ছাত্রদের কোটা আন্দোলনের এক পর্যায়ে ৪ঠা আগস্ট যে জটিল বাস্তবতা তৈরি হয়েছিল এবং দেশের একটি অংশ তাকে টার্গেট করে যেভাবে সমালোচনা করছিল, তখন গণভবনে অবস্থানকারী তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হতাশা থেকে বার বার বলেছিলেন যে, এত কিছু করার পরও যদি এরা সমালোচনা করে, তাহলে তারাই দেশ চালিয়ে দেখুক। তিনি তখন তার সরকারের হাত ধরে দারিদ্রের হার ৪০ ভাগ থেকে ২০ ভাগে নামিয়ে আনা, উন্নয়ন সাক্ষরতার হার বাড়ানো, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, আর এসবের মাধ্যমে জাতিসংঘের তিনটি শর্ত পূরণ করে স্বল্পন্নোত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার সাফল্যের কথা উল্লেখ করেন। বলেছিলেন নিয়মতান্ত্রিকভাবে পদত্যাগ করে তিনি টুঙ্গিপাড়া চলে যাবেন।
সম্প্রতি একটি ইউটিউব চ্যানেলে দেয়া সাক্ষাতকারে এমন মন্তব্য করেন সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক মোহাম্মদ এ আরাফাত।
তিনি বলেন, ৪ঠা আগস্ট দলের করণীয় সম্পর্কে অনেকগুলো আলাপ হচ্ছিল। যদি ৫ তারিখের “লং মার্চ টু ঢাকা” কর্মসূচি মোকাবেলা করে রাজধানীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যেতো, তাহলে হয়তো তিনি সেদিনই পদত্যাগ করে নির্বাচনের ঘোষণা দিতেন। তিনি আরও লাশের উপর দিয়ে ক্ষমতায় থাকতে চাননি।
কেউ কেউ বলে তিনি ক্ষমতা ছাড়তে চাননি, এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক আরাফাত বলেন, “এটি ডাহা মিথ্যা করা।“ ৫ তারিখে শেখ হাসিনা নিজেই বললেন, তিনি গণভবনে থাকবেন না, টুঙ্গিপাড়া চলে যাবেন। তিনি পদত্যাগপত্র লিখে সাইন করে বঙ্গভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতিকে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেটি আর হয়নি। পদত্যাগপত্র সাইন করা হয়েছে কিনা সেটা এখন আর বিবেচ্য নয়। এটিকে হস্তান্তর করতে হয়।
কিন্তু তার আগেই তাকে জোর করে ফিজিক্যালি রিমুভ করার জন্য হেলিকপ্টারে উঠতে বাধ্য করা হয়; তাকে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেয়া হয়, বলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী, যিনি ঢাকা-১৭ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। সে কারনে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেয়ার আনুষ্ঠানিকতা করা যায়নি।
এরপর ৮ই আগস্ট অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বঙ্গভবনে শপথ নেয়ার আগেও পদত্যাগপত্রটি খোঁজা হয়েছিল। কিন্তু কেউ খুঁজে পায়নি।
৫ই আগস্ট এমন একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছিল যে আসলে পদত্যাগপত্রটি রাষ্ট্রপতির হাতে পৌঁছায়নি। উনি ক্ষমতা ছাড়তে চেয়েছিলেন। বঙ্গভবনে যাবেন, পদত্যাগপত্র হস্তান্তর করে টুঙ্গিপাড়া চলে যাবেন। এরপর নতুন একটা সরকার হবে যা তিনি ওভারসি (তদারকি) করবেন। এরকমটা ভেবেছিলেন।
সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত অধ্যাপক আরাফাত বলেন, শেখ হাসিনা এই মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হতে চাননি। আগেরবারই তার শেষবার হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু শেষের দিকে এসে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন নির্বাচন করবেন, কারন কোভিড-১৯ অতিমারির কারনে অনেক উন্নয়ন প্রকল্পের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা যায়নি। কোভিড শেষ হতে না হতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারনে জ্বালানি বাজার টালমাটাল হয়ে গেল; বিশ্ব বাজারে এর প্রভাব পড়লো, মূল্যস্ফীতি বেড়ে গেল। সরকারকে সেসব জরুরি অবস্থা মোকাবেলা করতে হলো। তিনি বুঝতে পারছিলেন ৩ থেকে সাড়ে ৩ বছর হারিয়েছেন।
