নতুন দলের দখল নিয়ে ঝগড়ায় নিজেরাই সব ফাঁস করে দিচ্ছে (১)
নতুন দলের দখল নিয়ে ঝগড়ায় নিজেরাই সব ফাঁস করে দিচ্ছে (২)
নতুন দলের দখল নিয়ে ঝগড়ায় নিজেরাই সব ফাঁস করে দিচ্ছে (৩)
নতুন দলের দখল নিয়ে ঝগড়ায় নিজেরাই সব ফাঁস করে দিচ্ছে (৪)
আজ ১৭ই ফেব্রুয়ারি জুলাই অভ্যুত্থানের এক ছাত্র সমন্বয়ক এস এম শাহেদ ইমন এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে জামাতের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবিরের ভূমিকা নিয়ে ফেসবুকে বিস্তারিত পোস্ট দেয়।
সত্য জানা সবার অধিকার। চলুন কিছু সত্য জেনে নিই। জুলাই আন্দোলনে সমন্বয়ক থাকাকালীন আমার দেখা শিবির…
আমি একবার বেশকিছু প্রশ্ন করেছিলাম যার উত্তর আজ লিখছি।
১/ ১৮ জুলাই থেকে ইন্টারনেট চলে গেলে কিভাবে কর্মসূচি আসে, নাম ঠিক হয় এবং সমন্বয়করা কোথায় ছিল?
১৮ জুলাই থেকে বেশিরভাগ সমন্বয়কদের কোন খোঁজ ছিল না। আসিফ, নাহিদ ভাইরা গুম হওয়ার পর মাহফুজ ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ হয়। তিনি সরাসরি বলেছিল এসব আন্দোলন তান্দোলনে আমি আর নেই। তখন থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত মাহফুজের তেমন কোন সংযোগ ছিল না। এই সময়ে কাদের, মাহিন, রিফাত, মাসুদ ভাইদের নিরাপদে আশ্রয় দেয় শিবির। [সংশোধনী: রিফাত, মাসুদ, মাহিন ভাই এম্বাসিতে ছিল। জুলকারনাইন ভাইয়ের সাথে কথা বলে এটি ম্যানেজ করেছিল শিবির]
যখন মেডিকেল ও এম্বাসির আশেপাশে থেকে এদের চারজনকে গ্রেপ্তার করতে সিভিলে চারদিকে ঘিরে ফেলে তখন শিবির এম্বুলেন্স ম্যানেজ করে সেটাতে করে তাদেরকে বের করে আনে। পরে তাদেরকে উত্তরা ও যাত্রাবাড়ীর দিকে শিবিরের মেসে রাখে। এই সময় তাদের নামে বিবৃতি গুলো শিবির প্রচার করতো এবং কর্মসূচি নির্ধারণ করতো জুনায়েদ, সিবগাহ, সাদিক, ফরহাদ, মির্জা গালিব, শিশির মনির ভাইরা এছাড়াও ঢাবির সাবেক ৪জন সভাপতি সরাসরি থাকতো। ঠিক করে মাসুদ, কাদের, রিফাত, মাহিন ভাইদের সাথে কথা বলে ফাইনাল করে প্রচার করতো। রিফাত, মাসুদরা যে ভিডিও বার্তা দিতো সেই রুমটাই ছিল শিবিরের মেসের এবং ফোনের ভিডিও রেকর্ডারো ছিল শিবিরের। এই ক্ষেত্রে অনেক এক্টিভিস্ট, সাংবাদিকরা পরামর্শ দিতো।
২/ আমি গুলিতে আহত হলে কোথায় ছিলাম?
আমি ১৮ তারিখ আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়। ঐ দিন আজিমপুরে আন্দোলন করছিলাম ছাত্রদরে ভাইদের সাথে। ছাত্রদলের ভাইরা পর্যাপ্ত ফেস্ট,পানি এবং লাঠি নিয়ে এসেছিল। আমি আহত হলে এক ছাত্রদলের ভাইকে নিয়ে আজিমপুর থেকে বের হয়। পরবর্তীতে শিবিরের মেসে নিয়ে যায় আমাকে।
৩/ লাল কাপড় ও লাল প্রোফাইল এবং মেমোরাইস আওয়ার হিরো প্রোগ্রােমর আইডিয়া কার ছিল?
