বৃহষ্পতিবারের হাঙ্গামার পর জামায়াত-শিবিরের ফেসবুক ফাইটাররা আবার গা-ঝাড়া দিয়ে উঠতে চাইছে। নতুন নতুন প্ল্যান করছে কিভাবে আতংক সৃষ্টি করে চলমান যুদ্ধাপরাধের বিচার থামানো যায়। বাঁশেরকেল্লাসহ কয়েকটা ফেসবুক পেজ আর ব্লগ বন্ধ করলেও আবার গজাচ্ছে এরা — পুরাতন ও নতুন নাম নিয়ে। ভুয়া নামে নতুন নতুন একাউন্ট খোলা হচ্ছে স্যাবোটাজ করার জন্য, আবার শাহবাগ নাম দিয়ে ফেকপেজ বানাচ্ছে এরা। সাধারন মুসলমানদের কিভাবে একসাথে করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করে, কাকে মেরে ফেলতে হবে, কাকে কি শাস্তি দেয়া যায় ইত্যাদি নিয়েও চলে উত্তপ্ত আলোচনা-পরামর্শ।
বাঁশেরকেল্লা ফলো করছি কিছুদিন হলো। শাহবাগসমর্থক-যুদ্ধাপরাধীদের বিচার-পুলিশ এইগুলাই মোটামুটি ওদের চিন্তার বিষয়। এদের বিরুদ্ধে মাথামোটা কর্মীদের ক্ষেপিয়ে তুলতে এরা উজ্জীবনী স্ট্যাটাস দেয়, তবে ওই পেজে সবচেয়ে বেশী পপুলার হয় ক্যাপশনসহ ফটোশপ করা ছবিগুলা। ক’দিন আগে (রাজীবের মৃত্যুর পর) একটা ছবি দেখেছিলাম শাহবাগ ও অনলাইনে সক্রিয় কয়েকজনের, তারা নাস্তিক-মুরতাদদের ফাঁসির দাবি করেছিল। যাকগে, তারা এখনো সফল হতে পারেনি, কোন ক্ষতি করতে পারেনি আন্দোলনকর্মীদের।
আজকে দেখলাম ট্রাইব্যুনালের বিচারকের ছবিতে ক্যাপশন করে ছেড়েছেঃ চিনে নিন! চিনে নিন! চিনে নিন! আর নীচে মাথামোটা ছাগলগুলা কমেন্ট করছে একবার সামনে পেলেই খেয়ে ফেলবে টাইপের। দেখা যাক, ওদের কলিজা কত বড়।
এদের মোকাবেলা করতে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি, জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ ও সন্ত্রাসের জন্য বিচারের দাবিতে শাহবাগ ও দেশ-বিদেশে সরব বাংলাদেশীরা তাদের ফেসবুক একাউন্টে, গ্রুপ বা পেজে উগ্রপন্থী এইসব শিবিরদের বিরুদ্ধে অনবরত লড়ে যাচ্ছেন। এসব শিবির পেজ ও সাইটের পোস্টে জাগরন মঞ্চের আন্দোলনকারীরা মন্তব্য করছেন – কেউ যুক্তি-তথ্য দিয়ে বুঝাচ্ছেন আর কেউ বা অকথ্য ভাষায় গালাগালি করছেন জানোয়ারগুলোকে। (আমি জামায়াত-শিবিরের ও তাদের সমর্থকদের মানুষের কাতারে ফেলতে পারিনা বলে দুঃখিত)
জবাব দেবার পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিরা কদিন আগে জামায়াতে ইসলাম, শিবির ও জামায়েতের সমর্থকদের সাইট ৩টি হ্যাক করে।
বাঁশেরকেল্লা ছাড়াও আরো কয়েকটি শিবির পেজ যেখান থেকে উস্কানী দেয়া হচ্ছেঃ
টুইটারে সরব বাংলাদেশিদের সংখ্যা খুব বেশী না হলেও এদের মধ্যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও শাহবাগের পক্ষের মানুষের সংখ্যাই বেশী। ফলে জামায়াত-শিবির সেখানে খুব বেশী সুবিধা করতে পারেনি। অন্তত ১৯শে ফেব্রুয়ারি থেকে চলা আল-জাজিরার লাইভস্ট্রীম দেখে তাই মনে হচ্ছে। আজ দেখলাম বাঁশেরকেল্লায় ঘোষনা এসেছে টুইটার শিক্ষা নিয়ে, কিভাবে একাউন্ট করতে হবে আর কিভাবে #Shahbag আর #Bangladesh ব্যবহার করে টুইটার পোস্ট দিতে হবে।
