
এইতো কিছু দিন আগেও আবুল বলছিল সে নাকি খুব সচেতন তার কাজের ব্যাপারে, এবং খুব নিষ্ঠার সাথে সে তার দায়িত্ব পালন করেছে। তাকে সাহস ও সমর্থন দিয়েছে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী, আর তার গলার জোরটা বাড়িয়ে দিয়েছে।
আজকে অনলাইনে দেখলাম নতুন যোগাযোগ মন্ত্রী নাকি সেতু বিভাগের কর্মকর্তাদের একহাত নিয়েছে — ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বেহাল দশা দেখে, কেননা ওই রাস্তায় ৩টা সেতু নাজুক অবস্থায় আছে, যার মধ্যে মেঘনা সেতুর অবস্থা তো বন্ধ হয়ে যাবার মত।
খুবই অবাক হলাম এই ভেবে যে এতোদিন ধরে মানুষ তাহলে কত ঝুঁকি নিয়ে চলাফেরা করেছে এবং সরকারের আবুল মন্ত্রী ও সেতু বিভাগ কিভাবে উদাসীন থেকেছে।
আরো অবাক হলাম এই ভেবে যে বিরোধিদল বা অন্য কোন রাজনৈতিক দলও এই বিষইয়ে কিছু বলেনি কোথাও।
এমনকি আমার কয়েকজন তথাকথিত সচেতন বন্ধু যাদের বাড়ি কুমিল্লা, সিলেট ও চট্টগ্রাম এলাকায় তাদেরও বলতে শুনিনি এই বিষয়ে। বাহ বাহ।
পাবলিকের কথা বাদ দিলাম কেননা উনারা আশা করেন মানে চাতক পাখির মত তাকিয়ে থাকেন সরকারের দিকে, আর ভাবেন একদিন ঘুম ভেঙ্গে দেখবেন সেতু, রাস্তাঘাট সব ঠিক হয়ে যাবে।
আর এই সুযোগে প্রধানমন্ত্রীর মত মন্ত্রী, এমপি, সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভা মেয়র, উপজেলা ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যানরা পাবলিকদের বোকা বানিয়ে বছরের পর বছর পার করে দিচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর খাতিরের লোক বলে অনেকেই আগে আবুলের বা তার মন্ত্রনালয় নিয়ে অভিযোগ জানায়নি বা গোপন তথ্য ফাঁস করেনি। কিন্তু এখন যেহেতু একজন মোটামুটি সৎ লোক মন্ত্রী হয়েছে অর্থ্যাৎ যে কিনা সমালোচনা বা অভিযোগ আমলে নেয়ার মত সহিষ্ণুতা রাখে, সেক্ষেত্রে আমি মনে করি আমার আপনার সবারই এখন উচিত তাকে সাহায্য করা–কেননা আখেরে তা আসলে আমাদের নিজেদেরই উপকারে আসবে।
তাছাড়া সড়ক ও জনপথ এবং সেতু বিভাগে আপনাদের পরিচিত কেউ থাকলে তাদের সাথে আলাপ করুন, বা মূল্যবান কোন সংবাদ পেলে সাংবাদিকদের বা কাদেরকে জানান।
তবে এটাও মাথায় রাখতে হবে যে, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী থাকা অবস্থায় ঘুষের বিনিময়ে কাজ দেয়ার অভিযোগে কাদেরের বিরুদ্ধে তৎকালীন তত্বাবধায়ক সরকারের দুদক ৩টি মামলা করেছিল।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.