শাহবাগঃ ‘দুর্লভ ক্ষমতা’র অপব্যবহার আত্মঘাতী

6 questionsসরকারের ধর্মানুভূতি নিয়ে গনজাগরনমঞ্চের মঙ্গলবারের ৬টি প্রশ্ন যে বা যারা তৈরি করেছে তাদের কান ধরে পড়ার টেবিলে বসানো উচিত। এরা এখনো জানেনা এদের একেকটা বক্তব্যের কত কোটি মানুষের উপর প্রভাব রাখে এই মুহুর্তে।

যাদের হাতে এত ক্ষমতা, তারা কিনা রাতের অন্ধকারে ব্লগারদের তুলে নিয়ে যাওয়া ও রিমান্ডে নেয়ার প্রতিবাদে ছোট একটা প্রেস রিলিজ পড়লো, সেখানে ৬টা পয়েন্ট তুলে ধরলো জামায়াত-শিবির ও তাদের দোসরদের গনতন্ত্র ও ধর্মবিরোধী কর্মকান্ডের বর্ননা দিয়ে। পয়েন্ট করে বলাটা ভালো হয়েছে, কিন্তু লেখাগুলো এমন কেন?

একটা পয়েন্টে ছিলঃ “যখন জামায়াত-শিবির পুলিশের উপরে নির্বিচারে হামলা চালায়, তাদের হত্যা করে, চিকিৎসককে আগুনে পুড়িয়ে মারে, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গৃহযুদ্ধের হুমকি দেয়, রাষ্ট্র তখন কেন তদন্ত কমিশন গঠন না? তখন কি রাষ্ট্র আঘাতপ্রাপ্ত হয় না?”

এত দুর্বল এই কয়েকটা লাইন!

পুলিশের কথা তো আসবেই শুরুতে, তারাই প্রথম টার্গেট। কিন্তু পরিকল্পিতভাবে হিন্দুদের উপর হামলা করে খুন-ধর্ষন-লুটপাট-অগ্নিসংযোগ আর তাদের পবিত্র মন্দির ও দেব-দেবীর মূর্তি ভাংচুর, লুট-অগ্নিসংযোগ এসবের কথা বলতে ভুলে গেলেন কি করে গনজাগরনমঞ্চের মুখপাত্র ও মূল কমিটির বাকি ১৫-২০জন সদস্য!!! দেশের বিভিন্ন স্থানে জাগরন মঞ্চ ভাঙ্গা-আগুন দেয়া হলো; শহীদ মিনার ভাঙ্গা, জাতীয় পতাকায় আগুন দেয়া হলো এগুলোও উল্লেখ করলেন ৬টা পয়েন্টের কোথাও।

আপনারা দয়া করে আরেকটু মাথা খাটায়া কাজ করেন, নাইলে নিজেরা তো ঝামেলায় পড়বেনই [আওয়ামীলীগের মতো], পাবলিকরেও ফালাইবেন। অলরেডি আপনারা কয়েকটা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিয়া আমাদের বিপদে ফালাইছেন। এইবার একটু শিক্ষা নেন যে দুর্লভ ক্ষমতাটা অর্জন করলেন সেটাকে সঠিকভাবে ব্যবহার করেন।

পরিবর্তনডটকম থেকে তুলে ধরছি সবগুলো চুম্বক(!) পয়েন্টঃ 

রাষ্ট্রের কাছে তিনি প্রশ্ন করেন,

১. জামায়াত-শিবির চক্র ব্লগে এবং ফেইসবুকে মওদুদীবাদ প্রচারের মাধ্যমে ইসলাম ধর্মকে নানাভাবে যখন প্রশ্নবিদ্ধ করে, তখন কোথায় থাকে রাষ্ট্রীয় বিজ্ঞপ্তির ধর্মানুভূতি?

২. যখন জামায়াত জাতীয় মসজিদে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করে তখন কী রাষ্ট্রের ধর্মানুভূতি শীতনিদ্রায় থাকে?

