জামায়াত-শিবির কেন শান্তির ইসলাম মানে না?

এককথায় প্রশ্নটার উত্তর হলোঃ অন্যায়কারী কখনো ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে পারেনা।

জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করার দাবীতে গতরাতে একটা পোস্ট করেছিলাম আমার WORDPRESS ব্লগে। পোস্টের শিরোনাম ছিল “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, এখনই সুযোগ!” গোটা-বিশেক ছাগুর মন্তব্য পড়ে এখন জবাব দিচ্ছি। সহমতও জানিয়েছেন কয়েকজন। একদিনেই ১০,০০০ বারের বেশি দেখা হয়েছে ব্লগপোস্টটি!

এরা যেসব মন্তব্য করেছে সেগুলো কোন ঈমানদার মুসলমান বলতে পারে কিনা সেটা এখন একটা চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানসিক বিকৃতির কারনে বড়জোড় ভাবতে পারে, কিন্তু প্রকাশ্যে কিভাবে বলে!

মানে ছাগুদের হাগু একটু টাইট হয়ে গ্যাছে আর কি… সেই ৫তারিখ থেকে শাহবাগের গদাম খেতে খেতে, আবার রাজীবকে খুন করার পরিণতি সামলাতে গিয়ে জানোয়ারগুলোর “মাথাই নষ্ট” অবস্থা, ঘুম হারাম। আর তাই অনৈসলামিক চিন্তা ও কাজ করতেও দ্বিধা হচ্ছেনা। রবিবার নাকি এরা হরতাল করবে, আতংক ছড়াবে! ঐসব বিচার-ফিচার বন্ধ করতে হবে, শাহবাগ খালি করে দিতে হবে, ধর্মব্যবসায়ি-রাজাকারদের মুক্তি দিতে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি। মারপিট করে, ডর-ভয় দেখিয়ে তারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস-গনহত্যার ইতিহাস-ধর্ষনের ইতিহাসের দুয়ার বন্ধ করে রাখবে। এরা আমাদের আজন্ম শত্রু কারন এরা পাকিস্তান চেয়েছিল।

এদেরই একজন মো মহিদুল, যার ইমেইল আইডিঃ তিনি সোজা প্রশ্ন করলেন, “akta muslim country te ai nastik rajib ato din thakto kivabe?”

অনেক কথা মাথায় এসেছিল। এখনও আসছে। কিন্তু ধর্ম-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আমি বরাবরই সাবধান। তাই “অকাট্য যুক্তি ছাড়া আর কিছু না বলাই ভালো” নীতিতে চলি আমি। তার উপর আবার অন্য একটি ধর্মের কিছু ভন্ডদের নিয়ে!

তাই জবাবে লিখলামঃ “bhai mohedul, muslim country bole onyo sob dhormer (o nastikder) manushke ki desh chharte hobe? QURAN-e kothae bola achhe je bhinyo dhormer o moter manushder khun korte hobe ba desh-chhara korte hobe?”

কয়েকজনকে বলতে দেখলাম আল্লাহর বিচারের কথা বলছেন, আবার নাস্তিকদের নির্মূলের ডাকও দিচ্ছেন। তারা আল্লাহর বিচারের অপেক্ষা না করে, নাস্তিক/বকধার্মিক/বিধর্মীদের শান্তির ইসলামের পথে আনার চেষ্টা না করে কতল করার দিকে ঝুঁকছেন। ভুল করছেন, এসব মনোভাব প্রকাশ করতে নেই এই যুগে। ইসলাম ধর্মের অপব্যাখ্যা করে যারা নিজেদের ব্যক্তিগত সুবিধা হাসিলের চেষ্টা করছেন তাদের নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমা করবেন না।

বাংলাদেশী হিসেবে ১৯৭১-এর সত্য-মিথ্যা ও আর মুসলমান হবার কারনে ধর্মে শন্তি ও ন্যায়বিচারের গুরুত্বের কথা জেনেও এদের কয়েকশ ধর্ম(রাজনৈতিক)গুরুদের জীবন বাঁচানোর এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য অধর্ম করে চলেছে অবিরাম। কারন এরা মানুষ হতে পারেনি, জন্মগতভাবে বাংলাদেশী ও মুসলমান হয়েছে, এবং এরা মানুষ হতে চায় না।

