২০০৮-এর নির্বাচনের আগে এদেশের বাঘা বাঘা রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়িদের প্যাদানী খাওয়া দেখে ভাবসিলাম নেক্সট টাইম যেই আসবে তাকে আইন-আদালত ও জনগন দৌড়ের উপ্রে রাখবে। নোপ…ঐরকম কিছুই হলো না ৫টা বছরে। বরং দেশের ঠিকাদারী পাওয়ামাত্র ধান্ধাব্জীতে নেমে পড়লো আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মী-সমর্থকরা, অনিয়ম-দুর্নীতি আর মাথামোটা সিদ্ধান্ত নিয়েই চলেছে দলের প্রধান থেকে শুরু করে খুচরা সমর্থকরা। দলের মানইজ্জত নিয়ে তাদের টেনশন নাই, অথচ আবার ক্ষমতায় থাকার শখ। তারা টানা দুইবার ক্ষমতায় থাকবে এমনই নাকি পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু বাস্তবায়নের কোন নির্দেশিকা দলের নেতা-কর্মীদের দেয়া হয়েছিল বলে মনে হয়না। হলে এই বেহাল দশা হতো না।
বেহাল বললাম কারন বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসেছিল এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ ম্যান্ডেট নিয়ে অথচ এখন অনেক নেতা ও সমর্থকরাও পর্যন্ত আস্থা হারাচ্ছে, আম-জনতার কথা বাদই দিলাম। এই অবস্থায় নির্বাচন হচ্ছে রবিবার। হাস্যকর! কারন বিএনপি-জামায়াত জোট সেই ২০০৯ সাল থেকে চালু করা অসহযোগিতার নীতি এখনো চালু রেখেছে। জনগনের প্রতি যেটুকু সাংবিধানিক ও মানবিক দায়িত্ব ছিল সেটাও পালন করেনি।
এত কিছুর পরেও উভয় নেতারাই তাদের গোয়ার্তুমি বহাল রেখেছে এবং প্রতিদিনই আম-জনতা ও যুদ্ধরত দুই শিবিরের কর্মী-সমর্থকরা মারা পড়ছে আর ধ্বংস হচ্ছে রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তিগত সম্পদ, যার দায়িত্ব নিচ্ছেনা বিরোধীজোট আবার ক্ষতিপূরণ দিতে টালবাহানা করছে রাষ্ট্রপরিচালনাকারী সরকার।বিএনপি চায় হাসিনাবিহীন সরকার আর হাসিনা চায় নিজের অধীনে। এটা এখন উনার জন্য প্রেস্টিজ ইস্যু হয়ে গেছে। আর জনগনের জন্য গলার ফাঁস।
যেভাবেই হোক নির্বাচন নাকি করেই ছাড়বে সরকার। কারনটা নাকি সংবিধান। আচ্ছা, আপনারা এত সম্মান করেন নাকি সংবিধানকে? জানতাম না তো!!! আপনারা তো সংবিধানের মুলনীতি ও সরকারের দায়িত্বই পালন করেন না। এদিকে সংবিধান বিষয়ে খালেদা জিয়া ও তার মিত্র আমিনী (মৃত) যেধরনের ন্যাক্কারজনক ভাষা ব্যবহার করেছিলেন তাতে করে বিরোধীজোটের মনোভাবও স্পষ্ট।
মনোযোগ বিচ্ছিন্ন, মনে হচ্ছে স্মার্ট আইন তৈরিতে বাংলাদেশ কিছুদিনের মধ্যেই গিনেস বুকে নাম লিখাবে। কিন্তু সাথে আইন লংঘন ও অগ্রাহ্য করার মতো অপরাধেও রেকর্ড করবে আমাদের দেশ।
ও হ্যাঁ, বলছিলাম রবিবারের নির্বাচনের কথাঃ এটা আওয়ামীলীগের একটা ‘নির্বাচনী জনপ্রিয়তার জরিপ’ হতে যাচ্ছে। যারা সাচ্চা সরকার সমর্থক তারাও ভোটকেন্দ্রে যাবে। আমিও চাই আওয়ামীলীগ আবার ক্ষমতায় আসুক, কিন্তু এধরনের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নয়, সত্যিকারের ভোটযুদ্ধ জিতে আসুক। সেজন্যে আবার ১১শ নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। এর মধ্যে পারলে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করে ও অন্যান্য উগ্রপন্থী দল ও নেতাদের জেলে ভরে তারপর আবার নির্বাচন দেন।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.