৫ই জানুয়ারিঃ নির্বাচন হবেই, হবেনা…???

poster-1গুজরাট দাঙ্গায় উস্কানীর অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেলো চরমপন্থী নরেন্দ্র মোদি। সামনে নির্বাচন, তাই এই অবস্থায় এই খবরটি বিজেপি জোটের জন্য সুখবর হলেও বাংলাদেশের জন্য নয়। এখানেও নির্বাচন, আর মাত্র নয়দিন পর। ৫ই জানুয়ারির সাধারন নির্বাচনে সবাই যাচ্ছেনা, ৪০টি দলের মধ্যে ১২টি আছে যার প্রায় সবগুলিই ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ নেতৃত্বাধীন জোটের অংশ বা সমমনা।

সবাই যাদের ভয় পায় সেই সেনাবাহিনী অফিসিয়ালি এখন সারাদেশের রাস্তাঘাটে অবস্থান নিয়েছে; আর বিজিবি-র‍্যাব-পুলিশ-গোয়েন্দাদের “যৌথ অভিযান” চলছে হরতাল-অবরোধে নাশকতাকারী ও উস্কানীদাতাদের গ্রেপ্তার করতে।

বুঝাই যাচ্ছে বিরোধী জোটের গুরু বিএনপি-জামায়াত ও অন্যান্য দল বয়কট করেছে এই নির্বাচন — তাদের দাবী সরকারপ্রধানের বদল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহষ্পতিবার বলেছেন, “নির্বাচন হবেই।” আর ঐদিকে বাসা আর অফিসে কড়া নিয়ন্ত্রনের মধ্যে থেকেও বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া বলছেন ২৯শে ডিসেম্বর সারাদেশ থেকে ঢাকামুখী মার্চ ফর ডেমোক্রেসি ও নয়া পল্টনে সমাবেশ করতে বাধা দিলে পরিনাম ভয়াবহ হবে। তাদের উদ্দেশ্য ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন পন্ড করা। এটা তাদের গনতান্ত্রিক অধিকার, এ অধিকার হরন করতে দেয়া হবেনা। সারাদেশে সকল সরকারবিরোধী নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের আহ্বান জানানো হয়েছে সেদিন রাস্তায় নামতে।

২৯ তারিখ রাতে কি করবে সমাবেশকারীরা — রাস্তা খালি করে দিবে নাকি অবস্থান চালিয়ে যাবে? কেউ পরিষ্কার করেনি — আর তাই সন্দেহ-ভয় সবার চোখে-মুখে। মাঝরাতে উগ্রপন্থী হেফাজতের মতিঝিল অবস্থানের উপর যেরকম অপারেশন হয়েছিল সেরকম কিছু কি করবে সেনা বা যৌথবাহিনী? নাকি ঢাকায় আসতেই দেয়া হবেনা? সরকারসমর্থকরা কি এবারও বাস-লঞ্চ বন্ধ করে দিবে? কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের হোমড়া-চোমড়া আরো কয়টাকে ধরা হবে? জামায়াতের উস্কানীদাতা নেতাদের কি ধরা হবে? ইসলামী বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখা উগ্রপন্থীরা কি করবে ২৯ তারিখ?

আওয়ামীলীগ চোখ রাঙাচ্ছে সেই ঘোষনার পর থেকে, দেখে নেবে ২৯ তারিখ। বাহ! একটা যুদ্ধ যুদ্ধ আমেজ পাচ্ছি 😉

বাই দ্যা ওয়ে, নতুন কি বলবেন সেদিন খালেদা? 

শান্তিকামী মানুষরা এদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও, তাদের প্রভাব বড়ই দুর্বল। তা না হলে রাজনীতিব্যবসায়িরা এত সুযোগ পেত না। নইলে এখন একটা [সাংবিধানিক] নির্বাচন আয়োজন করে, শপথ নিয়ে সংসদে বসে সংবিধান সংশোধন করে আবার সংসদ বাতিল করে আবার নির্বাচনের তারিখ ঘোষনা করার মশকরা আওয়ামীলীগ তথা হাসিনা ও তার বন্ধুরা করতে পারতেন না।

[নোটঃ সেনাবাহিনীর উপরই নির্ভর করছে সামনে কি হবে]

মানুষেরও উচিত সকল খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকা কারন তার ক্ষমতা অসীমের কাছাকাছি। আফসোস, সেই আশ্চর্য ক্ষমতা ভালোকাজে লাগালে ফলাফল যে কত “ভয়াবহ” সুন্দর হতে পারে তা রাজনীতিব্যবসায়িরা বুঝেনা…দুই ষাঁড় যুদ্ধ করছে ক্ষমতার চেয়ার নিয়ে, কিন্তু প্রতিদিনই মারা যাচ্ছে অরাজনৈতিক-নির্দোষ জনগন, ধ্বংস হচ্ছে তাদের সম্পদ, আর সবচেয়ে ভয়াবহ বিষয় হলো তাদের মধ্যে জেঁকে বসছে ভয়, আর তীব্র হচ্ছে রাজনীতিব্যবসায়িদের প্রতি ঘৃনা।  

Comments

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

en_USEnglish
Powered by TranslatePress