এই ফেসবুক-টুইটারের যুগে সরকারের উচ্চপর্যায়ে হাতেগোনা কয়েকটা লোকও পাওয়া যাবেনা যারা এইসব সাইবার ব্যাপার-স্যাপার বুঝেন। আর তাই দেখা যাচ্ছে wordpress-এ থাবা বাবা আইডি’র ব্লগ সাইটটি যে রাজীবের নয় এবং এটি যে রাজীবের খুন হবার পর চালু করা হয়েছে সেটা কয়েকজন ফেসবুকার, কয়েকটি পত্রিকা ইতিমধ্যেই প্রকাশ করে ফেললেও সরকার এ বিষয়ে কোন প্রেসনোট দিচ্ছেনা। এটা হলে ইন্টারনেটবঞ্চিত জনসাধারনের মধ্যে বিষয়টা স্পষ্ট হতো। আর দুই-একজন “নাস্তিক” কি লিখলো কি বললো তা দিয়ে পুরো শাহবাগ এবং দেশে-বিদেশে এর সাথে একাত্মতা প্রকাশকারীদের মুরতাদ ঘোষনা করে জামায়াত-শিবির-আমারদেশ-ইনকিলাবের প্রোপাগান্ডায় যেখানে কয়েকটি ইসলামী দল মিলে গত শুক্রবারে ও তারপর থেকে যা করছে সেসব এড়ানো না গেলেও হয়তো ভয়াবহতা কমানো যেত। আইসিটি বিষয়ে সরকারের এই দূর্বলতা কোনভাবেই কাম্য নয় এবং দ্রুত সমাধানের দাবি করি আমি।
জামায়াত-শিবির আর বিএনপিপন্থীরা আন্তর্জাতিক মাধ্যমে আসা খবরগুলোতে অনেকটাই সক্রিয়। এই জায়গাটায় আমাদের পক্ষে অংশগ্রহন একটু কম মনে হয়। এদিকে আমাদের আরেকটু মনযোগ দেয়া উচিত। তাছাড়া দেশীয় ইংরেজী পত্রিকার লিঙ্ক ব্যবহার করে ইংরেজীতে ব্লগ লেখাটাও খুব দরকারি।
এসব প্রতিবেদনে কোন অসঙ্গতি থাকলে সরকারের উচিত হবে দ্রুততার সাথে প্রতিবাদলিপি পাঠানো এবং যৌক্তিকভাবে তা খন্ডন করে সকল প্রোপাগান্ড মোকাবেলা করতে হবে; প্রয়োজনে মামলা করতে হবে। আর কোন দোষ-ত্রুটি থাকলে বিনয়ের সাথে তা স্বীকার করে ফেলাই মঙ্গল। পাশাপাশি সরকারের উচিত দক্ষ ব্যক্তিদের দিয়ে বিদেশী লবিস্টদের অপচেষ্টা নস্যাৎ করে দেয়া।
শুনেছি র্যাব ও অন্যান্য গোয়েন্দাদের নজরদারি আছে এগুলোর উপর, BTRC আছে। কিন্তু চালু থাকা শিবির ও বিএনপিসমর্থক পেজ-ব্লগগুলি যারা চালায় আর যারা লাইক বা কমেন্ট করছে সেই আইডিগুলো চিহ্নিত করে এদের হাতেনাতে ধরা হচ্ছে বলে জানা নেই। শুধুমাত্র রাস্তায় ভাংচুরের পর যেই ক’টাকে ধরা হয় সেখানেই শেষ। পুলিশ ভাই, আপনারা দ্রুত সন্ত্রাসের উস্কানীদাতা জামায়াত-শিবিরের সকল শীর্ষনেতা ও মাহমুদুর রহমানকে ধরুন। BTRC কিন্তু কাজের কাজ করছেনা, করলেও খুব ধীরলয়ে। তাদের যে জনবল সংকট আছে সেটা নির্দ্বিধায় বলে ফেলা যায়। এরকম দরকারি কাজে সরকারের খামখেয়ালীপনা এদেশে একটা রীতিতে পরিণত হয়ে গেছে।