৩. যখন চট্রগ্রামে আলেম সমাজকে হত্যার হুমকি দেয় জামায়াত-শিবিরের শ্বাপদরা, তখন কি রাষ্ট্রের অভিধানে ধর্মানুভূতি শব্দটি অনুপস্থিত থাকে?

৪. যখন জামায়াত-শিবির পুলিশের উপরে নির্বিচারে হামলা চালায়, তাদের হত্যা করে, চিকিৎসককে আগুনে পুড়িয়ে মারে, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গৃহযুদ্ধের হুমকি দেয়, রাষ্ট্র তখন কেন তদন্ত কমিশন গঠন না? তখন কি রাষ্ট্র আঘাতপ্রাপ্ত হয় না?

৫. হরতালের নৈরাজ্য সৃষ্টি করে জামায়াত-শিবির যখন দেশকে অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দেয়, ব্লগের ক্ষুদ্র গণ্ডি থেকে যে সব গণমাধ্যম ধর্মীয় অবমাননাকর বিষয়গুলো সামনে নিয়ে আসে, তখন রাষ্ট্র কেন কমিশন করার ‍উদ্যোগ নেয় না?

৬. যখন অনলাইন এবং ব্লগে জামায়াত-শিবির বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অপপ্রচার চালায়, তখন কেন মহাজোট সরকার তার বিরুদ্ধে উদ্যোগ নেয় না? আজ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু এবং জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করার বিরুদ্ধে সরকার কি কোনো উদ্যোগ নিয়েছে?

 

 

শাহবাগের আন্দোলনঃ আওয়ামীপন্থী vs অরাজনৈতিক

ফেসবুক নোটঃ ২৮শে মার্চ ২০১৩

আওয়ামীলীগের কর্নধার তথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অফিস অভিমুখে পদযাত্রা/ঘেরাও ইত্যাদি কর্মসূচী ঘোষনা করা হলেও সেখানে ৮দিন সময় দেয়া হয়েছে। এর মধ্যেই বিষয়টা নিয়ে একটা কিছু সমাধা হতেও পারে। আর সেখানে যে পুলিশ যেতে দেবেনা, সেটাও আমরা ভালো করে জানি।

কিন্তু এই কর্মসূচী ঘোষনা নিয়েই যেভাবে যুদ্ধাপরাধীবিরোধীরা দুইভাগে ভাগ হয়ে যাচ্ছে এবং বিশেষ করে, আওয়ামীলীগ সমর্থকরা যেভাবে ইমরানপন্থী ছাড়া বাকীদের ও তাদের সংগঠনকে এটাক করে স্ট্যাটাস বা কমেন্ট করছে সেটা আসলে “চরম দুঃখজনক পার্ট অব শাহবাগ মুভমেন্ট” বলে আমার মনে হয়।

এতদিন অনেকেই আওয়ামীলীগ/ছাত্রলীগ বা বঙ্গবন্ধুপ্রেমীদের শাহবাগের সঙ্গে থাকাটাকে দাঁতে দাঁত চেপে মেনে নিলেও ৩৬দিনের আল্টিমেটামেও যখন পাত্তা দিলো না, তখন সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় ছিল মঞ্চের মুখপাত্র হয়তো সেই মুহুর্তেই কঠোর কোন কর্মসূচী ঘোষনা দেবেন। কিন্তু তিনি কড়া ভাষায় সরকারের সমালোচনা করে “স্মারকলিপি পেশ”-টাইপ কর্মসূচী দিলেন, তাও আবার ৮দিন পর! এরকম “সবাইকে ম্যানেজ করলাম”-টাইপ বক্তব্য আমি মঞ্চের কাছে আশা করিনি। আর তাই গত দুইমাস শাহবাগ নিয়ে কোন বিরূপ বা তীর্যক মন্তব্য না করলেও এখন আর চুপ করে থাকতে পারছিনা।

