এতদিন পর আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের সকল কর্মকান্ডের ব্যাপারে মুখ খুললেন।
আজ ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনারের সাথে কথা বলার সময় তিনি তিস্তার চুক্তি, সীমান্তে হত্যা বন্ধ ও ছিটমহল চুক্তির বাস্তবায়ন, টিপাইমুখ প্রকল্প নিয়ে জরিপে বাংলাদেশী বিশেষজ্ঞ রাখা এবং এমন কোন বাঁধ না দেয়া যেটা পরিবেশ ও প্রতিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে।
সাথে তিনি মনে করিয়ে দেন যে, বাংলাদেশ আঞ্চলিক যোগাযোগ বৃদ্ধিতে ভারতের অনেক অনুরোধ (দাবী) মেনে নিয়েছে। (খবর ইউএনবি’র)
এর আগে তিনি নভেম্বর মাসে টিপাইমুখের ব্যাপারে জরিপে বাংলাদেশকে নেবার কথা বলেছিলেন, আর তিস্তা নিয়ে আধা আলাপ হয়েছে সেপ্টেম্বরে।
দুইদেশের মধ্যকার সম্পর্ক উন্নয়নে নানা উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ, যেমন আখাউড়া-আগরতলা রেল যোগাযোগ, ত্রিপুরার পালাটানা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য মালামাল বহন (তিস্তার বুকে বাঁধ দিয়ে), আশুগঞ্জকে স্থলবন্দর হিসেবে ব্যবহার করতে দেয়া, বর্ডার হাট ও স্থল বন্দরে কাস্টমস হাউজ স্থাপন ইত্যাদি ইত্যাদি।
এসব শুনে ভারত সরকার যেন রাগ না করে বসে সেজন্যে বলেন, দুদেশের মধ্যে সম্পর্ক নাকি যেকোন সময়ের তুলনায় ভালো। তাছাড়া মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের অবদান বাংলার মানুষ কখনো ভুলতে পারবেনা।
রাষ্ট্রদূত কেন জানি এত কিছুর পরেও হাসিনার (স্বৈরাচারী) নেতৃত্বের প্রশংসা করেন, যার উদ্যোগের ফলে নাকি বাংলাদেশ আরো প্রগতিশীল, সমৃদ্ধ ও শান্তিপ্রিয় দেশ হিসেবে আঞ্চলিকভাবেও গন্য হবে।
এদিকে ডেইলী স্টারের মতে, বাংলাদেশ থাকা ভারতের ১১১টি ছিটমহলের বাসিন্দারা আজ বিকাল ৪টা থেকে আমরন অনশন শুরু করেছেন মনমোহনের সফরের সময় সই হওয়া সীমানা চুক্তি দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে।
তাছাড়া রাষ্ট্রের অধিবাসী হিসেবে মৌলিক দাবিসমূহ যেমন বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা, চাকরি, অবকাঠামো, নিরাপত্তা; এবং ধর্মীয় কাজে অংশ নিতে বিদেশে – মক্কা ও ভারতের তীর্থস্থানে – যেন যেতে পারেন সে দাবিতে মাঠে নেমেছেন তারা। প্রসঙ্গত, এইসব সীমান্তের গ্যাড়াকলে পড়া মানুষগুলোর পাসপোর্ট থাকেনা।
বাংলাদেশ সরকার ভবিষ্যতে আবার কবে এইসব নিয়ে কথা বলবে তাই এখন দেখার বিষয়। তবে যতটুকু বুঝি, সচেতন জনগন গলা ফাটিয়ে চিৎকার না করলে সরকার বুঝতে পারেনা কোন বিষয়টা জরুরী।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.