বাজারে এমন কথাও চালু আছে যে এই দলটি খুব সুশৃংখল, এদের মাথায় অনেক বুদ্ধি, এদের মধ্যে অনেক শিক্ষিত কর্মী আছে ইত্যাদি ইত্যাদি। খুন-রগকাটা-কোপানো ছাড়াও এরা যেভাবে চিৎকার করে নারায়ে তাকবীর শ্লোগান দিয়ে আক্রমন করে সেটাও জনমনে চরম ভীতি তৈরি করে। কিন্তু এবার আর এসব জানোয়ারদের হুংকারে ভীত নয় শাহবাগ, ভীত নয় জনতা; আন্দোলের অগ্রভাগে থাকা নতুন প্রজন্মের সাহসী সেনানীরা এদের রুখে দিচ্ছে জনগনের মাঝে জাগরন সৃষ্টি করে। জনগন ভীত নয় কেননা তারা জোটবদ্ধ এবং তাদের সাথে আছে রাষ্ট্রের সংবিধান।
এদের সাম্প্রতিক সহিংস কর্মকান্ডে মনে হয় এদের সাংগঠনিক অবস্থা আসলে ভালো নয় এবং এদের মাথায় আগুন লেগে গেছে। আর তাই ইসলাম ভুলে খোদার ভয় তুচ্ছ করে অমানবিক ও অনৈতিক পথ বেছে নিয়েছে। আর তাই পিস্তল-বোমা-ককটেল-পেট্রোল বোমা ব্যবহার করতে এদের হাত কাঁপছে না, এরা ভাঙছে মসজিদ, আগুন দিচ্ছে জায়নামাজে, ভাঙছে শহীদ মিনার, পুড়িয়ে দিচ্ছে বাংলাদেশের পতাকা আর মিছিল করছে পাকিস্তানের পতাকা নিয়ে।
এই সময়ে আমাদের উচিত হবে যার যার এলাকায় এদেরকে চিহ্নিত করে বন্ধুবান্ধব-গুরুজন ও পুলিশকে জানানো যেন কোন নাশকতার আগেই তা থামানো যায়।
জনতাই সরকারকে বাধ্য করবে যেন দ্রুত জামায়াত-শিবিরকে রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ করা হয় আর আইনশৃংখলা বাহিনী যেন সাম্প্রতিক সহিংসতায় জড়িত জানোয়ারদের কঠোরভাবে গ্রেপ্তার করে শাস্তির বিধান করা হয়। বিচারকাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করতে ট্রাইব্যুনালকে আরো কার্যকর ও দক্ষ করে জামায়াতের নেতৃস্থানীয় যুদ্ধাপরাধীসহ সকল চিহ্নিত রাজাকারদের মৃত্যুদন্ড নিশ্চিত করতে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে এই সরকারকেই। কেননা যুদ্ধাপরাধের মামলায় আদালতে সরকারই ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষে লড়ছে এবং এই বিচার করবে কথা দিয়েছিল বলেই জনগন আওয়ামীলীগকে ক্ষমতায় এনেছিল।
সাঈদীর বিচারকালে অভিযোগ দেয়া হয়েছিল ৩১টি, গৃহিত হয়েছিল ২০টি, আর শেষপর্যন্ত বিচারকাজ চলেছে ১৯টির। বৃহষ্পতিবারের সংক্ষিপ্ত রায়ে বিচারক সাঈদীকে ৮টি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছেন এবং দুটিতে তাকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন। কিন্তু বাকি ছয়টি অভিযোগ প্রমান হলেও প্রয়োজন নেই মর্মে কোন শাস্তি দেয়া হয়নি। এ নিয়ে বিস্তারিত লিখবো পড়াশুনা করে পরে।
[এটা খুবই আশ্চর্যের যে, রাস্তায় হামলা কিভাবে সামাল দেয়া হবে তার বাস্তবসম্মত ধারনা ছিলনা সরকারের। যতদূর শুনেছি জামায়াত-শিবিরের সহিংস হয়ে উঠার বিষয়েও কোন আগাম তথ্য ছিলনা সরকারের কাছে, এমনকি ধারনাও ছিলনা। আর তাই গত কয়েকমাস ধরে আইনশৃংখলাবাহিনীর নানা শাখায় তৎপরতা বেড়ে গেছে। তারা এখন তথ্য সংগ্রহ করছে এবং তারপর সেগুলো নিয়ে পর্যালোচনা শেষে চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেবেন সরকারপ্রধান!!!]