মনে রাখবেন, এখনও অহিংস আছি, গালাগালি করছিনা, মঞ্চের নেতাদের চরিত্র বিশ্লেষন করছিনা, আওয়ামীলীগ নেতা/আইনমন্ত্রী/বিচারকদের ন্যায্যভাবে ধুয়ে দিচ্ছিনা ঢিলামি বা খামখেয়ালীর কারনে — শুধু একটা কারনেঃ বিচারাধীন শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকাজ চলছে বলে।

শহীদ রুমি স্কোয়াড ২৬শে মার্চ যে কর্মসূচী দিয়েছে আমি ব্যক্তিগতভাবে এবং আমাদের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘Amra-আমরা’ পূর্ণ সমর্থন দিয়েছি, দিবো উপরোক্ত কারনগুলোতে।

আওয়ামীলীগ ৩৭বছর পর বিচার শুরু করেছে বলে কৃতজ্ঞতায় গদগদ হয়ে দলটির সবাইকে পুজা করতে হবে এমনটা আমার মনে হয়না। যেমন বাজেটের উন্নয়নকাজের জন্য আমি কোন সরকারকে ‘হাই-ফাইভ’ দিতেও রাজী না, কারন সংবিধান অনুযায়ি তারা সেসব কাজ করতে বাধ্য। বরং সেসব কাজ করতে গিয়ে মন্ত্রী-এমপি থেকে শুরু করে সরকারীদল সমর্থক পাড়ার মাস্তানটাইপ নেতারাও যে নাগরিকদের জন্য বরাদ্দ টাকা-চাল-গম মেরে খায়, রাস্তায় ইট-সুড়কি না দিয়ে শুধু কার্পেটিং করে, সেসব নিয়ে আমি আরো হাজার বার বকবক করতে চাই। তাছাড়া জামায়াত ইসলামীকে নিয়ে এই দলটি গত ৩৭বছর ধরে যা করছে সেটা যেকোন অরাজনৈতিক ও জামায়াতবিরোধীকে আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে এক মুহুর্তেই দাঁড় করানোর জন্য যথেষ্ট।

 

তথাকথিত বিভেদ-বিচ্ছেদ কেন হচ্ছে? এটা কি এখন শুরু হলো, নাকি প্রথম দিন থেকেই?

মতের অমিল হচ্ছে বেড়ে উঠার ধরনের কারনে, দৃষ্টিভঙ্গীর কারনে।

হ্যাঁ, প্রথম রাত থেকেই। বিকেলে ব্লগারদের মানবন্ধন থেকেই সাধারন মানুষ ও অনলাইন কর্মীরা জড়ো হন শাহবাগে। পৌনে পাঁচটার দিকে মিছিল নিয়ে সবাই শাহবাগ অবরোধ করেন। রাস্তা প্রায় ফাঁকাই ছিল, হরতালের কারনে। একই কারনে মোড়ে অনেক পুলিশ ছিল। মিছিল দেখে পুলিশের একটা কমান্ডো গাড়ি এগিয়ে আসলেও এক পুলিশ কর্মকর্তা সেটাকে থামালেন। এরপর আর কেউ আমাদের বাধা দেয়নি। দিয়েছে মঞ্চের নেতারা যারা প্রতিদিন সভা করে নানা করমসূচী দিয়ে আন্দোলনকে চাঙ্গা করেছেন এবং সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিয়েছেন ফাঁসির ডাক। সেদিন বিকেল থেকেই ছাত্রলীগ ও আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা ন্যাক্কারজনকভাবে সেখানে প্রভাব খাটিয়েছেন, প্রকাশ্যে, ফেব্রুয়ারির শেষ পর্যন্ত, যখন প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগের নেতাদের ডেকে সরাসরি বলেছিলেন যেন তারা মঞ্চে না উঠে। যাই হোক, ক্ষমতার রাজনীতি করা এসব বেহায়া লোকদের এসব কর্মকান্ড মেনে নেয়া আমাদের গা-সওয়া হয়ে গেছে। প্রথম মাঝরাতে, রাত তখন প্রায় ৩টা, সাংবাদিক অঞ্জন রায়কে দেখলাম আরটিভিকে বলছেন ‘আমরা আপাতত আমাদের অবরোধ স্থগিত করছি ৪ঘন্টার জন্য, সকাল ৭টায় আবার শুরু করবো আমাদের কর্মসূচী’ ইত্যাদি ইত্যাদি। চমকে গিয়েছিলাম শুনে, আমি তখন শাহবাগ মোড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি কে এইসব সিদ্ধান্ত নিচ্ছে জানতে। নাহ, পরিচিত অনেক সক্রিয় কর্মীকে জিজ্ঞেস করেও উত্তর পাইনি। তবুও মন খারাপ করিনি, ফিরে যাইনি বাসায়, পরদিন দুপুরে গেলেও বিকেলেই ফিরে আসি অফিস শেষ করে। গতকালও গিয়েছি, আজও যাবো। কারন আমি আমার আদর্শ থেকে বিচ্যুত হইনি, আমি আপস-সমঝোতা করিনি, আমি খাতির করিনি কোন চামবাজের সাথে।

