আওয়ামী লীগ সরকারে আবার নতুন মন্ত্রী

বেশ চমকপ্রদ একটা স্টাইল। মেয়াদের ১৫ মাস বাকি, আবার ৭ জন নতুন মন্ত্রীর নাম শুনতে পাচ্ছি।

ভালো, বেশ ভালো।

এইতো গত ডিসেম্বরে দেখলাম ২ জনকে নিতে, যারা কিনা সরকারি দলের হয়েও সংসদে-বাইরে সরকারের কাজ-কর্মের সমালোচনা করতেন এ উপদেশ দিতেন।

এইবার যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তাদের মধ্যে কয়েকজন এই ধরনের কার্যক্রম চালাচ্ছেন সবসময়, যেমন তোফায়েল আহমেদ, ইনু।

অনিয়ম-দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, স্বজনপ্রীতি, মানবাধিকার লঙ্ঘন, দূর্বল যুদ্ধাপরাধ বিচার ইত্যাদি নানা অভিযোগে অভিযুক্ত এই ডুবন্ত নৌকায় যারা উঠলেন, তারা কি ভেবে রাজী হলেন ভাবছি।

আপডেটঃ ভালো লাগলো যখন দেখলাম তোফায়েল ও মেনন রাজি হননি। যদিও এজন্য তাদেরকে পস্তাতে হবে, এবং ইতিমধ্যেই ধোলাই খেয়েছেন হাসিনা থেকে শুরু করে দলের সিনিয়র নেতাদের কাছে।

Welcome to the show: It’s Bangladeshi Politics!

 

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইট অনুসারে বর্তমান মন্ত্রিসভার একটি তালিকা এখানে দেওয়া হলো: প্রথম আলো সেপ্টেম্বর ১৫

প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা: প্রতিরক্ষা, সশস্ত্র, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রী
আবুল মাল আবদুল মুহিত: অর্থ মন্ত্রণালয়।
মতিয়া চৌধুরী: কৃষি মন্ত্রণালয়।
আবদুল লতিফ সিদ্দিকী: বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়।
শফিক আহমেদ: আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
এ কে খন্দকার: পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়।
দীপু মনি: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মহীউদ্দীন খান আলমগীর: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম: স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।
সাহারা খাতুন: ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়।
ফারুক খান: বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।
জি এম কাদের: বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
ওবায়দুল কাদের: যোগাযোগ মন্ত্রণালয়।
মুজিবুল হক: রেলপথ মন্ত্রণালয়।
হাসানুল হক ইনু: তথ্য মন্ত্রণালয়।
আবুল কালাম আজাদ: সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
আব্দুর রাজ্জাক: খাদ্য মন্ত্রণালয়।
এ এইচ মাহমুদ আলী: দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
রাজিউদ্দিন রাজু: শ্রম মন্ত্রণালয়।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন: প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়।
মোস্তফা ফারুক মোহাম্মদ: তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।
আবদুল লতিফ বিশ্বাস: মত্স্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত: দপ্তরবিহীন।
রেজাউল করিম হীরা: ভূমি মন্ত্রণালয়।
এনামুল হক মোস্তফা শহীদ: সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়।
দীলিপ বড়ুয়া: শিল্প মন্ত্রণালয়।
রমেশ চন্দ্র সেন: পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
আফসারুল আমিন: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আ ফ ম রুহুল হক: স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়।
নুরুল ইসলাম নাহিদ: শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শাজাহান খান: নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়।
হাছান মাহমুদ: পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়।

প্রতিমন্ত্রী
মোস্তাফিজুর রহমান: ভূমি মন্ত্রণালয়।
এ বি তাজুল ইসলাম: মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
ইয়াফেস ওসমান: বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
মন্নুজান সুফিয়ান: শ্রম ও কর্মসংস্থানবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
দীপঙ্কর তালুকদার: পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
আহাদ আলী সরকার: যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
শাহজাহান মিয়া: ধর্ম মন্ত্রণালয়।
আব্দুল মান্নান খান: গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।
কামরুল ইসলাম: আইন মন্ত্রণালয়।
শামসুল হক টুকু: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
জাহাঙ্গীর কবির নানক: স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।
মোতাহার হোসেন: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মুহাম্মদ এনামুল হক: বিদ্যুত্, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।
মজিবুর রহমান: স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়।
প্রমোদ মানকিন: সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
শিরীন শারমিন চৌধুরী: নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
ওমর ফারুক চৌধুরী: শিল্প মন্ত্রণালয়।
আবদুল হাই: মত্স্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
মাহবুবুর রহমান: পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

