
পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন নিয়ে শেষ পর্যন্ত যৌক্তিক সমাধানের দিকে এগুচ্ছে সরকার।
আবুলকে অতি কষ্টে বিসর্জন দিল আওয়ামী লীগ সরকার। উনি যদি সত্যি তুলসীপাতা হয়ে থাকেন, তবে তার ভয় কি! তদন্ত শেষে ক্লীন সার্টিফিকেট নিয়ে বীরের বেশে আবার তো বসতে পারতেন আরাম কেদারায়।
এখন আর সেই ফুলেল শুভেচ্ছার ব্যাপারটা মনে হয় থাকলোনা। জল যথেষ্ঠ ঘোলা হয়েছে, আওয়ামী লীগের ভোটও কমেছে।
শুভকামনা রইলো পদ্মা সেতুর জন্য।
পদ্মা নিয়ে মুহিতের ৪টি বিকল্প চিন্তা, প্রধানমন্ত্রীর কয়টা?
পদ্মা সেতুঃ দুর্নীতির সংজ্ঞা পাল্টাতে হবে মনে হচ্ছে
SMS to Prime Minister Sheikh Hasina
Corruption cripples development
একজন মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন, এদিকে বিরোধীদল বিএনপি কি আর বসে থাকবে?
ফখরুল মিয়া খবর পাওয়ার সাথে সাথেই মন্তব্য করলেন পদত্যাগ যেহেতু করেছে তার মানে দুর্নীতি হয়েছে। সুযোগের সদ্ব্যবহার আর কি!
বিরোধীদল এটাকে ইস্যু বানাতে পারে এমন আশংকা নিশ্চয়ই ছিল প্রধানমন্ত্রীর মনে। তাই তো সুরঞ্জিতকে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বানিয়ে রাখলেন, আর জাহাঙ্গীরনগরের প্রাক্তন উপাচার্য শরীফ এনামুল কবীরকে সরালেন সন্তর্পনে, আর সাথে নির্দেশনা দিয়েছিলেন আন্দোলনকারী শিক্ষকদের যেন ক্যাম্পাসে কেউ আনন্দ মিছিল না বের করে।
আওয়ামী লীগ দলটা এত পুরোনো, আবার এর সদস্য ও সমর্থকও কম না, তাহলে কিসের এত টালবাহানা? কি দরকার ছিল?
এত কাহিনী না করে অভিযোগ ওঠার সাথে সাথেই যদি সবাইকে উনি বসিয়ে দিতেন এবং সেই জায়গায় যোগ্য কাউকে দিতেন তাহলে তদন্তে প্রমানিত না হলে জোর গলায় অনেক কিছু বলতে পারতেন।
অথচ তা না করে, তিনি তার আমলে তার দলের যে কারো বিরুদ্ধে আসা নানা অভিযোগকে এখনও অস্বীকার করে চলেছেন। পত্রিকা-টিভিতে এসব খবর প্রকাশ হয় বলে তিনি রাগ করলেন। অনেকেই নাকি মিথ্যা খবর দেয়, তবুও তিনি সেসব মিডিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন না! হাহ! যত্তোসব, বানোয়াট!
বিশ্ব ব্যাংক দুর্নীতি হতে পারে বলেছে তাই তিনি একরকম ধুয়ে ফেললেন। সংসদে দাঁড়িয়ে হাজারটা অভিযোগ দিলেন তিনি ওই মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ পরিচালিত বিশ্ব ব্যাংকের বিরুদ্ধে। ভালো, এসব টাকাওয়ালাদের দোষ ধরা ভালো।
তবে কিনা তার আগে সরকারের উচিত ছিল “দুর্নীতির” সংজ্ঞা ঠিক করা, আর বিশ্ব ব্যাংককে বলা যে আমাদের দেশে দুর্নীতি মানে অবৈধভাবে টাকা-পয়সার লেনদেন, কথা হলেই তা দুর্নীতি হয়ে যায় না।
এমনি একদা বিশ্ব ব্যাংকের ভুল ধরেছিলেন মুহিত সাহেবও, কিন্তু পরে তিনি চুপ মেরে যান।
এখন হাসিনা চুপ মেরে যাবেন। আর তার রাজনৈতিক বক্তব্য অর্থ্যাৎ নিজেরাই করে ফেলবো চাঁদা তুলে থিওরি শিকেয় ঊঠে যাবে।
উনার অপমানে আমাদের জনগনেরও অপমান হয় এটা কি উনি ভুলে যান? সারা বিশ্বে এই মুহুর্তে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব তো তিনিই করছেন।
নির্বাচন বেশী দূরে নেই। আশা করবো, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এরকম মাথা গরম না করে, সব অস্বীকার না করে শুভবুদ্ধির প্রমান দিবেন।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.