কড়াইলের পর আর কোন বস্তিউচ্ছেদ হয়নি হাইকোর্টের আদেশের কারনে, যদিও আগের একটি আদেশের প্রতি সম্মান দেখিয়ে শেখ হাসিনা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন “পূনর্বাসন” ছাড়া বস্তিবাসীদের সরিয়ে দিবেন না।
কিন্তু এরপর কমপক্ষে ৫টি বস্তিতে আগুন লেগেছে যদিও ক্ষতিগ্রস্ত ও মানবাধিকার কর্মীদের মতে এগুলো জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। ফলে লাভ হয়েছে বস্তিঘরের মালিকদের, তারা নতুন করে ঘর তুলছেন, ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছেন। বস্তির জায়গাও কমে আসছে আগুনের কারনে।
আবার জমির দখলদার ও এলাকার সরকারি দলের নেতা-কর্মীরা তাদের চাঁদার পরিমান বাড়িয়ে দিয়েছে।
যেহেতু বস্তিবাসীদের নিজের জায়গা নয়, তাই আগুনে তাদের কারো মৃত্যু হলে বা জিনিসপত্র নষ্ট হলেও ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন না।
সর্বশেষ, বুধবার রাত দেড়টার দিকে হাজারীবাগের মাহতাব পেট্রোল পাম্পের কাছে ওই বস্তিতে আগুন লাগে। তিনটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর বস্তির ধ্বংসস্তূপের মধ্যে পাওয়া যায় ৩জনের (দুইজন শিশু, একজন বৃদ্ধ) মৃতদেহ।
এসব গরিব মানুষদের দেখলেই ছি ছি করেন মধ্যবিত্ত ও ধনীরা — নোংরা ঘর, বেশ-ভূষা দেখে। কিন্তু এদের ছাড়া আবার শহরের কিছু দরকারি কাজ হয়না; যেমন রাস্তার ময়লা কাগজ-প্লাস্টিক কুড়িয়ে নেয়া টোকাই, গৃহকর্মী, মিস্ত্রী, দাড়োয়ান, ড্রাইভার।
এই বিষয়ে নানা আলোচনা-সেমিনার হয়েছে, কিন্তু কোন সরকারই শহরের বস্তিবাসীদের নিয়ে কোন দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেয়না। যদিও তারা দাবি করে যে গরিবের জন্যই তারা কাজ করে। আর ব্যবসায়িদের সভায় গিয়ে তারা বলে তারা ব্যবসা-বান্ধব সরকার!
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.