“আশরাফুল মাখলুকাত”-আর হতে পারলো না এরা। এদের জ্ঞান হোক, সততা ও মানবিকতা জাগ্রত হোক এসব ঘৃন্যপশুমনে।

একদিকে “জেহাদে”র অপব্যাখ্যা করে, “(সন্ত্রাসের) ইসলামকে ধ্বংস করা হচ্ছে” বলে গলা ফাটিয়ে আর অন্যদিকে টাকার বিনিময়ে বিদেশী রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে এই পাগলা-কুত্তারা বাল-বাচ্চাসহকারে এখন রাস্তায় নেমেছে। ভাবছে তারা “গাঁটছাড়া দিয়ে” নেমেছে। সবাই হয়তো ভয়ে গর্তে ঢুকে যাবে! কেউ যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি-জামায়াতকে নিষিদ্ধের দাবিতে পথে নামবে না। পত্রিকা-টিভিতেও লেখা হবেনা কোন খারাপ কথা। তাহলে ফতোয়া আসবে “গজব নামবে! এর পরও না থামলে সৃষ্টিকর্তার অপেক্ষা না করে নিজেরাই “বিচার” করবে সব রাজাকার-বিদ্বেষীদের যারা নাস্তিক-বিধর্মী-অধার্মিক আর (সন্ত্রাসের) ইসলামের শত্রু! এসব গুরুত্বপূর্ণ সবকাজে সাথে বিএনপি তো আছেই!

এরপর প্রশাসনে-সমাজে থাকবে শুধু তারা, তারা এদেশে সত্যিকারের (!) ইসলাম প্রতিষ্ঠা করবে। যদিও ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থেকেও পারেনি। তারও আগে বন্ধবন্ধুর মৃত্যুর পর থেকে এদেশে রাজনীতি-ব্যবসা-সেনা ও অন্যান্য বাহিনী-ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়র-ধর্মগুরুর ডালপালা ছড়িয়ে দিয়েও পারেনি।

এদের কেউ কেউ আবার জীবনে কোনদিন বাংলা বইই পড়েনি। দর্শন-বিজ্ঞান-সমাজবিজ্ঞান-অর্থনীতি ইত্যাদি না পড়েই, আবার পড়লেও তা গভীরভাবে না করায় মর্মার্থ না বুঝেই, বিচার-বিশ্লেষন না করেই জীবনটা পার করে দিচ্ছে জানোয়ারের মত।

“আশরাফুল মাখলুকাত”-আর হতে পারলো না এরা। এদের জ্ঞান হোক, সততা ও মানবিকতা জাগ্রত হোক এসব ঘৃন্যপশুমনে।

জামায়াতের বুইড়া শয়তানদের পাশাপাশি ন্যাদা-প্যাদা শিবিরও “একগুঁয়ের” মত কিংবা অন্ধের মতো তাদের ধর্ম ও রাজনীতি শিক্ষকদের অনুসরন করে যাচ্ছে। এদের কাছে বেঁচে থাকা মানে পরিশ্রম ও জ্ঞানচর্চা করে জীবনটাকে নিজের মতো সাজিয়ে-গুছিয়ে নেয়া নয়; যেন শুধুই একটা ফরম্যাটে বেড়ে উঠা, অনুগত পোষা কুকুরটার মত সকাল-বিকাল ডানে-বামে যাওয়া — কোন কথা নয়, কোন প্রশ্ন নয়। এত্ত বড় সাহস! মুখে-মুখে কথা! আমি যা বলেছি তাই ঠিক, যেভাবে বুঝিয়েছি সেটাই সত্য, জীবনটা আমি তোদের আগে দেখেছি, যা বলছি তাই পড়, তাই শেখ, তাই পালন কর, এটাই করতে হবে তোকে।