বাঁশেরকেল্লার কয়েকটি পোস্ট পাঠকদের জন্য পেস্ট করলামঃ
অভিনন্দন বেগম খালেদা জিয়াকে, যিনি বিমানবন্দরে নেতা-কর্মীদের পক্ষ থেকে দেয়া ফুল গ্রহন করেননি….
Like · · Share · 13 · 5 minutes ago ·
বাঁশেরকেল্লা – Basherkella · 78,008 like this
- টুইটারে(twitter.com) আমাদের কমপক্ষে দশ হাজার ভাইকে রেজিষ্ট্রেশন করার আহবান জানাচ্ছি। আপনারা নিশ্চিৎভাবে জেনে রাখুন, টুইটার বর্তমান সময়ে সবচেয়ে শক্তিশালী স্বাধীন মাধ্যম বিশেষ করে যারা বিপ্লবকে মন-মননে সবসময় ধারন করে চলেন। এর সবচেয়ে সাম্প্রতিক উদাহরন মিশরের ইখওয়ানুল মুসলিমিনেরর ঐতিহাসিক বিপ্লবী বিজয়ে টুইটারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। আজই এখন ই টুইটারে সাইন-আপ করুন।টুইটারে মোবাইল থেকে সবচেয়ে সহজে যেকোন জায়গা থেকে যেকোন মুহুর্তে খুবই কম নেট খরচে স্টাটাস আপডেট দিতে পারবেন। কারন এখানে স্টাটাস লেখার সর্বোচ্চ লিমিট ১৪০ অক্ষর। যেমন (#Shahbag pro-govt gathering,like a Chicken Farm;Govt feeding Biriyani,giving electricity,free wi-fi,Police shelter & cash Money.#Bangladesh) এই টুইটাটাতে ১৪০ টা ক্যারেক্টার আছে। এরচেয়ে বড় একবারে লেখা যায় না। টুইটার চায় সংক্ষেপে মানুষ যেন মূল বার্তাটা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে পারে।টুইটারে সাইনআপ করার পরে :১. সমমনা ও আমাদের ভাইদের Follow করুন। প্রত্যেকে প্রত্যেককে। এভাবে যদি মাত্র ১০০ জনের একটা নেটওয়ার্ক-ও গড়ে ওঠে, জেনে রাখুন তা ফেসবুকের ১০,০০০ ফ্যানের পেজের চেয়ে কার্যকর ও শক্তিশালী।
২. যেকোন টুইট ইংরেজীতে লিখুন। কারন আমরা ফেসবুক আমাদের নিজস্ব বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে চালাই কিন্তু টুইট করবো বিশ্বমিডিয়া ও বিশ্ববাসীকে আমাদের অবস্থা জানাবার জন্য। প্রথমে ইংরেজীতে অভ্যস্থ হতে কিছুটা কষ্ট হবে, ধীরে ধীরে শিখে যাবেন স্মার্টলি ইংরেজীতে মাত্র ১৪০ লেটারের মধ্যে কিভাবে সুন্দর করে একটা খবর ছড়িয়ে দেয়া যায়!
