সরকারের সাথে হেফাজতের অন্ধকারে গোপন বৈঠক ফাঁস

না, আর লুকানো গেলো না।

গত কয়েক মাস তর্জন-গর্জন করে, ঘৃণার বিষবাষ্প ঢেলে, সরকার-বিরোধী সহিংস তান্ডব চালিয়ে সোমবার ১৯শে এপ্রিল ২০২১ সালে শরীয়া আইন প্রতিষ্ঠার আন্দোলকারী হেফাজতে ইসলামের নেতারা প্রথমে একদল গোয়েন্দার সাথে বৈঠক করে।

এরপর রাতে ধানমন্ডিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় একঘন্টার উপর বৈঠক করে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকদের সামনে পড়ে যায়। বৈঠকে কি আলাপ হলো বা সমঝোতা হলো কিনা এ নিয়ে মুখ খোলেনি দলটির মহাসচিবসহ অন্য নেতারা।

মূলত কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মামুনুল হকের গ্রেপ্তার ও সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর হওয়ায় নড়েচড়ে বসেছে হেফাজত। নিয়মতান্ত্রিকভাবে তারা এখন মামলা খাবে, গ্রেপ্তার হবে।

তবে এই দুই বৈঠকের মাঝে দলের প্রধান জুনায়েদ বাবুনগরী বলেছেন হেফাজত নিয়ে গুজবে কান না দিতে।

অন্যদিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সোমবার বলেন, “লকডাউনের সুযোগ নিয়ে একটা ক্র্যাকডাউন করা হয়েছে। একদিকে বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। অন্যদিকে দেশের ধর্মীয় নেতা যারা আছেন, যারা আলেম-উলামা আছেন, তাদেরকে নির্বিচারে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।

“আমি আহ্বান জানাব যে, অবিলম্বে এই সমস্ত মামলা-মোকাদ্দমা তুলে ফেলা হোক, ধর্মীয় যারা নেতা আছেন, আলেম-উলামা আছেন তাদেরকে অবিলম্বে মুক্তি প্রদান করা হোক এবং বিএনপির যেসব নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদেরকে নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়া হোক।”

সরকারকে হুঁশিয়ার করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আমরা খুব স্পষ্ট করে বলতে চাই, ধর্মীয় নেতাদেরকে এভাবে অপমান করা, তাদেরকে এভাবে হয়রানি করা এদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষ কিন্তু কোনোভাবে মেনে নেবে না।”

Comments

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

en_USEnglish
Powered by TranslatePress