যুদ্ধাপরাধী কামারুজ্জামানের মৃত্যুদন্ডের রিভিউ আবেদন শুনানী হয়নি সোমবার। আসামীর আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন ব্যক্তিগত কারনে হাজির হননি তাই প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপীল বিভাগের বেঞ্চ শুনানীর তারিখ ঠিক করেছে পহেলা এপ্রিল!
ন্যায়বিচার প্রত্যাশীদের এপ্রিল ফুল উপহার দিতেই আদালত এই আদেশ দিয়েছে।
প্রসঙ্গত খন্দকার মাহবুব খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা, জামায়াতের অন্যান্য নেতাদের আইনজীবী, ট্রাইব্যুনালের সঙ্গে জড়িতদের বিচার করার হুমকিদাতা ইত্যাদি। তিনি আবার মুজিব আমলের দালাল আইনে রাজাকারদের বিচারে রাষ্ট্রপক্ষের একজন আইনজীবী ছিলেন। ইনি কিছুদিন আগে হরতালের মধ্যে এম্বুল্যান্সে করে সুপ্রীম কোর্টের একটা সভায় ভাষন দিতে গিয়েছিলেন।
বুঝতে চাইছিলাম যে কামারুজ্জামানের শুনানী পিছিয়ে অর্থ্যাৎ তার ফাঁসির দিন পিছিয়ে কার স্বার্থ হাসিল করা হচ্ছে?
আওয়ামীলীগ ২০০৯-এ ক্ষমতায় আসছিলো মূলত যুদ্ধাপরাধ ইস্যুকে পুঁজি করে। তলে তলে তাদের ইচ্ছা ছিলো নামকাওয়াস্তে বিচার করবে, কাউকেই গুরুদন্ড দেয়া হবেনা, সূত্র উইকিলিকস। কিন্তু নানা চাপে পড়ে শেষ পর্যন্ত বিচারটা দীর্ঘ করতে হয়েছে। যদিও অদক্ষ ও অযোগ্য আইনজীবী ও তদন্ত দল, তার জামায়াতী প্রধান, ইত্যাদির মাধ্যমে প্রায় সবগুলো মামলাই ভুলে পরিপূর্ণ। রাজাকার শিরোমনি গোলাম আযমের বিচার না করে শুরু করসে সাঈদীরে দিয়া। এইরকম আরো ৫০টা উদাহরণ দিতে পারবো।
মাননীয় আওয়ামীলীগ, ১৯৭১-এর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়া তালবাহানা বন্ধ করেন।
আর আমাদের তথাকথিত নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নামে চ্যাটের নিরপেক্ষতা চোদানো বন্ধ করেন। আপনাগো মতো মাতারীদের জন্যই জামায়াত, বিএনপি আর আওয়ামীলীগ পাবলিকরে বুড়া আঙ্গুল দেখাইতে পারে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অবশ্যই লগইন করতে হবে।