৩. পৃথিবীর প্রত্যেকটি নিউজ সাইট, বিখ্যাত ও প্রভাবশালী ব্যক্তি ও সংগঠনের টুইটার একাউন্ট আছে। তারা নিয়মিত সার্বক্ষণিক লক্ষ্য রাখে সেখানে। তাদেরকে আপনার বার্তাটা পৌছে দেয়া খুব ই সহজ। তাদের নামের আগে @ সাইনটা যোগ করে কিছু বললেই তারা সেটা পেয়ে যাবে। যেমন, @BBC, @AlJazeera, @Ikhwanweb, Bangladesh government ordered cops to gun-shot on opposition party protesters! @AnwarIbrahim
৪. আপনি যে টুইটটা করছেন সেখানে যে শব্দগুলো আছে তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ শব্দগুলোর আগে হ্যাশ (#) সাইন যোগ করুন। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ন। হ্যাশ সাইন দিলে ওই শব্দটা ওই সংক্রান্ত সমস্ত টুইটের সাথে একটা লিঙ্ক করে দেবে। যেমন এভাবে লিখুন : #Shahbag is a atheist driven gathering who demands to ban islami institutions in #Bangladesh. এখন পৃথিবীর অনেক মানুষ ই হয়তো Shahbag বা Bangladesh এ কি হচ্ছে তা জানতে চাইবে। তারা ওগুলো জানতে গিয়ে যে সার্চ দেবে আপ্নার টুইটাটাও সেখানে থাকবে, তারা দেখতে পাবে।
৫. টুইটারে আপনি ফেসবুকে আপলোড করা যেকোন ছবি বা ভিডিওর লিঙ্ক পোষ্ট করতে পারেন, কিংবা সরাসরি টুইটারে ছবি আপ করা যায় অথবা twitpic.com নামের ওয়েবে টুইটার আইডির মাধ্যমেই লগিন করে ছবি+ভিডিও আপ করা যায় যা অটোমেটিকাল্লি শিরোনামসহ টুইটারে পোষ্ট হয়ে যাবে। টুইটারে লিঙ্ক পোষ্ট করলে তা নিজে থেকেই ছোট করে নেবে। তাই লিঙ্কে ওয়ার্ড সংখ্যা ১৪০ ছাড়িয়ে গেলেও টেনশন করার কিছু নেই। এসংক্রান্ত টেকি খুটিনাটি নিজেরাই শিখে ফেলবেন ২-৩ দিনের মধ্যে। কারন টুইটার খুবই সহজ একটা সাইট।
৫. এই হলো সংক্ষেপে টুইটার। প্লিজ সবান্ধবে আজই , এখন ই সংগঠনের সবাই টুইটারে রেজিষ্ট্রেশন করুন। নাস্তিক বাম ও কম্যুনিষ্টরা এই মাধ্যমটাতে আমাদের আন্দোলন ও বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে প্রচুর অপপ্রচার চালিয়ে বিশ্ববাসীকে বিভ্রান্ত করছে প্রতিনিয়ত। আমাদের ওপর এটা নৈতিক ও জরুরী দায়িত্ব ওদের মিথ্যাচার ও অপকৌশলের জবাবে সত্য ও সুন্দরের বার্তাগুলো বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তরে পৌছে দেবার এই চমৎকার মাধ্যমটির পূর্ণ সদ্ব্যবহার করা। কয়েকজনের নাম এখানে দিচ্ছি যাদেরকে ফলো করে শুরু করতে পারেন আপনার টুইটার যাত্রা – তাদের টুইটগুলো কিছুক্ষণ লক্ষ্য করুন। দেখুন কি টাইপ কথা ও কাজ টুইটারে করছে আমাদের ভাইয়েরা । www.twitter.com/(এখানে @ সাইনটা বাদ দিয়ে নামগুলো একে একে পেষ্ট করলে তাদের প্রোফাইল পাবেন) @ttorongo, @info_shibir @basherkella @mirahmad01, @mokarram76 @Fugstarnagar @FAHAD_BICS @Angry_BD @Ikhwanweb @priyoboi @Goodby_Tyrant @nirjhor_bd
