নরপশুকে ফাঁসি দিতে একটা খুন/ধর্ষণই যথেষ্ঠ ছিল। আর অন্যায়ভাবে যাবজ্জীবন দিলে ক্ষমতার বলে ছাড়া পেয়ে যেতো, তখন বলতো সব অভিযোগ বানোয়াট। অতঃপর বিচারের সাথে সংশ্লিষ্টদের উপর প্রতিশোধ নিতো।
সরকারি দল আওয়ামীলীগ বিচার কাজ সরাসরি তত্বাবধান করছে — এইটা ওপেন সিক্রেট এবং দরকারি। এই বিচার আটটা-দশটা খুন-ধর্ষণের বিষয় না। বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ এই বিচারকে কেন্দ্র করে সরকারকে “নিরপেক্ষ নয়” টাইপ গালি দেয়াটা আচোদা সুশীলতা।
তবে তারা রহস্যজনক কারনে কিছু অযোগ্য ব্যক্তিকে এই বিচারকাজে নিয়োগ দিয়েছে যারা নিয়মিত ভুল করছে। এই সরকার আবার জামায়াতি প্রোপাগান্ডার উচিত জবাব দিতেও ব্যর্থ হচ্ছে। আর শুরুতেই দেশের বিজ্ঞ আইনজীবী ও ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষীদের দাওয়াত দিয়ে এই বিচারের সাথে সংযুক্ত করা উচিত ছিল, যা আওয়ামীলীগ করেনি আত্মতুষ্টি থেকে বা অন্যান্য কারনে।
কেউ কেউ বলে সাক্ষীরা প্রত্যক্ষদর্শী ছিল না, আদালতে বক্তব্য দেয়ার সময় ভুলভাল বলেছে, তদন্ত কর্মকর্তাকে অন্যকথা বলেছে…ভাই থামেন, এতটুকু তথ্য দেবার জন্য যে ৪৪ বছর পর সাক্ষী পাওয়া গেছে, তাতেই আমি খুশী। সেইসব সাহসী যোদ্ধাদের সালাম জানাই। সাজা দেবার আগে যে ন্যুনতম আইনি কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে, লোকদেখানোই হোক আর যাই হোক, সেটা ১৯৭১-এ এইসব মীরজাফরের কর্মকান্ডের চেয়ে হাজারগুনে বেশি মানবিক।
ওহ, আরেকটা কথা, যুদ্ধাপরাধের বিচারে আর কোন দেশে আসামী, তাদের উকিল, আপীল ইত্যাদির বিধান আছে নাকি?
আমার জন্ম একাশি সালে। বই পড়ে, নাটক দেখে, আর গল্প শুনে আমি মুক্তিযুদ্ধকে ধারণ করি আমার রক্তের শিরায়। এটা আমার জন্মের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, যা ১৬ই ডিসেম্বরে শেষ হয়েও হয়নি। সবকয়টা রাজাকার আর পাকি সেনাদের বিচার না করা পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধ শেষ হবেনা। ধিক্কার জানাই আমার পূর্বসূরীদের নিয়ে যেসব শাসকগোষ্ঠী গত ৪৪টা বছর এই বিচারের কাজকে বাধগ্রস্ত করেছে এবং যেসব জনগন তা চেয়ে চেয়ে দেখেছে।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.