অধ্যাপক আরাফাত বলেন, শেখ হাসিনার কিছু স্বপ্ন ছিল, কিছু ইচ্ছা ছিল। যেমন একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না। দারিদ্র বিমোচনে তার কিছু লক্ষ্য ছিল। তাই এই মেয়াদে সেসব লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে তিনি কাজ শুরু করেছিলেন। ভেবেছিলেন এরপর তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন, টুঙ্গিপাড়া চলে যাবেন এবং ওখানেই থাকবেন। এগুলো তিনি মাঝে মাঝেই বলতেন।
আরাফাতের গ্রেপ্তার হওয়ার খবর, গোয়েন্দাদের সহযোগিতা নিয়ে দেশ ছাড়ার খবর বা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মুক্ত হওয়ার খবর সত্য নয় বলে তিনি জানান। বলেন, এগুলো গুজব, কোন ভিত্তি নেই।
আবার বিদেশে যাওয়ার সময় সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকের সাথে সাবেক মন্ত্রী হাসান মাহমুদের বিমানবন্দরে আটক হওয়া প্রসঙ্গে আরাফাত বলেন, “এটি সত্য নয়, এটিও গুজব ছিল।“
অন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে কেউ গ্রেপ্তার হচ্ছে কেউ বা বিদেশে চলে গেছেন, এ প্রসঙ্গে আরাফাত বলেন, ৫ই আগস্টের মতো একটি জটিল অবস্থায় ও অস্বাভাবিক বাস্তবতায় যেখানে জঙ্গিরা রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে, বিভিন্ন মানুষের বাসায় আক্রমণ করা হচ্ছে, অফিসে আক্রমণ করা হচ্ছে, লুটতরাজ করা হচ্ছে, মব কিলিং করা হচ্ছে, তখন কে কোথায় কিভাবে নিজেকে সিকিউর করতে পেরেছে, এর উত্তর খোঁজা কটঠিন।
এছাড়া আন্দোলনের সময় প্রতিটি নিহতের ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার করতে শেখ হাসিনা বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করেন এবং তদন্তে সহায়তার জন্য জাতিসংঘকে আমন্ত্রণ করেন। তিনি চেয়েছিলেন দোষী ব্যক্তিদের যেন চিহ্নিত করা যায়।
আন্দোলনকারীদের মধ্যে স্নাইপার ও ভারী অস্ত্রধারী শিবির ও জঙ্গীরা ছিল বলে তদন্তে জানা গেছে, যারা নিহতের সংখ্যা বাড়িয়ে আন্দোলনকারীদের উস্কে দিতে এবং জনসাধারণের কাছ থেকে সহানুভূতি পেতে চেয়েছে। এরাই থানা ও কারাগার লুট করেছে, পুলিশ সদস্যদের হত্যা করেছে, সাধারণ আন্দোলনকারী ও আবাসিক ভবনের ছাদে ও বারান্দায় থাকা মানুষদের গুলি করে মেরেছে।
কিন্তু ইউনূস সরকার এসে সেই উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত কমিটির কাজ বন্ধ করে দিয়েছে এবং জাতিসংঘের তদন্ত কমিটিকে পরিপূর্ণ তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করছে না। অন্যদিকে সরকার ১৫ই জুলাই থেকে ৮ই আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত কোন অপরাধের জন্য বিচারকাজ বন্ধের জন্য দায়মুক্তির অধ্যাদেশ জারি করেছে।
মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের দাবি শুনে এবং জাতির বীর সন্তানদের প্রতি রাগ-ক্ষোভ দেখে আন্দোলনের শুরুতেই শেখ হাসিনা বুঝেছিলেন শিক্ষার্থীদের মধ্যে জামাত-শিবির ও জঙ্গীদের সম্পৃক্ততা ছিল। এরা নিজেদের রাজনৈতিক পরিচয় গোপন করে জনগণকে প্রতারিত করেছে। আবার আওয়ামী লীগ ও গোয়েন্দারা ষড়যন্ত্রের গভীরতা বুঝতে পারেনি। অন্যদিকে সরকার সবসময় চেয়েছে হতাহতের সংখ্যা কমাতে, কারন ম্ৃত্যুর সংখ্যা বাড়লে সরকারেরই ক্ষতি। তাই সর্বোচ্চ সহনশীলতা দেখাতে পুলিশকে বলা হয়েছিল। তথাপি ১৮ই আগস্ট থেকে বহু সরকারি স্থাপনায় আগুন দিয়ে, থানা ও কারাগারে অস্ত্র লুট করে এবং পুলিশকে টার্গেট করে হত্যার মাধ্যমে ক্রমাগতভাবে অরাজকতা চালানো হয়েছে।
সে সময় বেশিরভাগ সংবাদমাধ্যম আন্দোলনকারীদের পক্ষ নিয়েছিল বলেই তারা জয়লাভ করেছিল। তারা শিবির ও জঙ্গীদের নিয়ে কিছু লেখেনি। শিক্ষার্থীদের মুখোশে এরা পুলিশ হত্যা ও অগ্নিসংযোগ করেছে, কিন্তু কোন মিডিয়া সেগুলো নিরপেক্ষভাবে প্রকাশ করেনি।
পরে অবশ্য অধ্যাপক ইউনূস নিজেই বলেছেন, এই আন্দোলন একটি মেটিকুলাস ডিজাইনের অংশ ছিল, স্বতঃস্ফূর্ত ছিল না। অন্যদিকে এক কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক বলেছে, মেট্রোরেলসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় আগুন না দিলে এবং টার্গেট করে পুলিশ হত্যা না করলে তাদের বিজয় সহজে অর্জিত হতো না। আবার ছাত্রদল নেতারা বলেছে ১৭ই আগস্ট থেকে ছাত্ররা পিছু হটে গেলে তারা ভুয়া আইডি কার্ড বানিয়ে দলের কর্মীদের নিয়ে রাজপথ দখলে রাখে। আর গণ অধিকার পরিষদের নেতারা জানায় ২০১৮ সালে শুরু করা কোটাবিরোধী আন্দোলনের পথ ধরেই তখনকার নেতাদের হাত ধরেই চব্বিশের আন্দোলন শুরু হয়। এক পর্যায়ে তারা বিএনপি, জামায়াত, এবি পার্টিসহ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ১৫ বছর আন্দোলনে থাকা দলগুলোকে সম্পৃক্ত করে ছাত্রদের আন্দোলনকে বেগবান করে।
অন্যদিকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিবিরের অনেক নেতাকর্মী নিজেদের আসল পরিচয় প্রকাশ করার পর দেখা যাচ্ছে এদের কেউ কেউ ছাত্রলীগের নেতা হিসেবে এতোদিন পরিচিত ছিল। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের শীর্ষ নেতারা পত্রিকায় কলাম লিখে ও টিভিতে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলছে আন্দোলনের শুরু থেকে পরিকল্পনা প্রণয়ন, কর্মসূচি নির্ধারণ, স্মারকলিপি ও প্রেস বিজ্ঞপ্তি লেখা এবং সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়া, নয় দফা দাবী তৈরির মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজে তারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিল। আরেক কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক শিবিরের কেন্দ্রীয় সম্মেলনে যোগ দিয়ে এই বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়েছে।
তাই শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার খবরে সারাদেশে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলার সংস্কৃতির নিদর্শন ধ্বংস এবং আওয়ামী লীগ ও সংখ্যালঘুদের উপর হামলা চালানোর মাধ্যমে এটিই প্রতীয়মান হয় যে, স্বাধীনতাবিরোধী জামাত-শিবির ও জঙ্গীরাই কোটাবিরোধী আন্দোলনের আড়ালে সরকারপতন আন্দোলন করছিল।
