No freedom of press in Bangladesh: Media mum on OHCHR report’s discrepancies

Five days have passed since the OHCHR released the full report on the July-August riots in Bangladesh, yet no media outlet dared publishing any analytical news on it even though the discrepancies are clear.

It clearly shows the state of press freedom under the US- and jihadist-backed interim government led by Nobel Prize winner Prof Muhammad Yunus, who is also dubbed as an ambassador of the US and holds various positions in the United Nations.

However, independent journalists and the deposed Awami League have come up with their observations on the report, terming it one-sided, incomplete and dictated.

My blog

Jihadists enjoying impunity boast how they came to power and want to establish Shariah law in Bangladesh

Awami League’s observations more here

Analysis by Ateam

Details of Ateam analysis:

জুলাই ষড়যন্ত্র; জাতিসংঘের একপেশে রিপোর্ট: আইনি বিশ্লেষণ ও প্রতিকার —

সম্প্রতি জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা কথিত “জুলাই বিপ্লব” নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, যা একেবারেই পক্ষপাতদুষ্ট ও একতরফা। কারণ, ন্যায়বিচারের মৌলিক নীতিই হলো, উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনা, নিরপেক্ষভাবে প্রমাণ বিশ্লেষণ করা এবং ন্যায়সঙ্গত সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া। কিন্তু এই তদন্তের ক্ষেত্রে সেই ন্যূনতম মানদণ্ডও মানা হয়নি।

আইনি ব্যাখ্যা: ন্যায়বিচারের নীতি লঙ্ঘন—

১. প্রাকৃতিক বিচার নীতি (Principles of Natural Justice) লঙ্ঘন।

আন্তর্জাতিক আইনে, বিশেষত Audi Alteram Partem (Let the other side be heard as well) নীতির অধীনে, অভিযুক্ত পক্ষের বক্তব্য শোনা বাধ্যতামূলক।

{আইন ও সনদ যেখানে এই নীতি বলা হয়েছে

√ Universal Declaration of Human Rights (UDHR), 1948

Article 10: “Everyone is entitled in full equality to a fair and public hearing by an independent and impartial tribunal, in the determination of his rights and obligations and of any criminal charge against him.”
(প্রত্যেক ব্যক্তির অধিকার রয়েছে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ আদালতে তার অধিকার ও দায় নির্ধারণের জন্য ন্যায়সঙ্গত শুনানি পাওয়ার।)

√ International Covenant on Civil and Political Rights (ICCPR), 1966

Article 14(1): “All persons shall be equal before the courts and tribunals. In the determination of any criminal charge against him, or of his rights and obligations in a suit at law, everyone shall be entitled to a fair and public hearing by a competent, independent and impartial tribunal established by law.”
(প্রত্যেক ব্যক্তি আদালতের সামনে সমান। আদালত বা আইনি প্রক্রিয়ায় কাউকে ন্যায্য ও উন্মুক্ত শুনানি পাওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না।)

√ Common Law System (ইংল্যান্ড, ভারত, বাংলাদেশ ইত্যাদি)

Ridge v Baldwin (1963) AC 40 মামলায় বলা হয়:
“A decision taken in violation of natural justice is void.”
(ন্যায়বিচারের নীতি লঙ্ঘন করে কোনো সিদ্ধান্ত নিলে তা বাতিল বলে গণ্য হবে।)

Maneka Gandhi v. Union of India (1978) AIR 597 (India) মামলায় বলা হয়:
“Fair hearing is an essential ingredient of justice.”
(ন্যায়বিচারের জন্য ন্যায্য শুনানি অপরিহার্য।)

√ বাংলাদেশ সংবিধান

অনুচ্ছেদ 27: “সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান নিরাপত্তা পাওয়ার অধিকারী।”

অনুচ্ছেদ 31: “কোনো ব্যক্তিকে প্রাকৃতিক বিচার নীতি লঙ্ঘন করে তার অধিকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না।”}

এদের কথিত ফ্যাক্ট ফাইন্ডিংয়ে শুধুমাত্র জামায়াত-শিবিরের সাদিক কায়েম, জর্জ সোরসের অর্থায়নে চলা এনজিও সারা হোসেনের ‘ব্লাস্ট’ এবং ইউনুস সরকারের তথ্য নেওয়া হয়েছে। অথচ আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, তৎকালীন প্রশাসন কিংবা মেডিকেল রিপোর্টের কোনো তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।

এটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ও ন্যায়বিচারের মূলনীতির সরাসরি লঙ্ঘন।

২. নিরপেক্ষ তদন্তের নীতি ভঙ্গ

জাতিসংঘের কথিত ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম তাদের তথ্য সংগ্রহের জন্য একপেশে উৎস বেছে নিয়েছে। শুধুমাত্র জামায়াত নির্দেশিত ইউনুস সরকার প্রযোজিত বিএনপি-সমর্থিত মাধ্যম থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।

এতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য পরিষ্কার এবং এটি Biased Evidence Collection নামে পরিচিত, যা যেকোনো আন্তর্জাতিক আদালতে গ্রহণযোগ্য নয়।

যেকোনো নিরপেক্ষ তদন্তের মূলনীতি হলো Balance of Evidence, যেখানে উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনা হয়। এখানে সেটি পুরোপুরি উপেক্ষিত হয়েছে।

৩. আইনজীবী নিয়োগের সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন,

Universal Declaration of Human Rights (UDHR) Article 10 এবং International Covenant on Civil and Political Rights (ICCPR) Article 14 অনুযায়ী, অভিযুক্তদের আইনজীবী নিয়োগের পূর্ণ অধিকার রয়েছে।

অথচ, কথিত আসামি পক্ষের কেউ এখনো পর্যন্ত আইনজীবী নিয়োগ করতে পারেননি।

এটি সরাসরি Denial of Fair Trial এবং Miscarriage of Justice সৃষ্টি করে, যা আন্তর্জাতিক আইনেও গুরুতর অপরাধ।

উল্লেখ্য, এক্ষেত্রেও বাংলাদেশের সংবিধান অনুচ্ছেদ ২৭ ও ৩১ লংঘন করা হয়েছে।

৪. অস্বচ্ছ সাক্ষ্য ও আলামত গ্রহণ

জাতিসংঘের রিপোর্টে মেডিকেল রিপোর্ট, ফরেনসিক আলামত কিংবা ৭.৬২ বুলেট ও স্নাইপার রাইফেলের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। অথচ দখলদার সরকারের ৭ দিনের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন এই বিষয়টি উত্থাপন করেছিলেন এবং যার প্রেক্ষিতে তার দফতর পরিবর্তন করা হয়।

যেকোনো আইনি প্রক্রিয়ায় Forensic Evidence এবং Medical Report অপরিহার্য, যা এখানে সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করা হয়েছে।

এটি Tampering with Evidence ও Selective Reporting-এর মধ্যে পড়ে, যা আইনত অবৈধ।

৫. বিচার প্রক্রিয়ার আগেই রায়ের ইঙ্গিত

স্বঘোষিত আন্তর্জাতিক মানের আইন বিশেষজ্ঞ দখলদার সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল অক্টোবরের মধ্যে রায় দেওয়ার কথা বলেছেন, যা ক্যাঙ্গারু ট্রাইব্যুনালের আলামত ও প্রহসনের একপেশে বিচারের আভাস দেয়।

যুদ্ধাপরাধীদের প্রধান কৌসুলী এবং বর্তমানে কথিত ক্যাঙ্গারু আদালতের চীফ প্রসিকিউটর তাজুল এই একতরফা রিপোর্টকে আদালতে এভিডেন্স হিসেবে গ্রহণ করার কথা বলেছেন।

আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, যেকোনো রিপোর্ট আদালতে Cross-Examination ছাড়া প্রমাণ হিসেবে গৃহীত হতে পারে না। এক্ষেত্রে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার কথিত ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি বা দখলদার সরকারের ক্যাঙারু আদালতে রিপোর্ট বা সাক্ষ্য গ্রহণে cross-examination এর সুযোগই রাখে নাই বলে সুস্পষ্ট প্রতীয়মান।

৬. জাতিসংঘের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ

জাতিসংঘের এই তদন্ত পুরোপুরি জামায়াত-শিবিরপন্থী ইউনুস সরকারের তথ্যে নির্ভরশীল।

এটি তাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তোলে এবং Conflict of Interest তৈরি করে, যা আন্তর্জাতিক তদন্ত নীতির পরিপন্থী।