ধর্মগুরু-সমাজপতি আর ঘরে গুরুজনের রক্তচক্ষুকে ভয় করেই হোক, মৌলিক কোন স্বার্থ, শারীরিক-মানসিক অক্ষমতার কারনে তৈরি হওয়া অনাগ্রহ থেকেই হোক বা হোক অন্য কোন দৈবিক বিষয়, কিছু মানুষ কখনোই এই চক্র থেকে “মুক্ত” হতে পারেনা। ফলে বয়স যতই বাড়ুক, এরা কখনো জ্ঞানী বা অন্তত সু-শিক্ষিত হতে পারেনা, মানুষ হতে পারেনা; একজন ভালো মুসলিম হবে কি করে?

“এদের জ্ঞান হোক, সততা ও মানবিকতা জাগ্রত হোক এসব ঘৃন্যপশুমনে।” তবে এত সুন্দর করে বললে তো আর এসব মাথামোটা পাগলা-কুত্তারা এমনি এমনি ভদ্র হবে না। মানুষ হবার টাইম-ওভার হয়ে গ্যাছে, অনেক সুযোগ ছিল, হাতছাড়া হয়েছে। এদেরকে এখন বাধ্য করতে হবে… মানবিকতাসম্পন্ন মানুষের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের কোন বিকল্প নেই। তবে জামায়াত-শিবির ভাইদের ভয় নেই, এসব মানুষ যতই শিবিরদের সকাল-বিকাল নাস্তার কথা বলুক, যতই ধরে ধরে জবাই করার কথা বলুক, এরা তা করতে পারবেনা, ৫জন মিলেও পারবেনা।

ইচ্ছে করে, কিন্তু আমি নিজেও পারবো না। এদের সঠিক পথে যদি কেউ আনতে পারে তো পারবে শুধু রাষ্ট্রের আইনশৃংখলা বাহিনী। এটা তাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।

এক্সট্রা ডোজঃ একাত্তরে দৈনিক সংগ্রামের খবরগুলো পড়লে আতঙ্ক নিয়ে আবিস্কার করবেন কিভাবে তারা বুদ্ধিজীবি হত্যাকান্ড ঘটাতে উস্কানি দিয়েছিলো। একইভাবে দৈনিক আমার দেশ তার জন্মলগ্ন থেকেই মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে আসছে। এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিডিআর বিদ্রোহে উস্কানি, সেনা বিদ্রোহের উস্কানি দিয়েছে তারা। এবার দিলো সাম্প্রদায়িক দাঙার উস্কানি। 

নৃশংসভাবে খুন হওয়া ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দারের (থাবা বাবা) নামে হত্যাকান্ডের দিনই একটা ব্লগ খোলা হয়েছিলো মারাত্মক উস্কানিমূলকভাবে ধর্মকে আক্রমণ করে। এই ব্লগটি খুনী চক্রের কাজ, কারণ থাবা’র টাইমলাইনে এমন কোনো ব্লগের অস্তিত্ব নেই। অথচ আমার দেশ সেই নকল ব্লগের পোস্টগুলো হুবহু কপি করে দেশে সাম্প্রদায়িক সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি করেছে। সরকারের উচিত হবে এই জঘন্য মিথ্যাচারের খবরটি বাজারে আসার আগেই সমস্ত কপি বাজেয়াপ্ত করা এবং তাদের অনলাইন ব্লক করা। অনেক হয়েছে পাকিস্তানের দালালী, যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে সাফাই গাওয়া, দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র। খন্দকার মোশতাকের আপন ভাগিনা জনাব মাহমুদুর রহমান, এইবার আপনি ক্ষান্ত হোন। নাইলে তরুণ প্রজন্ম পাছার ছাল রাখবে না।