আন্দোলনের দাবিসমূহ পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমার বিশ্রাম-শান্তি-মাস্তির দরকার নেই।

জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে জনগনকে শাহবাগ যে সাহস জুগিয়েছে তা অবিস্মরনীয় হয়ে থাকবে।
জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে জনগনকে শাহবাগ যে সাহস জুগিয়েছে তা অবিস্মরনীয় হয়ে থাকবে।

জয় বাংলা, জয় শাহবাগ, জয় জনতা।

Comments

  1. probirbidhan এভাটার

    ৩১শে মার্চ জামাত-শিবির নিষিদ্ধে্র দাবিতে সংসদ অভিমুখে মিছিল, ১কোটি সাক্ষর পেশ
    ছবি দেখুনঃ https://www.facebook.com/media/set/?set=a.146993722143589.1073741835.138776152965346&type=3

    ফার্মগেট ১২:৩৮, বাস-মাইক্রো রেখে ব্যারিকেড দিলো পুলিশ, মিছিলের সামনে গনজাগরনমঞ্চের মুখপত্রসহ নেতারা কয়েক মুহুর্তের মধ্যেই রাজী হয়ে গেলেন; মিছিল থেমে গেলো, মাইক্রোফোনে ইমরান এইচ সরকার ঘোষনা করলেন, সবাই শান্ত হোন, ৪ তারিখের মধ্যে সরকার ব্যবস্থা না নিলে আমরা কঠোর অবস্থান নেবো। যথারীতি পাঁচজনের একটি প্রতিনিধি দল স্পীকারের কাছে যাবার ঘোষনা দিলেন, বাকীদের অনুরোধ করলেন শাহবাগ ফিরতে! মিছিলটি আনন্দ সিনেমা হলের সামনে দিয়ে ঘুরে গ্রীনরোড-পান্থপথ মোড়-বসুন্ধরা সিটি দিয়ে এগিয়ে মার্কেটের সামনে ট্রাফিক জ্যামে পড়লো–শ্লোগান চলছেই। পুরো পথে ফুটপাতে-বাসে থাকা হাজার হাজার মানুষ উৎসুক চোখে শুনছে-দেখছে, কেউ কেউ যোগ দিয়েছে মিছিলে, কেউ বা শ্লোগানে গলা মিলিয়েছে দুইবার। হৃদয়ের শিশুকন্ঠে টানা শ্লোগানগুলো আমাদের উজ্জীবিত করছিল প্রতিমুহুর্তে। সার্ক ফোয়ারা ঘুরে শাহবাগে ফিরলাম আমরা।

