
গত চৌদ্দদিনে অনেক শ্লোগান শোনা যাচ্ছে শাহবাগের গনজাগরন মঞ্চে–যা আসলে রাজনৈতিক দলের জনসভার উঁচু মঞ্চের মতো নয়। শাহবাগের মোড়ে রাস্তার উপর বসে-দাঁড়িয়ে অবরোধ। গোল হয়ে বসে-একাত্ম হয়ে আন্দোলন চলছে মোড় থেকে চারুকলা আর আজিজ সুপার মার্কেট পর্যন্ত; রাস্তায় প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এসে মিলিত হচ্ছে প্রানের উৎসবে।
শ্লোগানে-মিছিলে-গানে সবার একটাই দাবি ১৯৭১ সালে যুদ্ধাপরাধের জন্য, মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারন মানুষদের হত্যা, লাখ-লাখ নারীকে ধর্ষন-খুন-নির্যাতন, লুটতরাজ আর অগ্নিসংযোগে যেসব বাংলাদেশীরা অংশ নিয়েছিল পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে সাহায্য করতে সেইসব মীরজাফরদের ফাঁসি দিতে হবে। এসব অপরাধের পেছনে সরাসরি জড়িত ছিল গোলাম আযমের প্রত্যক্ষ মদদে ও চেষ্টায় জামায়াত-মুসলিম লীগ-নেজামে ইসলামের মাধ্যমে গড়ে উঠে শান্তি কমিটি, নিজের হাতে তৈরি করে রাজাকার, আল-বদর ও আল-শামস। এসবের পেছনে পরামর্শক ও সংগঠক হিসেবে যারা কাজ করেছে তাদের মধ্যে যারা অন্যতম যারা তাদেরই বিচার চলছে এখন। এরা সবাই পাকিস্তানপন্থী জামায়াতের নেতা। ট্রাইব্যুনালের আইন সংশোধিত হওয়ায় এখন যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে কোন সংগঠনের বিচারও করা যাবে।
শাহবাগের সাথে দেশে-বিদেশে আন্দোলনরত বাংলাদেশীরা তাকিয়ে আছে সরকারের দিকে, ন্যায়বিচারের আশায়। যদিও জামায়াত-বিএনপি ও তাদের বন্ধুরা এইসব পাপীদের মুক্তির দাবী তোলে, ট্রাইব্যুনালের নিরপেক্ষতা ও গ্রহনযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে, আর পাশাপাশি মৃত্যুদন্ডের বিরুদ্ধে কথা বলে। কেননা যাবজ্জীবন দিলে তো সরকার বদলের সাথে সাথেই এদেরকে জেলগেট থেকে ফুলের মালা দিয়ে বরন করা হবে!
১৯৭১-এ খুন-ধর্ষনের শাস্তি যাবজ্জীবন হতে পারেনা। তাই…
ফাঁসি চাই ফাঁসি চাই, রাজাকারের ফাঁসি চাই।
আর কোন দাবি নাই, রাজাকারের ফাঁসি চাই।
ফাঁসি চাই ফাঁসি চাই, আর কোন বিচার নাই।
একটাই দাবি, ফাঁসি ফাঁসি।
জ্বালো জ্বালো, আগুন জ্বালো।
জয় বাংলা, জয় বাংলা।
জয় বাংলা, জয় শাহবাগ।
জয় বাংলা, জয় প্রজন্ম।
আপোষের এই রায়, মানি না মানবো না।
যে পোষে রাজাকার, তার গালে জুতা মার।
কাদের মোল্লা রাজাকার, এই মুহুর্তে বাংলা ছাড়।
পাকিস্তানের প্রেতাত্মা, পাকিস্তানে ফিরে যা।
জামাতে-ইসলাম, মেইড ইন পাকিস্তান।
জামাতে-ইসলাম, তুই রাজাকার তুই রাজাকার।
রাজাকারের কবর হবে, পাকিস্তানের মাটিতে।
মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, রাজাকারের ঠাঁই নাই।
জাহানারা ইমামের বাংলায়, রাজাকারের ঠাঁই নাই।
’৫২-এর বাংলায়, রাজাকারের ঠাঁই নাই।
’৭১-এর বাংলায়, রাজাকারের ঠাঁই নাই।
প্রীতিলতার বাংলায়, রাজাকারের ঠাঁই নাই।
মুক্তিযুদ্ধের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার।
তোমার আমার ঠিকানা, পদ্মা-মেঘনা-যমুনা।
তোমার আমার ঠিকানা, শাহবাগের মোহনা।
দিয়েছি তো রক্ত, আরো দেবো রক্ত।
রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়।
বুকের ভিতর জ্বলছে আগুন, সারা বাংলায় ছড়িয়ে দাও।
একশন একশন, ডাইরেক্ট একশন।
জামাত-শিবিরের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট একশন।
বীর-বাঙ্গালী অস্ত্র ধরো, জামাত-শিবির ধোলাই করো।
বাঁশের লাঠি তৈরি করো, জামাত-শিবির ধোলাই করো।
জামাত-শিবিরের গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে।
জামাত-শিবিরের আস্তানা, ভেঙ্গে দাও গুড়িয়ে দাও।
একটা একটা শিবির ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর।
একটা একটা শিবির ধর, সকাল-বিকাল নাস্তা কর।
যেখানেই রাজাকার, সেখানেই প্রতিরোধ।
যেখানেই জামাত-শিবির, সেখানেই প্রতিরোধ।
রাজাকারের চামড়া, তুলে নেবো আমরা।
লড়াই লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই।
মওদুদের দুই গালে, জুতা মারো তালে তালে।
পিয়াস করিম রাজাকার, এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়।
বাক-বাকুম পায়রা, কুত্তা দিয়া কামড়া।
জামাত-শিবিরের চামড়া, কুত্তা দিয়া কামড়া।
ক-তে কসাই কাদের, তুই রাজাকার তুই রাজাকার।
ক-তে কামারুজ্জামান, তুই রাজাকার তুই রাজাকার।
গ-তে গোলাম আযম, তুই রাজাকার তুই রাজাকার।
জ-তে জামাত, তুই রাজাকার তুই রাজাকার।
জ-তে জানোয়ার, তুই রাজাকার তুই রাজাকার।
জ-তে জালেম, তুই রাজাকার তুই রাজাকার।
শ-তে শিবির, তুই রাজাকার তুই রাজাকার।
স-তে সাকা, তুই রাজাকার তুই রাজাকার।
স-তে সাঈদী, তুই রাজাকার তুই রাজাকার।
ন-তে নিজামী, তুই রাজাকার তুই রাজাকার।
ম-তে মুজাহিদ, তুই রাজাকার তুই রাজাকার।
ম-তে মইনুদ্দীন, তুই রাজাকার তুই রাজাকার।
ই-তে ইসলামী ব্যাংক, তুই রাজাকার তুই রাজাকার।
ই-তে ইবনে সিনা, তুই রাজাকার তুই রাজাকার।
দ-তে দিগন্ত, তুই রাজাকার তুই রাজাকার।
আ-তে আমার দেশ, তুই রাজাকার তুই রাজাকার।
র-তে রেটিনা, তুই রাজাকার তুই রাজাকার।
ফ-তে ফোকাস, তুই রাজাকার তুই রাজাকার।
জ-তে জঙ্গীবাদ, তুই রাজাকার তুই রাজাকার।
তুই রাজাকার, তুই রাজাকার।
চলবে…
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.