নূরানি চাপা সাইট চালু হয় রাজীব হত্যাকাণ্ডের পর
কালের কণ্ঠ ডেস্ক

সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার ওরফে থাবা বাবাকে নিয়ে জামায়াত-শিবির সমর্থক একদল অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে। দৃশ্যত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে সক্রিয় এমন একটি ওয়েবসাইটকে থাবা বাবার সাইট বলে তারা তাঁকে নাস্তিক সাব্যস্ত করার চেষ্টা করছে। রাজীব ফেসবুকেও ধর্মবিরোধী কথা লিখেছেন প্রমাণ করার জন্য ভুয়া স্ট্যাটাস তৈরি করে সেগুলোর স্ক্রিনশট এখন ছড়ানো হচ্ছে ফেসবুকে। এমনকি আনাড়ির মতো রাজীবের ফেসবুক অ্যাকাউন্টের অ্যাডমিন এরিয়ার স্ক্রিনশটও একজন গতকাল রবিবার ফেসবুকে পোস্ট করেছে, যা শতভাগ ভুয়া।

অনুসন্ধান করে দেখা গেছে, সামাজিক নেটওয়ার্ক ফেসবুক, টুইটারসহ বিভিন্ন অনলাইন গণমাধ্যমে অতি উৎসাহে nuranichapa.wodpress.com সাইটটির লিংক শেয়ার করা হয়েছে। বিভিন্ন আইডি থেকে কালের কণ্ঠের ওয়েবসাইটের অনেক খবরের নিচেও এই লিংকটি স্পাম আকারে ছড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে। তবে ওয়েবসাইট বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান কোয়ান্টাকাস্টের দেওয়া তথ্যে দেখা যায়, নূরানি চাপা নামের সাইটটি প্রথম ভিজিট হয় গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রাজীব হত্যাকাণ্ডের দিন এবং লিংক ছড়িয়ে দেওয়ার ফলে ওই দিন মোট ভিজিটর সংখ্যা দাঁড়ায় ৫৭ হাজার ৭৮৩। ১৫ ফেব্রুয়ারির আগে সাইটটি কেউ ভিজিট করেছেন এমন কোনো তথ্য কোয়ান্টাকাস্ট পায়নি।

এ ধরনের অপপ্রচারের নিন্দা জানিয়ে পাল্টা পোস্টও দেওয়া হচ্ছে সামাজিক নেটওয়ার্ক সাইটগুলোতে। শাহবাগ আন্দোলনের একজন লেখেন, ‘মূলত খুনের দায়কে এড়াতে জামায়াত-শিবির মেতেছে অপপ্রচারে। ফেসবুক-ব্লগে থাবা বাবার নামে একাধিক অ্যাকাউন্ট খোলা হচ্ছে। এরপর থাবা বাবাকে নাস্তিক প্রমাণ করতে ইচ্ছেমতো যা-তা লেখা হচ্ছে।’ তিনি আরো লেখেন, ‘রাজীব খুন হওয়ার nuranichapa.wodpress.com নামে একটা পেজের আগমন ঘটে। এরপর ‘নূরানি চাপা সমগ্র’ নামে একগাদা লেখা পোস্ট করা হয়। যা থাবা বাবার লেখা বলে ওই সাইটে দেখানো হয়। কিন্তু থাবা বাবা খুন হওয়ার আগে এই সাইটে কোনো ভিজিটরকে সাইটটি প্রদর্শন করতে দেখা যায়নি।

‘নূরানি চাপা সমগ্র’ ভিজিটকারী এক ব্লগার জানান, ইন্টারনেটে নূরানি চাপার পেজটির source code ঘেঁটে দেখি www.quantcast.com-এর একটি লিংক দেওয়া আছে। সাইটটি বানানোর সময় কোয়ান্টাকাস্টের কোড ব্যবহার করা হয় কতজন ভিজিট করছে তা বোঝার জন্য। এতে দেখা যায়, ১৫ ফেব্রুয়ারির আগে সাইটটি কেউ ভিজিট করেনি। ট্রাফিক বিশ্লেষণ প্রতিষ্ঠান কোয়ান্টাকাস্টে নূরানি চাপার লিংকটি হচ্ছে : www.quantcast.com/nuranichapa.wordpress.com রাজীবই নূরানি চাপা ব্লগটি চালাতেন- এ কথা প্রমাণ করার জন্য গতকাল রাজীবের ফেসবুকের অ্যাডমিন এরিয়ার একটি স্ক্রিনশট একজন শেয়ার করেন। স্ক্রিনশটে দেখানো হয়, রাজীব ‘নূরানি চাপা’ নামের একটি পেজ পরিচালনা করে থাকেন। দীর্ঘদিন ধরে ফেসবুক ব্যবহার করছেন এমন কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পেজের মালিক ছাড়া আর কারোর পক্ষে অ্যাডমিন এরিয়ার স্ক্রিনশট দেওয়া সম্ভব নয়। তাঁদের মত হচ্ছে, কেউ হয় রাজীবের নামে ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলেছেন, অথবা তাঁর পাসওয়ার্ড হ্যাক করে বিভ্রান্তিকর তথ্য জুড়ে দিয়েছেন।

