অফিস শেষে বাসায় ফেরার পথে বাসে একা ছিলেন। ড্রাইভার, হেলপার আরো দুইজন মিলে তাকে গনধর্ষণ করা হলো। সোমবার রাত ভর গণধর্ষণের পর ধর্ষিতাকে ফেলে রেখে তারা পালিয়ে যায়।
নাহ, এটা কোন মানবিক বিচারে পত্রিকার প্রথম পাতায় আসেনি। কোন সম্পাদকীয় লেখা হয়নি। কোন টিভি চ্যানেল এই খবরটাকে গুরুত্ব দেয়নি।
কেন?
মেয়েটা গার্মেন্টস কর্মী বলে? সে এখনো মারা যায়নি বলে? — হয়তো এই দুটোই।
আবার বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে মেয়েটারই তো দোষ! কেন সে রাতের শিফটে কাজ করবে? কেন একা একা বাড়ি ফিরবে? কেন বোরকা পড়েনি?
নাহ, এই নির্লজ্জ-অমানবিক প্রশাসন-মিডিয়াকে আমি ধারণ করিনা। এই রাষ্ট্রনীতি আমি সমর্থন করিনা। ঘেন্না করি এইসব নীতিনির্ধারকদের।
আর কি-ই বা করতে পারি!
নারী স্বাধীনতা-ক্ষমতায়নের কথা অনেক বলা হলেও সেই পরিবেশ কি সৃষ্টি করে দিয়েছে সরকারের প্রধান, তার পুলিশ বা নারী অধিকারে সোচ্চার কোন সংগঠন? মিডিয়াতে নানাভাবে প্রচার হচ্ছে নারীদের গৌরবগাঁথা। কিন্তু আদতে কিছু উচ্চ-শিক্ষিত নারী ছাড়া কারা স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছেন? কতজন নির্ভয়ে চলাফেরা করতে পারেন?
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.