিটুনিতে নিহত হন ঝিনাইদহ শহরের সিদ্দকীয়া আলিয়া মাদ্রাসার আরবী শিক্ষক আব্দুস সালাম, ৫৫, তার গ্রামের বাড়ি রাজবড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলায়।

সংঘর্ষে দুই সাংবাদিকসহ অন্তত অর্ধশত আহত হয়েছেন।

এ সময় পুলিশ বেশ কয়েক রাউণ্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে দুই পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো হাসানুজ্জামান জানান, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাতিলের দাবিতে মিছিলটি শহরের হাটখোলা এলাকা থেকে পায়রা চত্বরের দিকে আসছিল। এ সময় একদল লাঠিধারী যুবক তাদের বাধা দিলে সংঘর্ষ বাধে।

সংঘর্ষে লাঠিপেটায় আহত আব্দুস সালামকে সদর হাসপাতালে নেয়ার পর আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রাশেদ আল মামুন তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় দুই জনকে আটক করা হয়েছে। সংঘর্ষের সময় দুই সাংবাদিকের ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে তাদের শারিরীক ভাবে লাঞ্ছিত করার খবরও এসেছে।

গাইবান্ধা প্রতিনিধি জানান, পলাশবাড়িতে হেফাজতে ইসলামের ব্যানারে একদল লোক শহরের চৌমাথায় গণজাগরণ মঞ্চ ভাংচুর শুরু করলে সংর্ঘষে দুইজন নিহত হয়। গাইবান্ধার পুলিশ সুপার একেএম নাহিদুল ইসলাম দুইজন নিহত হওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে পরিচয় জানা যায়নি।

এছাড়া পুলিশসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছে, যার মধ্যে ৫ জন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গাইবান্ধা শহরেও পুলিশের সঙ্গে গণজাগরণবিরোধীদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশ ২০ জনকে আটক করে।
রাজশাহীতে হামলা হয়েছে সংহতি গণমঞ্চে। জামায়াত-শিবির কর্মীরা হামলা ও ভাংচুর চালিয়েছে বলে পুলিশের দাবি।

জুমার নামাজের পরপরই নগরীর সোনাদীঘি মসজিদ থেকে ‘ঈমান ও আকিদা হেফাজত কমিটি’র ব্যানারে মিছিল নিয়ে এ হামলা চালানো হয়।

এর কিছু পরে বিক্ষুদ্ধ জনতা আলুপট্টি মোড়ে ইসলামী ব্যাংকের রাজশাহী কর্পোরেট শাখায় ভাংচুর করে আগুন দেয়।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের কমিশনার মনিরুজ্জাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ঈমান ও আকিদা হেফাজত কমিটির ব্যানারে মূলত জামায়াত-শিবির কর্মীরা এ হামলা চালায়।”

নগরীর আলুপট্টি মোড়ের সংহতি গণমঞ্চে হামলা ও ভাংচুর চালিয়ে ফেরার পথে কুমারপাড়া এলাকায় আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়েও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে মিছিলকারীরা।

কুমারপাড়া, সাহেববাজার, সোনাদীঘি মোড়, লক্ষ্মীপুর, রামুবাজারসহ কয়েকটি জায়গায় পুলিশের সঙ্গে জামায়াত-শিবির কর্মীদের সংঘর্ষ ও দাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।

এসব ঘটনায় অন্তত ২৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানান গোয়েন্দা পুলিশের মহানগর ওসি আলমগীর হোসেন। নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে আটক করা হয়েছে ৩০ জনকে।

চট্টগ্রামে ‘গণজাগরণ মঞ্চবিরোধী’ স্লোগান দিয়ে মিছিল করে সাংবাদিক, গণমঞ্চ ও প্রেস ক্লাবে হামলা চালায় ইসলামী সংগঠনের কর্মীরা।

হামলার পরপরই বিক্ষুব্ধ জনতা জামালখান রোডে দিগন্ত টিভি চ্যানেল ও দৈনিক সংগ্রাম কার্যালয়ে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে।