Comments

  1. AL Mamun Avatar

    Kew jodi islam grohon kore abar islam chere day, take hotta kore islamer jonno foroz eta ke lekhok janen.. ? ar eta islamic govt. er duty. so nastik ra ( who leave islam after become muslim not other person of another religion) onek agei mara jawa uchit chelo… kintu seta hocche na.. karon govt. nastik… zodio ei razib ke kara khun korechee ta nirdisto noy.. ar ei khuni ame support o kore na.. tobe proman chara sob dosh jamait- sibir er upor dilai ta accept hobe na.. bam der moddho khuni beshi.. Bishowjit murder.. sagor-runi mardar..er proman.. so kissu nischit na hoye bola ar mittha bola eki kotha.. apni jodi nijek mittha badi proman korte chann to emon ulta- palta likhun..

  2. soumen chowdhury Avatar
    soumen chowdhury

    done a great jod , dhonno bad

  3. probirbidhan Avatar

    ধরেন ইসলামের শেষ নবীকে কেউ আপনার সামনে গালি দিল। আপনার নিশ্চয়ই ইমানি রক্ত গরম হয়ে যাবে। জোশে বসিয়ে দিবেন দু এক ঘা। কারন এই দেশে আপনারা মুসলমানরা সংখ্যায় বেশী। তাই তাকে মারতে শরীরে বল পাবেন। নাস্তিক মুক্ত বাংলাদেশ চাই লিখে স্ট্যাটাস দিবেন আরেক নাস্তিক জুকারবার্গের ফেসবুকে।

    তাহলে দেখা যাক ইসলাম কি বলে। ইসলাম ধর্মে পবিত্র গ্রন্থ কুরান, যা হওয়া উচিত প্রতিটি মুসলমানের জীবন বিধান সেই গ্রন্থে কি লেখা আছে এ বিষয়ে।

    ইসলামে নবীকে গালি বা আল্লাহকে গালি দিলে কি করার কথা বলা আছে? এ প্রসঙ্গে দেখতে হবে যারা ইসলাম কে গালি দিয়ে, নবীকে নিয়ে জোক করে ইসলাম তাদের কীভাবে দেখেছে।

    ইসলামের সবচেয়ে বড় সুরা বাক্কারা। মানে গাভি। একবার ইজরায়েলে একটা হত্যাকান্ড হল। তখন নবী মুসার কাছে আল্লাহ বানী পাঠালেন একটা গরু কুরবানি করলেই বের হবে কে খুনী। মুসা বললেন ইজরায়েল বাসীকে।

    ইজরায়েলের লোকজন এ নিয়ে মজা করা শুরু করল। তখন নবী মুসা যা বলেন তা নিয়ে কুরানে আছে- “Remember when Moses said to his people, ‘God commands you to sacrifice a cow’, they said, ‘are you making fun of us?’ He answered, ‘God forbid that I should be so ignorant’” [2:67]

    এখানে লক্ষনীয় মুসা বলেছেন ‘God forbid that I should be so ignorant”। Ignorant-ignorance মানে সরাসরি মকারি বা ফান-ইনসাল্টিং কে মুর্খতা বলা হয়েছে।

