কাল চৈত্র সংক্রান্তি, পরশু বাংলা নববর্ষ।
আমি ঐতিহাসিক সত্যটা মানি। বিকৃত ইতিহাস পরিত্যাজ্য…
মুসলিমপ্রধান বাংলাদেশের বাঙালি [কথিত হিন্দুয়ানী] সংস্কৃতিকে নানাভাবে বিকৃত করার এখনো চলমান। সম্প্রতি যোগ হয়েছে পশ্চিমা পণ্য সংস্কৃতির আগ্রাসন।
ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক অনেক ইসলামী নেতারা পহেলা বৈশাখকে ইসলামবিরোধী হিসেবে ফতোয়া দিচ্ছে। ২০০১ সালে রমনা বটমূলের অনুষ্ঠানে বোমা হামলার পেছনেও একই কারণ দেখানো হয়েছিল।
এসবের ফলে সাধারণ মুসলমানের মনে দ্বিধা তৈরি হচ্ছে আর ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা ভয়ে কোণঠাসা হচ্ছে।
পহেলা বৈশাখের কলংকিত ইতিহাসঃ
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ‘র নেতৃত্বের সেই কমিটি বৈচিত্রপূর্ণ সনাতন সৌর–পঞ্জিকাকে সংস্কার করার কারণ হিসেবে উল্লেখ করে– “বিভিন্ন বাংলা মাস ও ঋতুতে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর আর্থ–সাংস্কৃতিক জীবনের অযৌক্তিক কিছু সমস্যা ও প্রতিবন্ধকতাকে”। কমিটির প্রস্তবনা মাফিক ১৯৬৩ খ্রিষ্টাব্দে তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের অধিনস্ত বাংলা একাডেমী বছরের প্রথম পাঁচ মাস ৩১ দিন এবং শেষের সাত মাস ৩০ দিন ধরে নতুন বর্ষপঞ্জি বিনির্মান করে। পাকিস্তান আমলে গঠিত সেই ছকে বাঁধা বাংলা পঞ্কিার চর্চা কিন্তু শুরু হয় স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশেই। স্বৈরশাসক এরশাদের শাসনামলে ১৯৮৮ খ্রিষ্টাব্দে ওই অদ্ভুত প্রকৃতিবিরুদ্ধ পঞ্জিকা রাষ্ট্রীয় ভাবে কার্যকর হয়; আর আমরা পেয়ে যাই জোড়ায় জোড়ায় পহেলা বৈশাখ, বাইশে শ্রাবণ, চৈত্র সংক্রান্তি ! [শরদিন্দু চক্রবর্তী]
প্রসঙ্গতঃ বাংলাদেশে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম করা হয় ১৯৮৬ সালে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অবশ্যই লগইন করতে হবে।