পরম শ্রদ্ধেয় বঙ্গবন্ধুর বড় মেয়ে, জননেত্রী, প্রধানমন্ত্রী ও গনতন্ত্রের মানসকন্যা শেখ হাসিনাকে “মিথ্যা দুর্নীতির মামলায়” জড়িয়ে ইয়াজউদ্দীনের অধীনে ফখরুদ্দীন-মঈনউদ্দীনের “অবৈধ” ও “অসাংবিধানিক” সরকার “গ্রেপ্তার” করে বিশেষ জেলে রেখেছিল, এমনকি খাবারের সাথে বিষ মিশিয়ে মেরে ফেলতে চেয়েছিল। গ্রেপ্তার ও নির্যাতনের স্বীকার হয়েছিলেন আরো অনেক কেন্দ্রীয় নেতা।
দুই বছর তারা দেশে নানা অপকর্ম চালিয়েছিল, বিশেষ করে সেই ছাত্র-বিক্ষোভ। এই বিষয়ে তদন্ত করে শিক্ষা মন্ত্রনালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির একটি উপকমিটি ফখরুদ্দীন-মঈনউদ্দীনকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার পরামর্শ দিয়েছিল সরকারকে।
প্রধানমন্ত্রী বারবার দুঃখ করেন তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল বলে। খালেদা জিয়াকে মনে করিয়ে দেন সেইসব দিনের কথা, যেন দুই নেত্রী এক হয়ে অসাংবিধানিক সরকারদের এড়িয়ে, দুর্নীতি-অনিয়মের জন্য মামলা না খেয়ে নিজেরা নিজেরা নির্বাচন করে রাজনীতির মাধ্যমে করে দেশকে সোনার বাংলা বানানো যায়। এ প্রসঙ্গে তিনি দায়ী করেন ফখরুদ্দীনের আগের তত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টাদের যারা একটি নির্বাচন আয়োজন করতে পারেনি বলেই সেনাশাসিত তত্বাবধায়ক ক্ষমতা দখল করেছিল ও শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করার দুঃসাহস দেখিয়েছিল।
কিন্তু সেই শেখ হাসিনারই আওয়ামীলীগ ২০০৯ থেকে ক্ষমতায় থাকা সত্বেও এসবের কোন বিচার করলো না!!!
কেন?
২০১১ সালে “উইকিলিকস” ঢাকা থেকে ওয়াশিংটনে পাঠানো কিছু তারবার্তা ফাঁস করে। সেসবের মধ্যে একটি ছিল আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সৈয়দ আশরাফের সাথে রাষ্ট্রদূত মরিয়ার্টির আলোচনা নিয়ে। তাদের মধ্যে কথা হয় ১৮ই জুন ২০০৯-এ।
নতুন সরকার ক্ষমতায় এসে কি কি করবে সেসব নিয়ে কথা হয় তাদের মধ্যে।
সেনাশাসিত তথাকথিত তত্বাবধায়ক সরকারের কারিগরদের বিচারের বিপক্ষে ছিলেন আশরাফ। তিনি বলেন শেখ হাসিনার ইচ্ছা বিচার না করার এবং দলের প্রায় সব নেতাই তার পক্ষে ছিলেন।
এ থেকেই বুঝা যায় সেই “অবৈধ” সরকারের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা যাই বলুন না কেন, সেটা শুধুমাত্র লোকদেখানো। নিজের ও দলের নেতাকর্মীদের উপর চালানো অন্যায্য, অমানবিক ও অবৈধ আচরনের কোন বিচার এই আমলে হবেনা।
বিএনপি যদি ক্ষমতায় আসেও, তারাও বিচার করার দুঃসাহস দেখাবে কিনা সেটা নিয়েও আমার সন্দেহ আছে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অবশ্যই লগইন করতে হবে।