    ইসলাম মতে যারা আল্লাহ এবং নবীকে নিয়ে ফান করে এরা মূর্খ।

    এই মুর্খদের প্রতি কীরকম আচরন করবে মুসললমান রা সে সম্পর্কে পবিত্র ধর্মগ্রন্থে আছেঃ “Be tolerant, command what’s right, pay no attention to foolish people” [7:199] – সহ্য কর, তাকে বল যা সত্য, বোকা লোকদের কথায় কান দিও না।

    “The Servants of the Lord of Mercy are those who walk humbly on Earth, and who, when the foolish address them, reply ‘Peace’” [25:63] – বলা হয়েছে পৃথিবীতে শান্তভাবে হাটতে। বোকা লোকদের সাথে দেখা হলে শান্তি বজায় রাখতে।

    “Call people to the way of your Lord with wisdom and good teaching, and argue with them in the most courteous way” [16:125]

    মহানবী নিজেই বলেছেনঃ “We have spared you those who ridicule you” [15:95]- অর্থাৎ আমরা যেন আল্লাহকে নিয়ে যারা ফান করে তাদের আল্লার হাতেই ছেড়ে দেই। সে আল্লার প্রতি অপরাধ করেছে। আল্লাহ এর বিচার করবেন।

    “Do not revile those they call on beside God, so they, in their hostility, revile God, without knowledge” [6:108] – এখানে যারা আল্লাহকে নিয়ে খারাপ কথা বলে তাদের উলটা খারাপ কথা বলতেও নিষেধ করা হয়েছে।

    এই কথা গুলো আছে পবিত্র কুরানে। আমি স্পষ্ট তুলে ধরলাম। কুরানের চেয়ে নিশ্চয়ই কেউ বেশী ধর্ম জানে না। কুরানে যা আছে তা মানুন যদি মুসলমান হয়ে থাকেন। আর মুনাফেক হয়ে ইসলাম কে খারাপ বানাতে চাইলে বোমাবাজি নাস্তিক হত্যা করে যান বা সাপোর্ট করে যান। অপরাধ সাপোর্ট করাও অপরাধের চেয়ে কম না। শেষ বিচারের দিন এর ফয়সালা আল্লাহ নিশ্চয়ই করবেন। নিশ্চয়ই তিনি সর্বজ্ঞ এবং সর্ব ব্যাপী।

    আরেকটা ব্যাপার কেউ কেউ বলছে নাস্তিক দেশের জন্য মরলে শহীদ হবে না। হিন্দু হবে না। বৌদ্ধ হবে না। খ্রিস্টান হবে না। কেবল মুসলমান রা মরলে শহীদ হবে। এদের বলি শহীদ নামে বাংলায় ও একটা শব্দ আছে। যদিও এটা বিদেশী ভাষা থেকে আগত। বাংলায় শহীদ মানে শুধু ধর্মের জন্য শহীদ না। ধর্মের জন্য যে শহীদের কথা আছে ইসলামে সেটা যারা ধর্মযুদ্ধে মরে তাদের জন্য। সুতরাং দেশের জন্য যে হিন্দুরা, বৌদ্ধরা,চাকমারা,মারমারা বা নাস্তিকরা মরেছেন তাদের বাংলা ভাষায় শহীদ বলতে কোন বাঁধা নেই।

    আর কেউ কেউ যুক্তি দিচ্ছে নাস্তিকের জানাযা তার বিশ্বাসের উপর আঘাত। কথাটা ভুল। নাস্তিক মনে করে মরার পরেই জীবন শেষ। তখন তাকে নিয়ে কি করা হল তাতে তার যায় আসে না। কিন্তু মুসলমান পরিবারে জন্মেছে বলে তার শেষ ক্রিয়া ইসলাম মতে হতেই পারে। এটা তার বিশ্বাসের উপর আঘাত হবে তখনি যদি সে বেঁচে থাকতে বলে যায় তার যেন জানাযা না দেয়া হয়। আর সবার ই পরিবার আছে। একজন নাস্তিক মরলে তার মায়ের চোখ থেকে যে জল বেরোয় তা একজন আস্তিকের মৃত্যুতে তার মায়ের চোখের অশ্রুর চেয়ে আলাদা কিছু না।