উপদেষ্টা
হোসেন তৌফিক ইমাম: সংস্থাপন ।
এ কে এম মশিউর রহমান; অর্থ ও পরিকল্পনা ।
সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী: স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ ।
তারিক আহমেদ সিদ্দিক: নিরাপত্তা।
আলাউদ্দিন আহমেদ: শিক্ষা।
তৌফিক-ই-ইলাহি চৌধুরী: জ্বালানি।
গওহর রিজভী: পররাষ্ট্র।

Comments

  1. rasselbd Avatar
    rasselbd

    মরবার আগে শেষ বারের মতো একবার মন্ত্রী হওয়ার খায়েস আর কি !

    1. চাটিকিয়াং রুমান Avatar

      হা হা হা, মন্দ বলেননি।

  2. probirbidhan Avatar

    প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি দেরিতে মন্তব্য করার জন্য, এবং তথ্যগত একটা ভুলের জন্যঃ গতকাল আসলে উনাদের রাজি হওয়া বা না হওয়ার কিছু ছিলনা। কাল সিদ্ধান্ত এসেছে পার্টি প্রধানের কাছ থেকে, সেটা জানানো হয়েছে, আর মেনন ও তোফায়েল ভাই নারাজি অবস্থান জানিয়েছেন আজ।

    এইটা প্রধানমন্ত্রীর একান্ত ব্যক্তিগত (বা পারিবারিক) সিদ্ধান্ত। যদিও তিনি আজকে বললেন এইটা একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া (!!!) এবং এইটা আওয়ামী লীগের জন্য শুভ হলোনা। কেননা ব্যাকফুটে থাকা অবস্থায় মন্ত্রীসভার সদস্য বাড়ানো কোন ভালো খবর না।

    তবে শোনা যাচ্ছে, সাহারা, দীপু মনি, মুহিতকে হয়তো সরিয়ে দেয়া হতে পারে। হাস্যকর হলো গুজব বলছে সাহারার বদলে দেয়া হতে পারে যুবলীগের সাধারন সম্পাদক, প্রাক্তন দাঙ্গাবাজ-সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী নানক।

    মেনন তার প্রতিক্রিয়ায় যা বললেন তা সমর্থনযোগ্য। তাদের সাথে রাষ্ট্রীয় বিষয়ে আওয়ামী লীগ আলোচনা করেনা, সুতরাং তারা সরকার পরিচালনায় যাবেনা, এটা তাদের আরো এক বছর আগের সিদ্ধান্ত।

    তোফায়েল ভাই বললেন তিনি হতাশ নন। কিন্তু রাগ-ক্ষোভ-অপমান তিনি ঢাকতে পারেননি। আমার মতে এই কথাটাই তার প্রমানঃ “আমার মতো একজন তোফায়েল আহমেদ মন্ত্রিসভায় যোগদান না করলে তাতে কিছুই যায় আসে না।”

    পাঁচ মন্ত্রী ও দুই প্রতিমন্ত্রীর শপথ http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-09-13/news/289023

    যে কারণে মন্ত্রী হলেন না http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-09-13/news/289038

    শেষ সময়েও খেলোয়াড়েরা গোল করে http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-09-13/news/289048

    মন্ত্রিসভায় যোগ-বিয়োগ হতেই পারে http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-09-13/news/289046

  3. সাহাদাত উদরাজী Avatar

    তারিক আহমেদ সিদ্দিক: নিরাপত্তা।
    আলাউদ্দিন আহমেদ: শিক্ষা।

    এই উপদেষ্টাদের নাম তেমন শুনি নাই। কাজ করে না ঘুমায়! হা হা হা… চুপ চাপ থাকাই ভাল…।।

  4. […] আওয়ামী লীগ সরকারে আবার নতুন মন্ত্রী […]

  5. […] আওয়ামী লীগ সরকারে আবার নতুন মন্ত্রী […]

  6. […] আওয়ামী লীগ সরকারে আবার নতুন মন্ত্রী […]

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

en_USEnglish
Powered by TranslatePress