আমার ‘খিচুড়ি-স্টাইল দর্শন’: একটি চলমান খসড়া

আমি সাধারনত ‘সংজ্ঞা’ টাইপের চিন্তা করিনা। এটাকে যদি নির্বুদ্ধিতা বা বোকামী বলেন সমস্যা নাই, গোয়ার্তুমিও বলতে পারেন।

কিন্তু এই অবস্থার পেছনে আমার স্পষ্ট ভাবনা আছে। তবে আমি নিশ্চিত না সেটা কাউকে সহজে বুঝাতে পারবো কিনা।

Basic হিসেবে বলতে চাই আমি ছোটবেলা থেকেই খিচুড়ী স্টাইলে বড় হয়েছি, মানে কোন জীবনদর্শনে আমার অরুচি ছিল না, শেখার ক্ষেত্রে। এবং কিছু বিষয় বাদে আমি প্রায় সবকিছু নিজের জীবনের নানা ক্ষেত্রে কাজে লাগিয়েছি। ৫-৬ বছর হলো অনেককিছু বাদ দিয়েছি, বিশেষ করে অপছন্দের মানুষ বা বিষয়ের প্রতি অনীহা ও ঘৃনা প্রকাশ করা শুরু করেছি।

আরো সহজ করে বলতে গেলে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার, ধর্মের, এমনকি বিকৃত রুচির মানুষদের সাথে মিশেছি বা খুব কাছে থেকে পর্যবেক্ষন করেছি দিনের পর দিন। যা যা দেখেছি তার বেশিরভাগই মাথায় এখনো আছে, কারন সেগুলো নিয়ে এখনও ভাবি এবং প্রতিনিয়ত অনেক কিছু যোগ হচ্ছে।

ফলে, আমার কথা, আচরন ও ভাবনার মধ্যে মিশ্রতা থাকাটা খুব স্বাভাবিক একটা ব্যাপার। যদিও সেটাকে ক্ষতিকর পর্যায়ে আমি নিয়ে যাই না, বিশেষ করে ভালোমানুষদের সাথে। তাছাড়া আমার খুব কাছের মানুষ যারা আমার সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখে এবং আমি যাদের সাথে নিজের ভাবনা প্রকাশ করি তারা বিষয়টাকে সহজভাবে নেয় এবং আমার ভুল শুধরে দেয় যেন ছকেবাধা স্বাভাবিক মানুষদের সমাজে আমার চলতে ফিরতে বিশেষ সমস্যায় না পড়তে হয়।

হ্যা, বলছিলাম সংজ্ঞার কথা। আমি অপছন্দ করি রোবটের মত চিন্তা ও কাজ করতে। যে কারনে আমি বিশেষ চাপের মুখে না পড়লে থিওরি পড়িনা। ভদ্র সমাজে টিকে থাকতে যতটুকু দরকার ততটুকুই জানার ও বলার চেষ্টা করি।

বিশ্বাসের জায়গাটাতে আমি নিজের অর্জিত ধারনার উপর আস্থা রাখি। তবে আরো শেখার বা গ্রহন করার রাস্তাটা খোলা রাখি।

গত সাড়ে তিন বছর আমার জীবনের সবচেয়ে গুছানো সময়, মানে আমি একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্যে কাজ করছি, প্রতিনিয়ত।

তার আগের ৫/৬ বছর কেটেছে একই লক্ষ্য নিয়ে, তবে ভিন্নতা ছিল কাজের ধরনে। একরকম পরোক্ষ আচরন সেটা যার ফলাফল ইতিবাচক হবার সম্ভাবনা কম ছিল।

তাই এই সময়টাতে বদলাতে হয়েছে কর্মপ্রকৃতি, স্থান আর কিছু ভাবনা। সাথে ছেড়েছি অনেক মানুষকে, অভ্যাসকে আর শখকে। কিন্তু এই মহাপরিকল্পনা দম্ভ করে বলা বা কতটুকু কি করতে পেরেছি তা সবাইকে জানানোর প্রয়োজন বোধ করছিনা বাধা পাবার ভয়ে।

নিজের শারীরিক, মানসিক, সামাজিক, আর্থিক ও জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার কারনে কম্পিউটারের মত সোজাসাপ্টা ও যৌক্তিক কর্মদক্ষতা দেখাতে পারছিনা বটে, কিন্তু সেই সীমাকে ছাড়িয়ে যাবার ইচ্ছা আমার প্রতিনিয়ত আছে, এটুকু বলতে পারি।

চলছে, চলবে…

Comments

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

en_USEnglish
Powered by TranslatePress