১৯ এপ্রিল ২০০০: প্রেসক্লাবের সমানে দলীয় মিছিল করে হাইকোর্টের বিচারকদের লাঠি দেখিয়ে ভয় দিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নাসিম, বন মন্ত্রী সাজেদা, নৌমন্ত্রী মায়া, আরো নেতারা।
১৩ বছর পরে ২০১৩ সালের ২৬ এপ্রিল সেই দলের এমপি আসাদুজ্জামান নূর, জোটের এমপি রাশেদ খান মেননের উপস্খিতিতে (হিন্দুস্তানের টাকায়, হাসিনা সহ রাম-বামদের উস্কানিতে) শাহাবাগীরা মামু বাড়ির আবদার করে…একখান ফাঁসি দেন, বাসায় চাইল্যা যামু, উৎসব করমু। আর যদি না দেন, তবে হুমকি…..আবার রাস্তায় নাইম্যা তান্ডব করমু। হ্যা..
সরকারের মন্ত্রীরা লাঠি প্রদর্শন করে আদালতকে ভয় দেখানো আর মাদকাসক্ত-ইসলাম বিরোধী শক্তিকে দিয়ে হুমকি প্রদর্শন করে ”ফাঁসি” চাওয়ার নাটক সৃষ্টির ঐতিহ্য কেবলই আওয়ামীলীগের!!
দেশের বিচার ব্যবস্থা ধংসকারী গণশত্রুদের খতম করতে হবে এখনি।
শাহবাগিরা বলে, ২৩ দিন আন্দোলন করলেও কোন সহিংসতা দেখাইনি।
আরে তোরা তো সহিংসতা প্রতিনিয়ত লালন করেছিস। “একটা একটা শিবির ধর, ধরে ধরে জবাই কর”- এইটা কি অহিংসতা!! তোর ছোট ভাইটি যখন এটা টিভিতে দেখে এ শ্লোগান, তখন কোন মানষীকতা নিয়ে বড় হয় জানিস? দেখেছিলি- তোদের সমর্থক এটিএম শামসুজ্জামান এর সন্তানেরা একে অপরের প্রতি কি আচড়ন করেছে? ছোট ভাইকে এগুলি শেখানোর ফলাফল যেন আবার তোদের নিজের দিকে না বর্তায়- খেয়াল করিস।
নিরস্ত্র নাগরিকের উপর সে দেশেরই পুলিশ এভাবে পাখির মত গুলি করে মারতে পারে?
ছোট বেলায় শুনতাম, খুব জরুরী হলে পুলিশ পা বরাবর গুলি করে। কিন্তু সেটা খুব বেশী জরুরী হলে। কিন্তু বুক বরাবর গুলি! তাও আবার ধানের ক্ষেতে তেরে এসে! বাগানে ঢুকে নিরিহ একজন মানুষকে!
আরে একটি দলের প্রিয় নেতা, কুরআনের মুফাসসির, যাকে সম্পূর্ন মিথ্যা অপবাদে খুন করার চেষ্টা চলছে, তাকে অবিচারের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য তার দলের নেতা কর্মীরা আন্দোলন করবে না! প্রতিবাদ জানাবে না! তোমরা তাদেরকে শান্তিপূর্ন ভাবে আন্দোলনও করতে দিবে না! তারা তো প্রমান করেছেরে ভাই, মতিঝিলের সমাবেশে, তোমরা সহযোগিতা করলে তারা তোমাদেরকে ফুল উপহার দেয়।
তোমার বুক কবে কাঁপবে পুলিশ! তোমার ছোট ভাই বা সন্তানের বয়সী একটি ছেলেকে তুমি কিভাবে গুলি করছ! তোমার পরিবারে কি একটি শিবিরের ছেলে নেই? তুমি কি তাকে চিন না? সে ক্যামন? মিডিয়া গুলি যত মিথ্যাই বলুক, তুমি তো জান, ক্যামন করে তুমি তাকে মারছ! তারা আসলে ক্যামন। কী তাদের দোষ?