শোক প্রত্যাক্ষাণ [প্রত্যাখ্যান] করে ভিন্ন কর্মসূচি দিতে বলেন জুনায়েদ ভাই। তিনি সম্ভবত সবুজ বা কালো কাপড় দিতে বলছিলেন। সেই জায়গায় মাহিন ভাই লাল কাপড় দিতে বলেন। আর মেমোরাইস আওয়ার হিরো ছিল জুনায়েদ ভাই এবং রাফে সালমান রিফাত ভাইয়ের পরামর্শে।
৪/ ইউনুসকে সর্বপ্রথম রিচ কে করে?
ইউনুসের সাথে সর্বপ্রথম যোগাযোগ করে সাদিক কায়েম ভাই। ২/৩ আগস্ট তিনি ইমেইল করেন। আসিফ ভাইয়ের কথামতো যদি অন্য কেউ করে থাকে দুইজনেরটা টাইমিং যাচাই করতে পারে।
৫/ সারাদেশে কাউকে না চিনে সমন্বয়ক কমিটি ঘোষণা করে কেমনে?
এটা সম্পূর্ণ করেছিল শিবির। সারাদেশে তাদের দলীয় কমিটিকে সাথে নিয়ে কয়েকজন ভাইরের আন্দোলনের এক্টিভ দেখে নাম দেয়। সেজন্য ঢাকার বাইরের সমন্বয়করা বেশিরভাগ শিবিরের।
৬/ এক দফার পরিকল্পনা কবে থেকে নেওয়া হয় এবং পোস্টার ডিজাইন শুরু হয় কয় তারিখ?
২৩ জুলাই থেকে সর্বপ্রথম ১দফার পরিকল্পনা করা হয়। ঐদিন রাত থেকে পোস্টার ডিজাইন করা শুরু করে ঢাবি শিবিরের প্রচার,মিডিয়া এবং আইটি বিভাগ। আমরা আপনারা যে পোস্টার ব্যাবহার করেছি তার অনেকটায় তাদের। প্রচার শুরু হলে সারাদেশে স্বতস্ফুর্ত হয়ে অনেকেই করেছে।
৭/ শাহবাগ বা অন্য জায়গায় পানি, শরবত গুলো কোথা থেকে আসতো?
শাহবাগে এই পানির দায়িত্ব ছিলাম আমি আর আব্দুল কাদের ভাই। আরো কয়েকজন ছিল। শিবিরের তৎকালীন ছাত্র আন্দোলন সম্পাদক সব পানি আর শরবত কিনে কাদের ভাইয়ের হাতে দিতো। আমরা সেখান থেকে নিয়ে বিতরণ করতাম। শাহবাগে ফুলের দোকানের দিকে একটা পানির দোকান আছে ওটার সাথে কন্ডাক্ট করেছিল শিবির। ওখান থেকে অনেক পানি আনা হতো। বাদবাকি নাস্তা কারওয়ান বাজার থেকে আনতো বর্তমান ছাত্র অধিকার সম্পাদক।
৮/ সমন্বয়করা ডিবিতে গুম থাকা অবস্থায় স্যারদের কারা পাঠিয়েছিল?
স্যারদের সাথে যোগাযোগ করলেই এর উত্তর পাবেন। এই ক্ষেত্রে বিএনপি এবং জামায়াত আর সাদিক কায়েম কাজ করেছে। সাদা দলের শিক্ষকদের তারা ম্যানেজ করে ডিবিতে পাঠিয়েছল।
৯/ আন্দোলন একটা কোডিং ভাষা ব্যাবহারের কথা শুনা যায়। এমন কিছু ভাষায় কথা বলতে আন্দোলনের মাঠে দেখেছি শিবির নেতাদের। অনেকেই এই ভাষাগুলো ব্যাবহার করতো।
১০/ ইউনুস স্যারকে লেখা লেটারটা কে লিখেছিল?
