সেই সময়টাকে কি বলা যায়? নরক! “নরকযন্ত্রনা” মানেই তো সর্বোচ্চ কষ্ট!
যদিও কেউ সে জায়গা থেকে ঘুরে এসে টক’শো-তে বা পত্রিকায় কলাম লিখে বা প্রেস কনফারেন্স করে বলেনি; আমরা অনুমান করতে পারি সেটা কেমন হতে পারে। কারন আমরা গল্পের বইয়ে আর গুরুজনদের কাছে শুনেছি। কি খারাপ কাজ করলে মৃত্যুর পর কি ধরনের শাস্তি হবে ইত্যাদি।
তবে বাস্তব জীবনের নানা অভিজ্ঞতা দিয়েও আমরা সেই নরকযন্ত্রনা উপলব্ধি করতে পারি। উপায়টা হলো, আপনার আশেপাশের ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো একটু গভীরে গিয়ে বিশ্লেষন করুন; দেখবেন দু’একটা ভালো কাজের ফাঁকে ফাঁকে আপনার চোখে পড়বে অজস্র দুই-নাম্বারি আর সেসবের প্রভাবে হাজারো জটিলতা, বেশিরভাগই নতুন আর কিছু পুরাতন, যেগুলোর ঘানি ইতিমধ্যেই টেনে চলেছে একটা শ্রেনীর মানুষ – সমাজে যারা দূর্বল নামে পরিচিত।
আর সবল’রা ঘটিয়ে চলেছে নানা ঘটনা, খেয়ালখুশিমত; তবে মাঝে মাঝে যে অভিনয়সহযোগে ভালো কাজ করছে না তা নয়! কিন্তু এরা থামছে না, বরং দিনকে দিন এসব অমানুষের দল ভারি হচ্ছে, নানা ক্ষেত্রের ক্ষমতাবানরা এক হচ্ছে; আর পরবর্তী প্রজন্মকে নিজেদের মত করে দীক্ষা দেবার প্রক্রিয়া চলমান তো আছেই।
এবার আশপাশ থেকে আরেকটু বড় পরিসরে সেইসব ঘটনার প্রভাব চিন্তা করুন-দেখুন; তারপর আরো, আরো… থামুন! অনেক হয়েছে।
এবার আপনার ভাবনার সীমারেখা টানুন [নয়তো মাথাখারাপ হয়ে যাবে]।
ছোট্টপরিসরে ভাবুন কি দেখলেন-কি বুঝলেন, খুঁটিনাটি দেখুন। দেখবেন আপনার পুরো জগতটাই আপনি একসাথে দেখতে পাচ্ছেন, কারন আপনি সবকিছুর কার্যকারন অনুভব করতে পারছেন বিশদ অনুসন্ধান করার কারনে।
যারা এখন মনে করছেন এইসব আর নতুন কি, এইসব ভেবে আর কি লাভ বা যত্তোসব; তারা দয়া করে মস্তিষ্কটাকে আরেকটু খাটান, এটাকে কাজে না লাগালে মাথা [চামড়া] মোটা হয়ে যায়। তবে হ্যা, আপনি বেঁচে গেলেন, কেননা “নরকযন্ত্রনা” আপনাকে স্পর্শ করতে পারেনি, বরং আপনার জন্য নরকই ভালো।
আর যারা “নরকযন্ত্রনা” অনুভব করছেন তাদের কাছে আমি ক্ষমা চাইছি। তবে এই পরিস্থিতির জন্য আপনিও দায়ী কেননা আপনি [বেশী] বুঝেন। আর বুঝেনই যেহেতু, তাহলে মেনে নেন নরকের স্বাভাবিক যন্ত্রনা এবং মুক্তির উপায় খুঁজুন। পেয়ে যাবেন। তবে একটা কথা মনে রাখতে হবে যে, এই যন্ত্রনা থেকে কিন্তু “নিঃশর্ত” মুক্তি আপনি পাবেন না। কেননা আপনি “সবল” নন।
এই দুঃখে আবার আজকে থেকেই সবল-জানোয়ারদের দলে নাম লিখাবেন না প্লিজ। ভদ্রভাবে বলছি এখন, কিন্তু পরে “নরকযন্ত্রনা”য় মাথাখারাপ হয়ে গেলে তখন যে কি করে ফেলবো তার ঠিক নেই। কারন আমার চামড়া এখনো মোটা হয়নি।
চামারেরা প্রশ্ন করবে আমাকে, ওই মিয়া ক্ষেপলেন ক্যান? হিংসা করেন? হতাশ? বা আপনি তো খালি ফুটা খুঁজেন দেখি!
আমরা মানুষ অনেক ক্ষমতাবান, আর তাই আমরা সুযোগ পেলেই তা দেখানোর চেষ্টা করি। সেটা খারাপ না; কিন্তু সমস্যাটা হয় আমরা যখন আমাদের ক্ষমতাকে ধ্বংসের কাজে লাগাই [অন্যের জন্য]।
ভেবেছিলাম কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করে “নরকযন্ত্রনা”র গল্পের পরিসমাপ্তি হবে। এতদূর লিখে মনে হলো থাক, নরকের আলাপ কম করে বরং এবার থামি, মাথাখারাপ হয়ে যাচ্ছে; জানোয়ারদের সামনে না পাওয়ায় নিজের কী-বোর্ডটাই হয়তো আছাড় মারতে পারি যে কোন সময়।
নোটঃ ঘৃনাপ্রকাশ করতে আমি কুন্ঠিত নই, কারো গায়ে লাগলে আমার দোষ নাই। কাউকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমন করার আমার কোন উদ্দেশ্য নাই। তবে যেসব (অ)মানবিক আচরন আমি সহ্য করতে পারিনা, সেগুলো যদি কারো মধ্যে প্রকটভাবে থাকে তবে তাকে আমি ঘৃনা করি বৈ কি!
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অবশ্যই লগইন করতে হবে।