আজব এক দেশ বাংলাদেশ।
২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ সরকার আগের আমলের মতোই অনিয়ম ও দুর্নীতিকে উৎসাহিত করেছিল।
চালকদের মাস্তানির কারনে মিটারে ভাড়া নির্ধারণ করা বন্ধ আছে বহু বছর ধরে। মিটার অনুসরণ করা নিয়ে ট্রাফিক পুলিশ নামকাওয়াস্তে মনিটরিং করলেও চালকরা তা মানতে নারজ হওয়ায় যাত্রীদের হয়রানি কমার পরিবর্তে শুধুই বেড়েছে।
সিএনিজির দাম বাড়ানোর সাথে সাথে ভাড়া পুনঃনির্ধারণ না করা এবং চালকদের স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকার। অটোরিকশা মালিক ও চালকদের সাথে কর্তৃপক্ষের অনৈতিক বোঝাপড়ার কারনে এই খাতে শৃঙ্খলা আসেনি। মিটার না মানা, ইচ্ছেমতো জমার টাকা নির্ধারণ এবং সিএনজিকে প্রাইভেট বাহনে পরিনত করা হয়েছে যথেচ্ছভাবে।
এর মধ্যে OBHAI এবং Uber নামের দুটি প্রতিষ্ঠান মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে সিএনজি সেবা চালু করলেও চালকদের কারনে তা পরবর্তীতে মুখ থুবড়ে পড়ে।
আগস্টের গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সুশীল সমাজ পরিচালিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও এখন একইভাবে ভুল পথে পরিচালিত হচ্ছে।
বর্তমানে সিএনজির দাম ও মূল্যস্ফীতিকে বিবেচনা না করে সর্বশেষ ২০১৫ সালের নির্ধারিত ভাড়া কার্যকরের জন্য মঙ্গলবার নতুন নির্দেশনা দিয়েছে সরকারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনারকে চিঠিটি দেওয়া এক চিঠিতে বিআরটিএ জানায় চালকরা মিটারের বেশি ভাড়া আদায় করলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিতে হবে। বলা হয় সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮–এর ৩৫(৩) ধারা অনুযায়ী মালিক বা চালক রুট পারমিট এলাকার মধ্যে যেকোনো গন্তব্যে যেতে বাধ্য থাকবেন এবং মিটারে প্রদর্শিত ভাড়ার অতিরিক্ত অর্থ দাবি বা আদায় করতে পারবেন না। এর ব্যত্যয় হলে আইনের ধারা ৮১ অনুযায়ী অনধিক ছয় মাসের কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং চালকের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত হিসাবে দোষসূচক ১ পয়েন্ট কর্তন করার বিধান রয়েছে।
২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে নির্ধারিত নতুন চার্ট অনুযায়ী, প্রথম দুই কিলোমিটারের ভাড়া ছিল ৪০ টাকা, পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের জন্য ১২ টাকা এবং ওয়েটিং চার্জ প্রতি মিনিটে ২ টাকা। এই ভাড়া ১লা নভেম্বর কার্যকর হয়।
এর আগে ২০১১ সালে নির্ধারিত চার্ট অনুযায়ী প্রথম দুই কিলোমিটারের ভাড়া ছিল ২৫ টাকা, পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের জন্য ৭ টাকা এবং ওয়েটিং চার্জ ছিল ১.২৫ টাকা। সে বছরের ১৬ই জানুয়ারি এই ভাড়া কার্যকর হয়।
বিআরটিএর এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আন্দোলনে নামেন ক্ষুব্ধ সিএনজি অটোরিকশা চালকরা। রবিবার সকাল থেকে রাজধানীর শনির আখড়া, ধোলাইপাড়, গোলাপবাগ, ডেমরা, বাসাবো, রামপুরা, কলেজগেট, আগারগাঁও, মিরপুর, মাজার রোডসহ বিভিন্ন এলাকায় তারা সড়ক অবরোধ করেন। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শুরু হওয়া ধর্মঘটের ফলে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয় এবং সাধারণ মানুষ দুর্ভোগে পড়েন। পরে বিআরটিএ নির্দেশনা প্রত্যাহার করলে চালকরা সড়ক অবরোধ তুলে নেন এবং যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বিআরটিএর এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আন্দোলনে নামেন ক্ষুব্ধ সিএনজি অটোরিকশা চালকরা। রবিবার সকাল থেকে রাজধানীর শনির আখড়া, ধোলাইপাড়, গোলাপবাগ, ডেমরা, বাসাবো, রামপুরা, কলেজগেট, আগারগাঁও, মিরপুর, মাজার রোডসহ বিভিন্ন এলাকায় তারা সড়ক অবরোধ করেন। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শুরু হওয়া ধর্মঘটের ফলে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয় এবং সাধারণ মানুষ দুর্ভোগে পড়েন।
পরে বিআরটিএ নির্দেশনা প্রত্যাহার করলে চালকরা সড়ক অবরোধ তুলে নেন এবং যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অবশ্যই লগইন করতে হবে।