এইটা লিখেছিল এস এম ফরহাদ। সালমান নামে গোয়েন্দাদের ফাঁকি দিতো সাদিক কায়েম। তারা যোগাযোগ করার জন্য তাদের নেতা কর্মীদের এক্সট্রা সিম ব্যাবহার করতো। সংবাদমাধ্যমে ৯ দফা পাঠাতে এইরকম অনেক সিম।ব্যাবহার।করা হয়।
১১/ আব্দুল কাদের ৯ দফা ওর আইডি থেকে পোস্ট হয়ছে জানতো না। সে তখন ঘুম ছিল। তার আইডি থেকে পোস্ট করেছিল শিবিরের একজনে। যাত্রাবাড়ীতে আব্দুল কাদেরকে যে মোবাইল কিনে দেওয়া হয় তা দিয়েছিল শিবির। তার ভাউচার এখনো তাদের কাছে আছে।
আরেকটা কথা এড করি। ১৫ তারিখ যখন ছাত্রলীগ মিছিলে হামলা করলে ১৬ তারিখের কর্মসূচিতে হামলা হবে এটা সবাই জানতো। সে জন্য ১৬ তারিখ সাইন্সের হল গুলো সহ শহীদ মিনারে যে সবুজ পাইপ ও লাঠিগুলো আনছিলো সে সব কিনে এনেছিল শিবির। তাদের নেতা কর্মীদের দিয়ে আনায়। আমি যে বাসায় ছিলাম ঐ বাসায় রেখেছিল সেসব। মোটামুটি ৩০০০+ লাঠি ছিল ওখানে।
এর আগে শিবিরের সাবেক সভাপতি মির্জা গালিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের সাবেক সভাপতি আবু সাদিক কায়েম ও সাধারণ সম্পাদক এস এম ফরহাদ তাদের ভূমিকা নিয়ে পত্রিকা-টিভিতে বিস্তারিত লিখেছে। তবে কোন মূলধারার গণমাধ্যম সেসব নিয়ে খবর প্রকাশ করেনি।

এছাড়া আরেক ছাত্র সমন্বয়ক আব্দুল কাদের নিজেও ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে শিবিরের ভূমিকা নিয়ে মুখ খুলেছিল। বিডিনিউজের প্রতিবেদন এখানে।
এদিকে আরেক জিহাদি সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের নাম উল্লেখ করেছে!
উত্তরার কুয়েত-মৈত্রী হাসপাতাল থেকে গোয়েন্দা বাহিনীর ধাওয়া খেয়ে MD Muntasir Rahman এর মাধ্যমে আমরা প্রথমে আশ্রয় নিই বাংলাদেশে প্রভাবশালী একটা আন্তর্জাতিক সংস্থার কার্যালয়ে, যেখান থেকে আমরা প্রথম ভিডিও বার্তা দিই।
তারপর দিন আমাদেরকে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেন ধৃক গ্যালারীর প্রতিষ্ঠাতা Shahidul Alam ভাই। ওনার বন্ধুর গুলশানের একটি স্বনামধন্য ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে।
৩দিন সেখানে অবস্থানের পর আমরা বাংলাদেশের জনপ্রিয় রাইড শেয়ার কোম্পানি Pathao এর সিওর বাসায় থাকি একদিন।
এরপর ওখান থেকে একটি মানবাধিকার সংস্থার পরিচালক লেনিন ভাইয়ের মাধ্যমে আমরা মিরপুর ডিওএইচএস এর ওয়াহিদ নামে একজন এক্স আর্মির অফিসে আশ্রয় নিই। যেখানকার অভিজ্ঞতা একটু অসন্তোষের জন্ম দেয়।
তারপর সেখান থেকে ৩ তারিখ গিয়ে থাকি গুলশানের এক সাবেক বিএনপি দলীয় এমপিপুত্রের বাসায়, যিনি এখন কনস্ট্রাকশানের বিজনেস করেন। ওনার ওয়াইফ অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক।
সেখান থেকে বনানী ডিওএইচএস এ মুক্তিযুদ্ধে বীরউত্তম উপাধী পাওয়া একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার বাসায় ৪ ও ৫ আগস্ট অবস্থান করি।
আচ্ছা ভাই, এখানে কোনটাকে আপনাদের শিবিরের মেস মনে হচ্ছে??
দয়া করে জানাবেন….