আমার সত্যিই খুব আশংকা হচ্ছে- এরা পুলিশ তো!!!!!!
ভাই, মানুষ হোন, আওয়ামী লীগ হবেন না। আল্লাহর কাছে জবাব দিতে হবে।
Like · · Share · 3304677 · 33 minutes ago ·
সেই সকাল ৬.০০ থেকে শুরু , আর পারছিনা গুরু………… এখন একটু ঘুমাতে যাই।
আসসালামু আলাইকুম।
Like · · Share · 97526619 · 58 minutes ago ·
আজ সকালে কুরআন প্রেমিক মানুষকে ডাক দিয়েছিলাম রাস্তায় নামতে…………… কিন্তু আমার ধারনা আবারও ভুল প্রমানিত হল। ৬৫ জন শহীদ হয়ে তারা আমাকে আবার ভুল প্রমানিত করল। এ দেশের মানুষ কুরআনকে এত ভালবাসে তা আমার ধারনা ছিল না। আমি চিন্তাও করতে পারিনি এ দেশের মানুষ কুরআনের জন্য হাঁসি মুখে নিজের জীবন অকাতরে বিলিয়ে দিতে পারে। আমি সামনে বিজয় দেখতে পাচ্ছি। আপনি দেখতে পাচ্ছেন কি ?
হে আল্লাহ্ তুমি আমাদের এই ভাইদের জন্য শাহদাতের সর্বোচ্চ সমমান দান কর। যদি তুমি আরও রক্তের বিনিময়ে এই বাংলার মাটিতে ইসলামী ঝাণ্ডা উড়াতে চাও তাহলে তাই হবে। আমাদের কে এই পরীক্ষায় পাশ করার তওফিক দান কর। আমীন।
বাঁশেরকেল্লা অ্যাডমিন।
Like · · Share · 2,992778417 · 3 hours ago ·
সাইদীর ক্যাসেট পদদলিত করে বোবা হয়ে গেলেনকুড়িগ্রামের ফজলু!
মহা-পবিত্র আল-কুরানের তাফসীরের ওয়াজ বাজানোর কারনে এক ফেরী ওয়ালাকে বে-ধরকপিটিয়ে ওয়াজের ক্যাসেট পদদলীত করেছে কুরআন বিরোধী এক আম্লীগ নেতা৷ঘটনাকা ঘটেছে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের মর্ধ্য কুমরপুর বাজার এলাকায়৷
ঘটনাটি ঘটেছে ৩১ জানুয়ারী৷পরদীন ১ ফেব্রুয়ারিরাতে তার কথা বন্ধ হয়ে যায় এবং এক হাত ও একপা অবস হয়ে যায়৷
তার বড় ভাই মোঃরুহুল আমিন বলে ফজলু বর্তমানে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে রয়েছে৷
(বিস্তারিত ৮/২/১৩ সংগ্রাম পত্রিকার ৬ পাতায় ৭ এর কলামে৷)
Like · · Share · 2,7043801,080 · 3 hours ago ·
’কুত্তার বাচ্চা, চুপ চুপ’ বলে মাওলানাকে মারতে গেলেন জাবি ভিসি আনোয়ার!!!
আজ শুধু চিনে রাখুন। এই অন্তিম মুহূর্তে শুধু জানার জন্য বলছি। আজ ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পর কিছু বলতে চেয়েছিলন মজলুম মাওলানা সাঈদী। কিন্তু ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত এ মানুষটিকে তার শেষ কথাটাও বলতে দেয়নি আওয়ামী ক্যাডাররা! আপনারা ঘৃণা করুণ আমার মতো অধমকেও। যে সামনে থেকেও এ অনাচারের প্রতিবাদ করতে পারেনি?