জাতিসংঘ এখানে নুনুস সরকারের অগ্রদূত হিসেবে কাজ করছে, যা স্পষ্টতই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তারা এমনকি রিপোর্ট প্রকাশে আগে তা ইউনূসের দরবারে সাবমিট করেছে যেন পরিমার্জন, পরিবর্তন করতে পারে! সেটা আবার রিপোর্টেই উল্লেখ রয়েছে।

প্রতিকার: আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তাব—

১. জাতিসংঘের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ উত্থাপন

জাতিসংঘের Office of the High Commissioner for Human Rights (OHCHR)-এ আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ দায়ের করা যেতে পারে যে, তাদের রিপোর্ট একপেশে ও রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত।

২. আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিশন গঠন

জাতিসংঘের তদন্ত টিমের নিরপেক্ষতা যাচাই করতে স্বাধীন আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের নিয়ে পুনরায় তদন্তের দাবি উত্থাপন করা যেতে পারে।

United Nations Human Rights Council (UNHRC) বা International Fact-Finding Mission গঠনের আবেদন করা যেতে পারে।

৩. আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা রুজু

এই পক্ষপাতদুষ্ট প্রতিবেদনের মাধ্যমে যদি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও ন্যায়বিচার লঙ্ঘিত হয়, তাহলে International Court of Justice (ICJ)-তে মামলা করা যেতে পারে।

একইভাবে, Permanent Court of Arbitration (PCA)-তে জাতিসংঘের রিপোর্টের গ্রহণযোগ্যতা চ্যালেঞ্জ করা যেতে পারে।

৪. জাতিসংঘের রিপোর্টের স্বচ্ছতা চ্যালেঞ্জ করা

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ও কূটনৈতিক মহলে জাতিসংঘের এ রিপোর্টের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যেতে পারে।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের মাধ্যমে এ রিপোর্টের নিরপেক্ষতা নিয়ে ভোটাভুটি বা বিতর্ক উত্থাপন করা যেতে পারে।

পরিশেষে আবারও বলছি, জাতিসংঘের এই তথাকথিত তদন্ত প্রতিবেদন ন্যায়বিচারের মৌলিক নীতি লঙ্ঘন করেছে। তদন্তের তথ্য-উপাত্ত একপেশে ও জামায়াত-শিবিরপন্থী ইউনুস সরকারের মাধ্যম থেকে নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়নি, যা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন।

ফরেনসিক ও মেডিকেল রিপোর্টসহ গুরুত্বপূর্ণ আলামত উপেক্ষা করা হয়েছে এবং আন্দোলনের সূত্রপাত থেকে শেষ অব্দি কীভাবে প্রতিনিয়ত একটা সামাজিক আন্দোলন রাজনৈতিক আন্দোলনে ম্যাটিকুলাস ডিজাইনের মাধ্যমে ধাবিত করেছে সেগুলো উপেক্ষিত হয়েছে এবং দখলদার সরকারের কর্তাব্যক্তিরাই আগেভাগে রায়ের ইঙ্গিত দিয়েছেন, যা ন্যায়বিচারের পরিপন্থী।

যদি জাতিসংঘের এই পক্ষপাতদুষ্ট ও সাজানো রিপোর্টকে চ্যালেঞ্জ করা না হয়, তবে এটি ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও বিচারব্যবস্থার ওপর গুরুতর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে যে এমন নয়, দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতির জন্য এক বিরাট হুমকিও বটে।

কাজেই, আওয়ামী লীগের উচিত জাতিসংঘের এই একতরফা ও সাজানো কল্পকাহিনীর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ উত্থাপন করা, পুনঃতদন্তের দাবি জানানো, প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা দায়ের করা এবং বাংলাদেশের বর্তমান বিচারিক প্রক্রিয়া যে দেশী বিদেশি আইন বহির্ভূত চলছে সে ব্যাপারে জাতিসংঘসহ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মিত্র রাষ্ট্র সমূহকে ওয়াকিবহাল করা। ম্যাটিকুলাস ডিজাইনের এই দখলদার সরকার ও তাদের পেছনে যারা যারা আছে তাদের সবাইকে দৌড়ের উপর রাখতে হবে রাজপথ থেকে শুরু করে সর্বত্র যার কোন বিকল্প নাই।

Comments

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

en_USEnglish
Powered by TranslatePress