হুম আন্দোলন চলাকালীন শিবিরের সাথে আমাদের যোগাযোগ ছিলো, বিভিন্নভাবে সহযোগিতাও করেছেন।
তাই বলে সকল কর্মসূচি ওনারা ঠিক করে দিয়েছেন, সবকিছু ওনারা অ্যারেঞ্জ করেছেন এসব কেমন কথা!!!
এভাবে ইতিহাস বিকৃতি আর কদ্দিন!!!
আন্দোলনের সময় আমরা বিভিন্নভাবে প্রবাসী সাংবাদিক Tasneem Khalil, Zulkarnain Saer, Mushfiqul Fazal Ansarey প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ এবং বাংলাদেশের ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ের বিভিন্ন সিনিয়র নাগরিকদের সাথেও যোগাযোগ স্থাপন করি। ওনারাও বিভিন্নভাবে আমাদের সহযোগিতা করেন।
আন্দোলন চলাকালীন মুশফিকুল ফজল আনসারী ভাইয়ের মাধ্যমে সর্বপ্রথম পহেলা আগস্ট সন্ধ্যায় ড. মোহাম্মদ ইউনুস স্যারের কাছ থেকে প্রথম মেসেজ পাই।
কোটা আন্দোলনকে সরকার পতনের আন্দোলন এবং সাধারণ ছাত্রদের ধোঁকা দিয়ে কিভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করলো জামাত, তা প্রকাশ পাচ্ছে শিবিরের নেতাদের ফেসবুক পোস্টেই।
আসুন জেনে আসি মোহাম্মদ ইশরাকের পোস্ট থেকে —
১. যেই বাসা থেকে নাহিদরা ইউনুসকে সরকার প্রধান বানানোর ভিডিওটা করে সেই বাসাটা শিবিরের একজন সাবেক কেন্দ্রীয় শিক্ষা সম্পাদকের।
২. জুলাই-আগস্ট মাসে বিভিন্ন জায়গায় সমন্বয়কদের নিরাপদে থাকার ব্যবস্থা করা বা সুযোগ পেলে হাসিনার বাহিনীর হাত থেকে উদ্ধার করার দায়িত্ব নেয় শিবির। শিবিরের কার কি অবদান এটা মাহফুজ, আসিফ, নাহিদ কেউই কখনো স্বীকৃতি দেয় নাই। ইনফ্যাক্ট, নিজেদের ভাই-বেরাদার ছাড়া অন্য কারও অবদানই তারা কখনো স্বীকৃতি দেয় নাই। আপনি এদের মুখে একটাবারের জন্যও সাদিক, ফরহাদ, রিফাত ভাই, জোনায়েদ ভাইদের নাম মুখে নিতে দেখবেন না।
৩. হাসিনার পতন না হলে সমন্বয়করা “সাধারণ ছাত্র” কোটায় মাফ পেয়ে যেত। ওদের জন্য সুশীল পাড়া মাঠে থাকত। কিন্তু সমন্বয়কদের আশ্রয় ও মদদ দেওয়ার কারণে শিবির সংশ্লিষ্ট প্রত্যেককে প্রকাশ্যে ব্রাশফায়ার করা হলেও প্রতিবাদ করার মত কাউকে পাওয়া যেত না। বরং অনেকেই বলত যে আন্দোলনে সহিংসতা এরাই করেছে, এরাই অরাজনৈতিক আন্দোলনে তৃতীয় শক্তি হিসাবে ঢুকে আন্দোলনকে ভিন্ন পথে নিয়ে গেছে।
৪. আসিফ যখন পোস্ট দেয় যে আসিফরাই রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করবে তখন এটা আমি নোটিশ করি। রিফাত ভাইকে জানাই যে আন্দোলন যদি নাহিদ-আসিফদের ক্ষমতা দখলের আন্দোলন হিসাবে চিত্রায়িত হয় তাহলে আন্দোলন ভেস্তে যেতে পারে। মধ্যবিত্ত মুখ ফিরিয়ে নিতে পারে। লীগ আন্দোলনকে কতিপয় উচ্চাভিলাসী ব্যক্তির ক্ষমতা দখলের চক্রান্ত আকারে হাজির করতে পারত। এই সকল পয়েন্টে রিফাত ভাইকে জানাই যে লেখাটা প্রবলেমেটিক। জানতে পারি যে মির্জা গালিবও একই কথা বলেছেন।