কাঠগড়া থেকে উঠে দাঁড়িয়ে মাওলানা বিচারকদের উদ্দেশে কিছু বলতে চাইলে ‘কুত্তার বাচ্চা চুপ, একদম চুপ’ বলে তার দিকে তেড়ে যান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আনোয়ার হোসেন। তার সাথে যোগ দেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নাসির উদ্দিন ইউসূফ বাচ্চু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মুনতাসির মামুন, প্রসিকিউটর শাহিদুর রহমানসহ ঘাদানিক নেতারা। তারা মারতে উদ্যত হন এ বৃদ্ধ আলেমে দ্বীনকে। ইউসূফ বাচ্চু ও মুনতাসির মামুন ‘তুই রাজাকার চুপ কোন কথা বলবি না চুপ’ ‘রাজাকারের আবার কিসের কথা’ বলে চিল্লাতে থাকেন। বাচ্চু ‘ঐ রাজাকারের বাচ্চা চুপ কর’ বলে তার দিকে তেড়ে আসেন। আমি বাচ্চুর সামনে গিয়ে দাঁড়াই। তার হাত দুটো ধরে রাখি। প্রসিকিউটর শাহিদুর ‘ধর ধর’ স্লোগান তুলেন।
এরপর পুলিশ মাওলানা সাঈদীকে কোন কথা বলার সুযোগ না দিয়ে হাজতখানায় নিয়ে যায়। যেখানে গিয়েই হাত থেকে কোরআন শরীফ রেখে জায়নামাজ বিছিয়ে নামাজে দাঁড়ান মাওলানা। এর আগে ট্রাইব্যুনালে দাঁড়িয়ে তিনি ‘বিচারকরা নিজেদের শপথের নিকৃষ্ট অপব্যবহার করেছেন’ বলে মন্তব্য করেন। আমি প্রায় ১০ মিনিট দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মাওলানাকে দেখি। আসাদ ভাই (আইনজীবি) হাত ধরে ‘এসব কিছুনা’ বলে উল্টো আমাকেই সান্তনা দেয়। হাজতখানায় দীর্ঘক্ষণ নামাজরত অবস্থায় থাকেন এ আলেম।
আনোয়ার, মামুন, কবির, শাহিদুর, জাফর, বাচ্চু-ওরা এদেশেরই মানুষ। তবে ‘র’ এর টাকায় কেনা। একজীবনে ওদের অনেক অত্যাচার সহ্য করেছি। কিন্তু আজ সিদ্ধান্ত নিয়েছি আর না।
আমার ভাইদের বলছি-পাড়ায়-মহল্লায়, ঘাটে-মাঠে যেখানে ওদের পাওয়া যাবে, সেখানে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
এখন রাজপথের লড়াই চলছে, চলবে। এই গিনিপিগদের নিয়ে সময় নষ্ট করার সময় নেই হাতে। তবে ওদের শায়েস্তা করার পন করলাম।
জামায়াতের অফিসিয়াল বিবৃতি মতে-এখন পর্যন্ত শাহাদাত বরণ করেছেন আমাদের ৫৬ জন ভাই। আসুন ঢাকাকে সারা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেই। এ রক্তের মূল্য হাসিনাকে দিতেই হবে।
by-Ronotory Khan
Like · · Share · 3,1447691,447 · 5 hours ago ·
বাংলাদেশের ইতিহাসে জঘন্যতম পুলিশি গণহত্যার প্রতিবাদে জাতি সংঘের সামনে যাচ্ছে হাজার হাজার বাংলাদেশী নারী পুরুষ। সকাল ১১ টায় এই প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হবে।
আমাদের আর কিছু করার নাই, সারা রাত না ঘুমিয়ে অপেক্ষায় ছিলাম, এখন যাচ্ছি জাতি সংঘের সামনে। চোখের পানি আর হ্রদয়ের ব্যাথা নিয়ে তাকিয়ে আছি আমার মাতৃ ভুমির দিকে। আর সাহায্যের আশায় বসে আছি আকাশের মালিকের দিকে।
Like · · Share · 3,582340834 · 5 hours ago ·
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.