হযরত আবু সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ)
বলেছেন, যে কোন মুসলমান কোন মুসলমান বিবস্ত্রকে কাপড় পরিধান
করাবে, (ক্বিয়ামতের দিন) আল্লাহ
তাকে বেহেশতের সবুজ (কাপড়)
জোড়া পরাবেন।
আর যে কোন মুসলমান কোন ক্ষুধার্ত মুসলমানের মুখে অন্ন দান করবে, আল্লাহ্ তাকে বেহেশতের ফল খাদ্যরূপে দান করবেন।
আর যে মুসলমান কোনো মুসলমানকে পিপাসায় পানি পান করাবে আল্লাহ্ তা’আলা তাকে (কিয়ামতে) মুখ বন্ধ করা বোতলের স্বচ্ছ পানি পান করাবেন।
{সুনান আবু দাউদ, হাদিস- ১৬৮২, জামে তিরমিযী, হাদিস- ২৪৪৯,
সুনানে কুবরা, বাইহাকী, হাদিস- ৭২১৩, মিশকাত- ১৬৯}
অপরিচিত একজনের পোস্ট এইটা, একটা গ্রুপে পেয়েছি। আমি যদিও শিওর না সূত্রগুলো ঠিক কিনা, তবে একসাথে কয়েকটা জনমুখী কথা পড়ে খুব ভালো লেগেছে, তাছাড়া এই কথাগুলো সমকালীন সমাজে নির্মোহ আত্মক্রন্দ্রীকতা ও ব্যক্তির নৈতিক অবক্ষয়ের যুগে খুব কার্যকরি হবে বলে মনে হলো।
সুরাগুলোর মাধ্যমে মুসলমানদেরকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ করার কথা বলা হয়েছে যেগুলো যেকোন মোটামুটি সচ্ছল ও সুস্থ ব্যক্তিরা নিয়মিতভাবে করতে পারে, ধীরে ধীরে যা অভ্যাসের অংশ হয়ে যায়।
যেকোন ধর্মের মানবীয় গুনাবলীর অধিকারীরাই এগুলো মেনে চলতে পারে। দারিদ্র, ক্ষুধা আর অক্ষমতায় নিমজ্জমান জনগোষ্ঠীকে সহায়তা করা সব ধর্মের মানুষেরই নৈতিক দায়িত্ব হওয়া উচিত। এইসব দূর্ভাগা মানুষগুলোর চেয়ে আমাদের অবস্থা বেশ ভালো, তাই নয় কি?
তাহলে তো আমরা প্রতিদিন একটু সময় অন্তত এইসব বঞ্চিত মানুষদের দিতে পারি — ভাবতে ও কার্যকরি কিছু করতে।
কার্যকরি বলতে একই ঘরে বাস করা সদস্য, নিজের এলাকার বা কর্মক্ষেত্রে আমরা যাদের সচরাচর দেখি কিন্তু তাদের সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানিনা আসুন আজই একটু নজর দেই, একটু ধৈর্য ধরে শুনুন, বুঝুন, অনেককিছু জানবেন আপনি।
বিরক্ত হবেন না, যদিও আপনি এসব করেছেন কখনো কখনো, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হয়তো আকস্মিক কোন পরিস্থিতিতে আমরা জনমুখী কাজে সময় দেই, কিন্তু তা মন থেকে করিনা বলে তা আর অভ্যাসে পরিণত হয়না। ফলে দেখা যায় আমরা স্বার্থপরের মত নিজের ও নিজের খুব কাছের পরিমন্ডল নিয়েই বছরের পর বছর সময় পার করে দিচ্ছি।
আপনাদের নিশ্চয়ই মনে পড়ে যায় দানবীর মহসীন বা হালের মাদার তেরেসা, নেলসন ম্যান্ডেলা বা প্যারাগুয়ের বর্তমান প্রেসিডেন্টের কথা যারা তাদের প্রতিটি দিনেই, প্রায় প্রতিটি মুহুর্তই মানুষের সেবায় ব্যয় করেছেন এবং পরম তৃপ্তি লাভ করেছেন।
আমরা শিক্ষিত, আধুনিক শহুরে মানুষেরা আমাদের দৈনন্দিন জটিল সম্পর্ক, কর্মক্ষেত্রের চাপ, রাস্তার ঝক্কি, নাগরিক সুবিধার বেহাল দশা ইত্যাদি নিয়ে এতই তটস্থ থাকি যে আমরা ভাবি ‘আমরা অনেক চাপে আছি, কষ্টে আছি, দৌড়ের উপর আছি ইত্যাদি’ এবং আরেকধাপ আত্মকেন্দ্রীক হয়ে পড়ি।
অথচ আমরা বুঝিনা যে আত্মত্যাগের ফলে অভাগাদের উন্নতি এবং তা থেকে বাড়বে তাদের কর্মকান্ড, এবং এর সামগ্রিক একটা প্রভাব। সব মিলিয়ে আমাদের মনে যে আত্মতুষ্টির সৃষ্টি হবে তা স্বর্গীয়। আমাদের বন্ধু ও শুভানুধ্যায়ীদের সংখ্যা বাড়বে, অনেক নতুন যোগাযোগ ও কর্মকান্ডের উদ্ভব হবে।
অথবা আপনি কিছুই করলেন না, এবং মর্মান্তিক মানবতার কোন কিছুর পরিবর্তন হলোনা।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.