সরকারের অদক্ষতা ও দ্বিচারিতে নিয়ে বলতে গিয়ে অধ্যাপক আরাফাত বলেন, তারা আওয়ামী লীগের দুর্নীতি নিয়ে কথা বলে, অথচ বেশকিছু প্রকল্পের সময় ও ব্যয় বাড়ালো। শেয়ার মার্কেট থেকে হাজার কোটি টাকা মূলধন চলে যাচ্ছে, বিদেশে অর্থ পাচার হয়েছে। এগুলো বন্ধ করতে বা চিহ্নিত করতে পারলো না।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্যদের নামে রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হচ্ছে আমেরিকার একটি ভুয়া ওয়েবসাইটের তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এছাড়া একই ভুয়া ওয়েবসাইটে প্রকাশিত খবরের মারফত এফবিআই-এর এক মৃত কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ৩০০ কোটি ডলার পাঁচারের গল্প ফাঁদা হচ্ছে। মনগড়া তথ্য দিয়ে এবং গ্লোবাল ফাইনান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটির (জিএফআই) রিপোর্টে উল্লেখিত ১৫ বছরের অর্থ পাচারের সম্ভাব্য পরিমাণকে যথাযথ তথ্য বলে প্রচার করা হচ্ছে সরকারি শ্বেতপত্রে।
সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, তার দলের নেতাকর্মীসহ সকল দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে বিচার হোক। কিন্তু গণহারে হত্যা মামলা দেয়া, গণগ্রেপ্তার, হয়রানি এবং চলমান খুন ও দখলের সংস্কৃতির তিনি কড়া সমালোচনা করেন। যারা মানবাধিকার, আইনের শাসন ও ফ্যাসিবাদবিরোধী কথা বলে মুখে ফেনা তুলতো, তাদের আমলে কেন দেশের এই বেহাল দশা এ নিয়েও নানান সময়ে প্রশ্ন তুলছেন আরাফাত।
আমেরিকার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দেয়া শেখ হাসিনার শুভেচ্ছাবার্তায় প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শব্দটি ব্র্যাকেটে ছিল। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট এখনও জো বাইডেন, ট্রাম্প নির্বাচিত হলেও এখনও দায়িত্ব নেননি। কিন্তু তাকেও এখন প্রেসিডেন্ট বলা হচ্ছে। কেউ একবার প্রেসিডেন্ট থাকলে, তাকে পরেও প্রেসিডেন্ট বলা যায়। সাথে সাবেক বলাটাও জরুরি নয়। এটা এক ধরণের ফিগার অব স্পিচ (অলংকার)। একজন ব্যক্তির পরিচয় রিফ্লেক্ট করার (ফুটিয়ে তোলার) জন্য।
আরাফাত বলেন, আওয়ামী লীগ এটি কখনো স্পষ্টভাবে দাবী করেনি। তবে সাংবিধানিকভাবে বিবেচনা করলে তিনি এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, কারন উনার পদত্যাগ সম্পন্ন হয়নি।
আন্দোলন চলাকালে সরকার কিছু ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়া দীর্ঘ ১৫ বছর কক্ষমতায় থাকার কারনে দল ও সরকারের কাজে ভুলভ্রান্তি ছিল। এগুলো পর্যালোচনা করে ভুল থেকে শিক্ষা নিচ্ছে আওয়ামী লীগ, এমনটাই বলছেন আত্মগোপনে থাকা ও বিদেশে চলে যাওয়া বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতা। তারা মনে করেন, জনগণ জামাত-শিবিরের ক্ষমতা দখল ও মুক্তিযুদ্ধের অবমাননা মেনে নেবে না। এর ফলে অন্যায়ভাবে ক্ষমতাচ্যুত করার কারনে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসলে ষড়যন্ত্রকারী ও অপরাধীদের আইনের আওতায় আনবে।
তিনি জানান, এখন শেখ হাসিনা রাজনীতিতে আবার সক্রিয় হচ্ছেন। তিনি অবসরে যেতে চেয়েছিলেন একটি শান্তিপূর্ণ সময়ে। আজকে বাংলাদেশটাকে নরকে পরিণত করা হয়েছে, দেশে আইনশৃঙ্খলার কিছু নেই; ফলে মানুষ অনিরাপদ বোধ করছে। বড় বড় সন্ত্রাসী, জঙ্গীদের ছেড়ে দিয়েছে এই সরকার। জঙ্গীবাদের আস্ফালন দেখা যাচ্ছে। রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, সংস্কৃতিকর্মী, শিক্ষক ও গবেষকদের উপর হয়রানি নির্যাতন চলছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে। এই বাস্তবতায় শেখ হাসিনা মনে করেন তিনি তার দায়িত্ব এড়াতে পারেন না। তাই তিনি লড়াই করছেন।
—
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.