টিউটোরিয়ালে কম নাম্বার দিএয়ছিলেন যশোরের এমএম কলেজের ২জন শিক্ষক। আর তাই তারা পুরো দলটাকে সঙ্গে নিয়ে গত ১১ তারিখে কলেজের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক সুজন মিয়া ও অর্থনীতির মহিউদ্দিন আহমেদের উপর হামলা করে। তাছাড়া ‘উত্তেজিত ছাত্ররা’ ইতিহাস বিভাগে ভাংচুর চালায়।
এ নিয়ে শনিবার রাসেল আহমেদ নামের একজন মহান ছাত্রলীগ কর্মীকে কলেজ থেকে টিসি (কলেজ পরিবর্তনের নোটিশ) দেয়া হলে এ নিয়ে আবার উত্তেজনা শুরু হয়।
সাধারন ছাত্রের বেলায় হলে মাফ পাওয়ার প্রশ্নই যেখানে আসতো না, সেখানে এই ‘শিক্ষানুরাগী’ ছাত্রলীগ কর্মী তথাকথিত মাফ চাওয়ার মাধ্যমে শিক্ষক কাউন্সিলের ক্ষমা লাভ করে আজ রবিবার।
বার্তাসংস্থা ইউএনবি এই রিপোর্টটি প্রকাশ করলেও অনেক পত্রিকা-টিভি হয়তো খবরটি জানাবেনা। যেমনটি ঘটে থাকে বিভিন্ন সরকারের আমলে, সরকারি দলের গুন্ডা-পান্ডাদের ভয়ে। যদিও স্বীকার করতে হবে যে, দিন দিন মিডিয়ার প্রচারনার পরিমান বাড়ছে।
কিন্তু এভাবে ক্ষমা আর কতদিন?
এর ফলাফল যে ভালো হয়না সেটা বুঝার জন্য তো আর পিএইচডি ডিগ্রী নিতে হয়না বা প্রশিক্ষনও নেয়া লাগেনা।
ক্ষমার কারনে পরিস্থিতি যে আরো ভায়বহ হয় তার সবচেয়ে জলন্ত প্রমান জাহাঙ্গীরনগরের সাম্প্রতিক খুন। বিগত দিনগুলোতে ঘটে যাওয়া খুন, সংঘর্ষ আর নানামুখি অপরাধের প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ দৃষ্টান্তমূলক কোন বিচার না করায় আর আইনশৃংখলা বাহিনী তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন না করায় নোংরা ছাত্র-রাজনীতির বলি হল জুবায়ের আহমেদ।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.