এ ছাড়া চেরাগী পাহাড় মোড়সহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে। দফায় দফায় হামলায় দুই পুলিশ ও ১০ সাংবাদিকসহ অন্তত ২০ জন আহত হন।

এদিকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার পর আবারো গণজাগরণ মঞ্চে ফিরে এসে সারা দেশের মানুষকে বিক্ষোভে ডেকেছে শাহবাগের আন্দোলনকারীরা। বিকেলের পর সেখানে মানুষের ঢল নামে।

যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি ও জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে শাহবাগের এই আন্দোলনের অন্যতম উদ্যোক্তা ইমরান এইচ সরকার শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় জাগরণ মঞ্চ থেকে বলেন, “আজকের হামলায় উস্কানি দিয়েছে জামায়াত শিবিরের পত্রিকা আমার দেশ। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এর সম্পাদক মাহামুদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করতে হবে। তা না হলে বৃহত্তর কর্মসূচি দেয়া হবে।”

একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী জামায়াতে ইসলামীর নেতা আব্দুল কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন সাজার রায় প্রত্যাখ্যান করে গত ৫ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় শাহবাগের জাগরণ।

এর একাদশ দিনে, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পল্লবীতে খুন হন স্থপতি রাজীব। নিজের বাসার সামনে এই ব্লগারকে জবাই করে হত্যা করা হয়।

আপডেটঃ 

বিক্ষোভ কর্মসূচী ঘোষিত হলো, আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ি রায়েরবাজারের সমাবেশের কথা মনে করিয়ে দেয়া হলো। শুক্রবারের ভয়াবহ সংঘর্ষে জড়িত জঙ্গী-জামায়াত ও মাহমুদুর রহমানকে গ্রেপ্তারের দাবি জোরালোভাবে এসেছে।

কিন্তু ভাই, বুঝলাম না, সারাদিন এত কাহিনীর পর আর গতকাল জামায়াতের ওয়েবসাইট কেলেঙ্কারীর পরও সরকার জামায়াতকে নিষিদ্ধের বিষয়টিকে একটি সুদূরপ্রসারী কার্যক্রম হিসেবেই দেখে চলেছে। এদিকে আন্দোলনের নেতারা জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধের জন্য দেড় মাস সময় দিয়ে বসে আছেন। এমনকি আজকের নারকীয় ঘটনার পরেও আন্দোলনের মঞ্চের নেতারা তাদের ডেডলাইন এগিয়ে আনলেন না।

যাকগা! আশা করি বাংলাদেশের জনতা সরকারকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করবে। আর তাতে সরকারও গড়িমসি করার সুযোগ পাবেনা।

Comments

  1. probirbidhan এভাটার

    এরা ১৯৭১ সালে মুসলমানদের খুন করেছে, কোরান পুড়িয়েছে, ধর্ষন করেছে; আর এখন বায়তুল মোকাররম মসজিদের ভিতরে অবস্থান নিয়ে সেখানেই হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। আগুন দেয়া হয়েছে জায়নামাজে। মসজিদের দেয়ালের ইট ভেঙে তা দিয়ে পুলিশ ও সাংবাদিকদের আঘাত করা হয়েছে।

    আবার কয়েকটি জেলায় শহীদ মিনারে ভাংচুর চালিয়েছে; জাতীয় পতাকায় আগুন দিয়েছে; আর সারাদেশের নানা জায়গায় স্থাপিত গনজাগরন মঞ্চে হামলা করে ভাংচুর ও আগুন দিয়েছে।

    এসব কাজ যারা করেছে তাদের ডাকা হরতালে সমর্থন দিয়েছে বিএনপি যারা গত ১৯দিন ধরে চলমান প্রজন্ম চত্বর নিয়ে নানা আকথা-কুকথা বলে চলেছে। বাহ! এরাই নাকি ধার্মিক!

    কাল কি জামায়াত-শিবির-জঙ্গী ১২দল আর বিএনপি আবার ভয় দেখাতে মাঠে নামবে?

    নামুক, প্রতিরোধ গড়ে শহবাগ দেখিয়ে দেবে।

মন্তব্য করুন

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

bn_BDবাংলা
Powered by TranslatePress