    ধর্মকে ব্যবহার করে উগ্রতা পরিহার করে শান্তির ধর্ম শান্তি তে পালন করা উচিত সবার। যে বুঝে না তাকে যুক্তি দিয়ে বুঝান। চরম পন্থা ধার্মিকদের জন্য না, ইসলামের নাম ভাঙিয়ে চলা সন্ত্রাসীদের জন্য। যারা ধর্মকে ব্যবহার করে উগ্রতা ছড়াতে চায় তাদের দেখে মাথা ঠান্ডা রাখুন।উস্কানিমুলক কথাবার্তায় রেগে গিয়ে ভুল কিছু করে বসবেন না। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধাঁনোর জন্য বা রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য অনেকেই ধর্মকে ব্যবহার করে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে চায়। এদের সম্পর্কে সতর্ক থাকুন। কুরআন এবং হাদিস ইসলামের মূল। এগুলো পড়ুন।

    (copied by Mahi Khan)

  4. probirbidhan Avatar

    যুদ্ধাপরাধী আল বদর রাজাকারদের কথা ভাবলেই দাড়িসহ টুপি পরা মানুষের চিত্র আসে। এটা ঠিক যে, এই অপরাধীদের অনেকেরই এটাই বাহ্যিক চেহারা। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে যে, টুপি পরা দাড়িসহ এদেশের অসংখ্য মানুষ, তাঁরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আন্দোলনে শরীক আছেন। আধুনিক পোশাকের অপরাধীদের কথাও মনে রাখতে হবে। কামরুল হাসান ইয়াহিয়া খানকে নিয়ে স্মরণীয় কার্টুন করেছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সময়। সাকা চৌধুরীর দাড়ি টুপি নাই। মূল যুদ্ধাপরাধী পাকিস্তানি জেনারেল ও অফিসাররা সবাই পশ্চিমা পোশাকের মানুষ, ধর্মচর্চার সাথেও তাদের বেশিরভাগেরই কোনো সম্পর্ক ছিলো না। এই পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের সহযোগীরা ইসলাম ও আল্লাহ রসুলের দোহাই দিয়েই এদেশের লক্ষ লক্ষ মানুষকে খুন ধর্ষণসহ ভয়ংকর অপরাধ করেছে। আবার অন্যদিকে অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা পাওয়া যাবে যারা আল্লাহর নাম নিয়েই যুদ্ধ করেছেন। আল্লাহ ও ধর্মের অর্থ তাই দুজনের কাছে ভিন্ন। একজনের কাছে নিপীড়নের অবলম্বন, আরেকজনের কাছে নিপীড়িতের আশ্রয়। (Anu Muhammad)

  5. probirbidhan Avatar

    আমরা এই দেশের গাঞ্জাখোর, মদখোর, ইয়াবাখোর, পকেটমার, ভিখারী, দূর্নীতিবাজ, পতিতা, নাস্তিক, হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃস্টান, আদিবাসী ও ইসলামের কুলাঙ্গাররা (জামাত শিবির যা বলে) খুনি কসাই কাদের মোল্লার ফাঁসি চাই, নাস্তিক রাজীব হত্যার বিচার চাই। জামাত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ চাই। এখনো কেউ বিভ্রান্ত ??? (Nurullah Mohammad)

  6. probirbidhan Avatar

    জামায়াতের নেতাদের বন্দনাসঙ্গীত শুনতে ক্লিক করুনঃ https://soundcloud.com/mohiner-saguguli

  7. probirbidhan Avatar

    ১৯৭১ সালে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীকে সাহায্য করতে রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস বাহিনী গঠন করে গনহত্যার সাথে সংযুক্ত থাকার কথা স্বীকার করে নিজেদের ইংরেজী সাইটে ১৬ই ডিসেম্বর একটি বিবৃতি দেয় জামায়াতে ইসলামী।

    আজ রাগীব হাসান তা দেখে স্ক্রীনশট রাখেন এবং টুইটারে তা ছড়িয়ে পড়ে মুহূর্তেই। https://twitter.com/ragibhasan/status/304415999254470657/photo/1