    শুরুটা ১২টায়, শাহবাগ গনজাগরনমঞ্চ থেকে, শাহবাগ মোড়ে এলিফ্যান্ট রোড ও শিশুপার্কের রাস্তাগুলো আপাতত বন্ধ করল পুলিশ। ব্যরিকেডের ফাঁক-ফোকর দিয়ে মোড়ে জড়ো হলেন আন্দোলনকারীরা, সামনে একটা ট্রাক- এক কোটি সাক্ষর দেয়া কাগজের বস্তায় ঠাসা। সেটার সামনে-উপরে টিভি ক্যামেরা, আর তাদের সামনে পুলিশ। জামাত-শিবির নিষিদ্ধে জনতার দাবি স্পীকারের হাতে পৌঁছে দেয়া হবে।

    ১২টা ১৬, রূপসী বাংলার সামনে একবার থামতে হলো, পুলিশ কিছু বুঝানোর চেষ্টা করছে।

    ১২টা ২৩, বাংলামোটরে আবার।

    কারওয়ানবাজার হয়ে ফার্মগেট যেতেই ওভারব্রীজের নীচে একটা বাস আড়াআড়ি রাখা, সাথে ২/৩টা মাইক্রোবাস। আবার আলোচনা পুলিশের সাথে, কয়েক মুহুর্ত। সংসদ ভবন আর ৩০০গজ সামনে; সবাইকে অবাক করে দিয়ে বাসটি সরে গেলো, শ্লোগানের মাইক হাতে নিয়ে মঞ্চের মুখপত্র সবাইকে নিবৃত্ত করতে চাইলেন।

    ১১টা, শাহবাগে শ’দুয়েক জনতার উপস্থিতি, জাতীয় জাদুঘরের গেটে শহীদ রুমী স্কোয়াডের কোণ ঘিরে কিছুটা জটলা, কয়েকজন এসেছেন সহমত জানাতে, কেউ নিজের ছেলে-মেয়ের মত খবর নিচ্ছেন অনশনকারী যোদ্ধাদের শরীরের, দুজন মা ২০-৩০টা গোলাপ নিয়ে এসেছেন, কড়া রোদের ঝাঁঝ চারপাশে, গরম রাস্তা, চোখে এসে মারে অনশনে ক্লান্ত কিন্তু অবিচল যোদ্ধাদের। ওরা মাথা নত করেনা। সাংবাদিক-ক্যামেরাম্যানদের আনাগোনা, আসছেন নিয়মিত নেতা-কর্মীরা, কয়েকজন মিলে নতুন একটা প্যান্ডেল বানাচ্ছেন, স্কোয়াডের ছাউনীটা বড় হচ্ছে। অনেকগুলো ব্যানার ঝুলছে চারপাশে, ‘অবিলম্বে যুদ্ধাপরাধী জামাত-শিবিরের নিষিদ্ধ দাবিতে আমরন অনশন – শহীদ রুমী স্কোয়াড’ ‘তারুন্যের স্ফুলিঙ্গে নতুন মুক্তিযুদ্ধ’ ‘রাজাকারের ফাঁসি চাই’ ‘আমরা বাড়ি যাচ্ছি না, বেঈমানদের ছাড়ছি না’ ‘দালালী না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’ ‘জামায়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠানগুলো বর্জন করুন’।

    ১১টা ১৩, থানার দিক থেকে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের একটা মিছিল শ্লোগান দিতে দিতে ঢুকলো শাহবাগে, মঞ্চের সামনে জড়ো হলেন শ’দুয়েক সংস্কৃতি কর্মী, উপলক্ষ্য স্পীকার বরাবর স্মরকলিপি পেশের মিছিলে শরিক হওয়া। ততক্ষনে বাম দলগুলোর নেতারা এসেছেন, মুখপত্র ও তার বন্ধুরাও এসেছেন।

    ছাত্র ইউনিয়নের মিছিল এলো সাড়ে এগারোটার দিকে, আর ১২টার ১০মিনিট আগে ব্যানার ছাড়া একটা মিছিল এলো শ’খানেক তরুনের। মঞ্চের সামনে সবাই জড়ো হয়ে গনমিছিলের প্রস্তুতি চলে তীব্র শ্লোগানে।

মন্তব্য করুন

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

bn_BDবাংলা
Powered by TranslatePress