দেশের অবস্থা নিয়ে ক্ষোভ ঝাড়লেন চিত্রনায়িকা পরী মনি, অনিরাপদ বোধ করছেন

শনিবার রাতে হঠাৎ গা ঝাড়া দিয়ে ক্ষোভ ঝাড়লেন বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় নায়িকা পরী মনি।

ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি ধর্মীয় উগ্রবাদের সমস্যা নিয়ে ছোট একটা স্ট্যাটাস দিয়েছেন। বলেছেন তার আগে মেহজাবীন ও পরশীও নানা বিপদে পড়েছেন।

তার এই পোস্ট দেয়ার ১০ মিনিটের মধ্যে ১০ হাজারের বেশি রিয়্যাক্ট পড়েছে। অনেকেই এসে কমেন্ট করছেন। অনেকেই বলছেন, পরী মনি হয়তো হুমকির মুখে এই স্ট্যাটাস আবার মুছে ফেলবেন।

কি আছে সেই স্ট্যাটাসে?

এতো চুপ করে থাকা যায় নাকি!!!
পরাধীন মনে হচ্ছে। শিল্পীদের এতো বাধা কেন আসবে!? Insecure feel হচ্ছে ! এমন স্বাধীন দেশে নিরাপদ নই কেন আমরা!
মেহজাবীন, পরশী এর আগে এমন হেনস্থার শিকার হয়েছেন! ধর্মের দোহাই দিয়ে কি প্রমাণ করতে চলেছেন তারা!?
কি বলার আছে আর ….এ দেশে সিনেমা/ বিনোদন সব বন্ধ করে দেয়া হোক তাহলে !
তাহলে কি আমরা ধরে নেব, আমরা ইমোশনালি ব‍্যবহার হয়েছিলাম তখন! নাকি এখন হচ্ছি? কোনটা ???
এই দায়ভার কিন্তু আমাদের সবার নিতে হবে। 😊

কি ঘটেছিল?

টাঙ্গাইলের কালিহাতি উপজেলায় একটি শোরুম উদ্বোধনের জন্য চিত্রনায়িকা পরীমণির আগমনের কথা ছিল। এই খবর তার ভক্তদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। তবে স্থানীয় “ধর্মপ্রাণ” মানুষদের মধ্যে এ নিয়ে শুরু হয় সমালোচনা। হেফাজতে ইসলামসহ বেশকিছু সংগঠন পরীমনির আগমন ঠেকানোর জন্য প্রচারণা শুরু করে। একপর্যায়ে চাপের মুখে শোরুম কর্তৃপক্ষ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি স্থগিত করতে বাধ্য হন, খবর যমুনা টেলিভিশনের

শনিবার (২৫শে জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে কালিহাতি উপজেলার এলেঙ্গার টিন মার্কেটের শোরুমটির উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।

স্থানীয়রা জানান, গত ১৫ দিন ধরে শোরুম কর্তৃপক্ষ মাইকিং করে জানাচ্ছিলেন যে, পরীমনি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। তবে গত ২-৩ দিন ধরে হেফাজতে ইসলামসহ স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা পরীমনির আগমন ঠেকাতে নানা কর্মসূচির ঘোষণা দেন এবং আন্দোলনসহ অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। এতে চাপের মুখে শোরুম কর্তৃপক্ষ অনুষ্ঠানটি স্থগিত করেন।

শোরুমের মালিক মীর মাসুদ রানা জানান, পরীমনি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আসার কথা ছিল, কিন্তু হেফাজতে ইসলাম আন্দোলন শুরু করেছিল। তারা জানান, পরীমনি আসলে সমস্যা হবে। মসজিদে-মসজিদে এই নিয়ে আলোচনা হয়েছে। হেফাজতে ইসলামের এক নেতা ফোন করে বিষয়টি জানায়। পুলিশের পক্ষ থেকে নিষেধ করা হয়। আমি কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা করে তাদের সম্মানে অনুষ্ঠানটি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

হেফাজতে ইসলামের টাঙ্গাইল জেলা শাখার যুব-বিষয়ক সম্পাদক মুফতি সুলাইমান হাবিব তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে শোরুম উদ্বোধনের জন্য পরীমনি আসার কথা ছিল, তবে স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মানুষদের মধ্যে ব্যাপক বিরোধ সৃষ্টি হওয়ায় আমি শোরুমের মালিকের সঙ্গে কথা বলে অনুষ্ঠানটি স্থগিত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছি। আমরা তার এই উদ্যোগের জন্য কৃতজ্ঞ।

কালিহাতি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবুল কালাম ভূঁইয়া বলেন, “হুজুররা কিছু সমস্যার সৃষ্টি করেছিল, পরে কর্তৃপক্ষ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি স্থগিত করেছেন।”

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহাদাত হুসেইন বলেন, স্টোর কর্তৃপক্ষ আমার কাছে অনুমতি নিতে এসেছিল। আমি তাদের কিছু শর্ত দিয়েছিলাম, যেন কোনো ধরনের যানজট বা জনদুর্ভোগ না হয়। তারা রাজি হয়েছিল, তবে অনুষ্ঠানের শেষ অবস্থা সম্পর্কে আমি নিশ্চিত নই।

Comments

মন্তব্য করুন

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

bn_BDবাংলা
Powered by TranslatePress