অর্থ-সংকট কাটাতে স্বদেশী পণ্য

চাল-ডাল-তেল-চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ব্যাপারে আমাদের স্বদেশী হওয়া উচিৎ বলে আমার মনে হচ্ছে

বাংলাদেশেও অনেক ভালো কাজ হয়, তবে একটু দেরীতে।

এতোদিনে একজন সরকারপ্রধান বললেন “আমদানি কমাতে” সয়াবিন তেলের কাঁচামাল দেশেই উৎপাদন করার ব্যবস্থা নেয়া হবে। বাহ, কি চমৎকার কথা!

নীতিনির্ধারকদের মাথায় যদি দরকারি কথা দেরীতে আসে, তাহলে কেমনে হবে? জনগনের ভাগ্য নির্ধারনে যাদের দায়িত্ব, তারা যদি টিউবলাইট হয়, তবে আমরা কেন এদেরকেই ভোট দেই আমাদের চালাতে!

এরশাদ-খালেদা-হাসিনার সরকার সবাই কমপক্ষে ৮ বছর দেশ শাসন করেছে–কিন্তু কাজের কাজ করেছে কয়টা? সুদূরপ্রসারী চিন্তা হয়েছে কয়টা?

এখন অর্থনীতির বারোটা বাজার অবস্থা হয়েছে বলে আমদানির বিকল্প খুঁজছে সরকার…

তবুও ভালো যে আরো ২০ বছর পর এই চিন্তাটা আসেনি।

কিন্তু দুঃখ এই যে, স্বাধীনতার ৪০ বছর পেরিয়ে গেলেও বর্তমান এবং অতীতের কোন সরকার কখনো স্বদেশী-স্বনির্ভর অর্থনীতির কথা ভেবেছে বলে মনে হয়না, কেননা তাহলে বিভিন্ন দেশ আর দাতা সংস্থার পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হতোনা আমাদের।

বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে মূল্যস্ফিতির যে অবস্থা তাতে আগামী বছর নাগাদ এই হার অর্থ্যাৎ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়বে বৈ কমবেনা। আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি এর মূল কারন বলে অর্থনীতিবিদেরা মনে করছেন।

কতটা চিন্তা করে না প্রধানমন্ত্রী সয়াবিন তেলের বিষয়ে আজ এই কথাটা বলেছেন জানিনা, তবে সেই কথাতে একটা দরকারী বিষয় সামনে এসেছে।

কদিন ধরে মনে হচ্ছিল, অর্থনীতিকে সুস্থির করতে অর্থ্যাৎ বাংলাদেশ ব্যাংকের ডলার রিজার্ভ বাড়াতে আমদানি কমানো উচিৎ, আর পাশাপাশি সাধারন জনগনের উচিৎ হবে বিদেশি পণ্যের ব্যবহার সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামিয়ে আনা যেন দেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর পণ্য বিক্রয় বাড়ে আর মানের উন্নতি হয়।

জালের মত ছড়িয়ে পড়া অর্থনৈতিক জটিলতাকে তো আর পাশ কাটিয়ে যাওয়া যাবেনা, কিন্তু সামলানোর চেষ্টা তো করা যাবে।

দেশের অবস্থা যাই হোক, কোটিপতি বা তাদের চামচাদের কখনো বিশেষ কোন সমস্যা হয়না বেঁচে থাকতে, কিন্তু নাভিশ্বাস উঠে জনসাধারনের। আর তাই

এখন স্বদেশী পণ্যের ব্যবহার বাড়ানো উচিৎ — আমার, আপনার, সবার।

Comments

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

en_USEnglish
Powered by TranslatePress