
খালেদা জিয়ার মঙ্গলবারের প্যাঁচালের চিপা থেকে আবিষ্কার করলাম উনি নতুন নীতিমালার কথা শুনালেন—দেশ চালাতে (যদি ভবিষ্যতে বিএনপি ক্ষমতায় যায়); হতাশ হলাম, বিরক্তও হলাম। ভিশন-২০২১ শেষ হবে কিনা তার খবর নেই, বিএনপি তার আগের টার্মের লক্ষ্য পূরণ করেছে বলেও মনে হয়না, এই অবস্থায় আবারো নতুন ‘ভিশনের’ গল্প শুনে খুশি হতে পারিনি।
নতুন প্রজন্মকে কাছে টানতে (হাসিনার মত) ম্যাডাম জানালেন, নেতৃত্ব নাকি নতুনদের হাতে থাকবে (যদিও বুদ্ধি দেবে বুড়োরা)। মানে তার সোনার ছেলে (!) তারেক হবে সর্বেসর্বা। দলের লোকেরা মেনে নিলেও তাকে আমি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মানতে নারাজ আছি।
এত বিরক্তি কোথায় রাখি? অনেক ভেবে এখানেই লিখছি।
নতুন কথা বলাটা আমাদের নির্বাচনী সংস্কৃতির একটা গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। জনসভায় যায় বা টিভি-রেডিওতে এসব গল্প শুনে এদেশের আপামর জনগন (মফিজ) উত্তেজনা বোধ করে, অদূর ভবিষ্যতের নির্বাচনে কাকে ভোট দেবে মোটামুটি ঠিক করে ফেলে। আর সবচেয়ে দুঃখজনক হল পাবলিক ভুলে যায় ‘কি করেছিল এরা আগের টার্মে’।
এভাবেই তো কাটলো গত ২০টি বছর।
প্রতিটি কথায় বর্তমান সরকারের সমালোচনা করে, কাঁদা ছিটিয়ে খালেদা প্রমান করতে চাইলেন হাসিনার ব্যর্থতা, যেমনটি তিনি নিজে দেখেছেন তার আমলে।
সংসদে গিয়ে নিজেদের এলাকার মানুষদের সমস্যার কথা না বলে, এমনকি নিজ উদ্যোগে কার্যক্রম না চালিয়ে সারা বছর কিভাবে সরকারের কাজের বারোটা বাজাতে হয় তা ভালোই জানে আমাদের রাজনীতিবিদেরা।
আর আমরাও পারিনা তাদের বাধ্য করতে। এ লজ্জার।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.