    কিন্তু রাত সাড়ে ৯টায় জামায়াতের ইংরেজী সাইটে গিয়ে দেখা গেলো বিবৃতিটি সিরিয়ে নেয়া হয়েছে!!! http://jamaat-e-islami.org/en/details.php?artid=MTQzMw==

    http://probirbidhan.wordpress.com/2013/02/21/bangladesh-jamaats-admitting-genocide-and-later-removal-of-statement-from-site/

  8. probirbidhan Avatar

    গ্রেপ্তারকৃত ৫ ছাত্র স্বীকার করেছে তারা এক বড় ভাইয়ের প্ররোচনায় খুন করেছে ব্লগার রাজীব হায়দারকে। এরা ৯তারিখে শাহবাগ যায় সনাক্ত করতে। প্রথম দিনে পারেনি, কিন্তু পরে সনাক্ত করে এবং ফলো করে বাসা চিনে নেয়। নিজেরা দুইটি গ্রুপ করে–গোয়েন্দা ও খুনী গ্রুপ।

    একদিন রুপসী বাংলা হোটেল থেকে বাসে উঠে রাজীবের পেছনে যায় এক খুনী। বাসা চিনে নেয়।

    শব্দ যেন না হয় তাই তারা দুটি চাপাতি ও একটি ছুড়ি কেনে। ব্যাগে নিয়ে ঘুরতো এগুলো।

    ১৫তারিখে তারা নিশ্চিত হয় রাজীব শাহবাগ যাবেনা। রাজীব ঘুরতে গিয়েছিল, তাকে ফলো করছিল।

    প্রথম চাপাতি দিয়ে কোপ দেয় দ্বীপ, গলার ডানপাশে লাগে, আরো কয়েকটি কোপ দেয়ার পর রাজীব পড়ে যায়। তার মনে হয়েছিল সে একজন দক্ষ কাঠুরিয়া।

    আরেকজন অনিক ছুড়ি দিয়ে আঘাত করে, কিন্তু এলোপাথাড়ি ছুড়িকাঘাত করার কারনে তার জুতা কেটে পায়ে আঘাত লাগে।

    পথচারী কেউ দেখে বলেছিল “খুন”, পালাতে গিয়ে দ্বীপের হাতের চাপাতিটি পড়ে যায়।

    তারা ভেবেছিল ধরা পড়বেনা।

    মোটিভ সম্পর্কে পুরোপুরি নিশ্চিত নই। আরো দুই-তিনজন আছে, এদের মধ্যে একজন শিবিরের কর্মী, যার পরিকল্পনাতেই সব ঘটেছে।

    ৫জনের মধ্যে ৩জন জানায় যেহেতু বড়ভাই বলেছে হত্যা করাটা তাদের কাছে দায়িত্ব মনে করেছে। এদেরকে রিমান্ডে নিয়ে আরো তথ্য জানা যাবে।

    প্রশ্নোত্তরঃ
    চুলগুলো রাজীবেরও হতে পারে মাথায় কোপ লাগার কারনে।

    কিছু আলামত ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া গিয়েছিল — চাপাতি। বাকি একটি চাপাতি ও ছুড়ি কাছেই একজনের বাড়ি থেকে পাওয়া গিয়েছিল।

    ওরা নূরানী চাপা নিয়ে বিশেষ জানতো না।

    এক-দেড় মাস আগে থেকে পরিকল্পনা চলছিল।

    পরিকল্পনাকারী ছাত্র শিবিরের সাথে জড়িত ছিল।

    এই ৫জনের ফেসবুক প্রোফাইল পর্যালোচনা চলছে।

    বিশ্বস্ত গুপ্তচরের তথ্যের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশ কাজ শুরু করেছিল।

    আমরা সব যাচাই-বাছাই করবো।

    হত্যাকান্ডের আগে একদিন ক্রিকেট খেলে ইচ্ছা করে রাজীবের বাসায় ফেলেছিল।

    (ডিবি কার্যালয় থেকে সরাসরি দেখালো সময় টিভি)

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

en_USEnglish
Powered by TranslatePress