সিটিজেন ইনিশিয়েটিভের ডিসকাশন ফোরামেও আমি একই কথা বলি। সেখানে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয় যে ছাত্ররা ক্ষমতা নবে সেটা সমস্যা না, কিন্তু ছাত্রদের ক্ষমতা নেওয়ার বিষয়টা এভাবে উল্লেখ করাটা আন্দোলনের জন্য ড্যামেজিং।
অবশ্য এখানেও কথা থাকে যে ছাত্ররা মানে যে কেবল গোটা ছাত্রসমাজ (ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, দলনিরপেক্ষ) না বরং ছাত্রশক্তির একটা অংশ এটা তো আর কেউই জানতাম না।
৫. আসিফ মাহমুদের পোস্টটা ব্রডার একটা ডিস্টার্বিং প্যাটার্নের অংশ ছিল। ৩রা আগস্ট মাহফুজ পোস্ট করে যে আন্দোলনে নানা পক্ষকে ব্যবহার করলেও আন্দোলন শেষে সবাইকে মাইনাস করে দেওয়া হবে। এ ধরণের কথাবার্তা আন্দোলজের জন্য খুবই ক্ষতিকর ছিল। ভাগ্য ভাল তখন খুব বেশি মানুষ মাহফুজকে চিনত না বা মাহফুজের লেখা ফলো করে নাই।
৬. ইউনুসের সাথে সাদিক কায়েম যোগাযোগ করে সরাসরি ইউনুসের ডান হাত লামিয়া মোর্শেদের মাধ্যমে। লামিয়া মোর্শেদ সাদিককে ইউনুসের ইমেইল এড্রেস দেন। সাদিক ইমেইল করলে ইউনুস সেটার জবাব দেন।
৫ই আগস্ট ভোরবেলাতেও মাহফুজ জানত না যে ইউনুসের সাথে যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে। ইউনুসের নাম প্রস্তাব করাতেও মাহফুজের আপত্তি ছিল। মাহফুজ রিফাত ভাইকে নিষেধ করে ইউনুসের নাম সামনে আনতে। এসংক্রান্ত ভয়েস ম্যাসেজ রিফাত ভাইয়ের কাছে আছে।
৭. সময়ের কাজ সময়ে করতে হয়। দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হয়। সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হয়। আজকের এই পরিস্থিতির জন্য জোনায়েদ ভাইয়ের লিডারশিপ ফেইলিয়োরই দায়ী। উনি সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারলে আজকে এই সমস্যাগুলি তৈরী হত না।
৮. আব্দুল কাদের শিবিরের সাথী ছিল। এটা আব্দুল কাদের নিজে আমাকে জানিয়েছে। ৯ দফা ঘোষণার সময় যাত্রাবাড়ির ওদিকে যে বাসায় ওকে শিবির লুকিয়ে রেখেছিল সেই বাসাটা যার তিনি আমার ফ্রেন্ডলিস্টে আছে। ইচ্ছা হলে উনি নিজের পরিচয় সামনে আনতে পারেন।
৯. এটা মোটেও শিবির বনাম অশিবির দ্বন্দ্ব না। এটা সাবেক শিবির বনাম সাবেক শিবির দ্বন্দ্ব। আল্লাহর কসম দিয়ে বলতে আমার কোনই সমস্যা নাই যে মাহফুজ আমার মতই শিবিরের সাথী ছিল। যারা জোনায়েদ ভাইদের অযোগ্যতার সুযোগ নিয়ে ইতিহাস বিকৃতি ঘটিয়ে জোনায়েদ ভাইদের মাইনাস করার চেষ্টা করছে এদের প্রায় সবাই সাবেক শিবির। পার্থক্য হচ্ছে এদের সেটা বলার বা স্বীকার করার মত সাহস নাই। দ্বন্দ্বটা মূলত শিবিরের আন্ডারগ্রাউন্ড পলিটিক্সের সুবিধাভোগী বমান শিবিরের আন্ডারগ্রাউন্ড পলিটিক্সের জন্য যারা খেটেছে তাদের মধ্যে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অবশ্যই লগইন করতে হবে।